আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

।। সুন্দরের জন্মদিনে ।।

বাঙলা কবিতা

[ ফেদরিকো গার্সিয়া লোরকা'র স্মৃতির উদ্দেশ্যে] .............. বিগলিত বিনয়ের দিনে অবনত হতে হতে তার মাথাকে মাটি স্পর্শ করতে বলো না; অহংকার কবিকেই মানায়। এভারেস্ট-শৃঙ্গস্পর্শী তার মস্তক থাকুক আসমানের উচ্চতায়! তার সাথে কথা বলে পৃথিবীর যাবতীয় ফুল, খরস্রোতা নদীর গর্জন, সমুদ্রের হাওয়া; কথা বলে প্রজাপতি, পাখিদের বিপুল পিপাসা, আঘাত হানার আগে সবগুলি ভূমিকম্প, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস; কথা বলে বনে বনে বাঘের প্রতীক্ষা নিয়ে বেড়ে ওঠা হরিণ শিশুরা। সার্বভৌম নটিনীর মতো ওই বহুগামী চাঁদ যৌবনের সংগুপ্ত কুয়া খুলে অক্ষত জ্যোৎস্নার স্বাদ কবিকেই দিয়েছে কেবল; অন্যেরা, কদাচিৎ টের পেতে পারে ভার্জিন জ্যোৎস্নার ঘ্রাণ! নির্জন-নিস্তব্ধ তার লেখার টেবিলে জগতের সমস্ত সুন্দর এসে কবিকেই কুর্নিশ জানায়। বিষণ্নতার অন্ধকার পর্দার ওপরে সুন্দরের আলোকঝর্ণা ফুটিয়ে কবিই বলেছে, দ্যাখো, এই হলো আস্বাদনযোগ্য-সুন্দর! সুন্দরের জন্মকথা এই-ই। পৃথিবীর সমস্ত শহরের গল্প হাস্যকর এবং একই মাপে তৈরি কোনও ঝলমলে শার্টের সমান। পানশালার হট্টোগোল, জুয়াবোর্ডের উত্তেজনা, সভ্যতার সমান আয়তনের এই গণিকালয় ও তার যৌনতার ভেতর ক্রমশঃই জমে উঠছে তর্ক; ওইসব তর্কের পাশ থেকে উঠে অন্ধকারের তুমুল বর্ষণের মধ্যে হেঁটে যাক কবি, পথরোধ করো না তার! তাকে যেতে দাও___ ফুল্ল-নগ্নিকার নরকের ওমে তার চিতাবহ্নিমান! অফুরন্ত দহনের গাভীটি দোহন শেষে সে আনুক ফেনাময়-উষ্ণ-দুধের মতো অমৃদের দিন! তর্ক করো না, কবিকে মর্যাদা দাও। কবির মর্যাদা হোক সম্রাটেরও তীব্র অহংকার! .............. [৩০ জুন ২০১১]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।