কখন একটি দেশে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়? যখন কোনো একটি দেশের সরকার নীতিহীন একদল প্রসাশনিক কর্মকর্তা এবং একদল রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের দিয়ে জনগণের সকল ন্যায়সংগত দাবি নির্মমভাবে দাবিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। তখনই পরিবেশ সৃষ্টি হয় গৃহযুদ্ধের। ক্ষমতায় কে থাকলো? কোন দল থাকলো? এসব নিয়ে মুসলমানদের শত্রুদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। তাদের প্রয়োজন এমন একজনকে ক্ষমতায় বসানো যে হবে অত্যান্ত লোভী এবং নিষ্ঠুর প্রকৃতির। এতদ বিষয়ে আমাদের বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব চেম্পিয়ান।
ভাবছেন বেশি বলা হয়ে যাচ্ছে? আসলে বিষয়টি তা নয়।
গৃহযুদ্ধ সূত্রপাত হওয়ার পর যে হারে এদেশের মুসলমান নিধন হবে তার কারণেই তিনি ভবিশ্যতে ইতিহাসের পাতায় নিষ্ঠুরতম গণতান্ত্রিক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আখ্যায়িত হয়ে থাকবেন।
প্রশ্ন হতে পারে গৃহযুদ্ধ এবং লক্ষকোটি মুসলমান হত্যার ভাবিষ্যৎ সম্ভাবনা কতটুকু? বিষয়টি ২+২=৪ নয়, উপলোব্ধির পর্যায়ে বুঝতে হলে বর্ণিত লিঙ্কসমূহ পড়া প্রয়োজন।
লিংক ১/https://www.facebook.com/Shotter.Shondhaane/posts/227380170766410
লিংক ২/https://www.facebook.com/Shotter.Shondhaane/posts/227380554099705
লিংক ৩/https://www.facebook.com/Shotter.Shondhaane/posts/224347067736387
লিংক ৪/https://www.facebook.com/Shotter.Shondhaane/posts/227381327432961
লিংক ৫/https://www.facebook.com/Shotter.Shondhaane/posts/227381454099615
লিংক ৬/https://www.facebook.com/Shotter.Shondhaane/posts/227381604099600
বাইরের দেশের সেনাবাহিনীকে দেশের অভ্যান্তরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মতিক্রমে প্রবেশ করাতে হলে ঘোলাটে রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। পরিবেশ যে, সৃষ্টি হচ্ছে তার হাজার হাজার ইঙ্গিত আমরা দেখতে পাচ্ছি।
একটি স্বাধীন দেশের একজন মন্ত্রী যখন দেশের ৯৫ ভাগ মুসলমানকে পাশবর্তী দেশের ভয় দেখায় এবং তারপর ও গ্রেফতার না হয়ে মন্ত্রীত্ব বজায় রাখে, বুঝতে হবে যে ওই দেশের স্বাধীনতার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে।
মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন সেদিন হুঙ্কার দিলো যে, এদেশে যারা সংখ্যা লঘু, অতি নিকটেই তারা অনেক বড় সংখ্যা গুরু, এটা ছিল কালো বিড়ালের পক্ষ থেকে ভয়ংকর এক হুমকি। বিষয়টি ঘুমন্ত বাংলাদেশী মুসলমানেরা তেমন গুরুত্ব দিয়ে দেখছেনা অথচ কোনো একটি সভ্য এবং স্বাধীন দেশের কোনো মন্ত্রী এহেন উদ্যত্বপূর্ণ হুমকী দিলে মন্ত্রীত্ব ধরে রাখার তো প্রশ্নই আসে না, সাথে সাথে গ্রেফতার হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু কই, সেই কুরঞ্জিত সেন তো এখন ও জাতীয় পত্রিকা ও বিভিন্ন মিডিয়াতে তার বক্তব্য প্রদান করে যাচ্ছে। যদি কোন ভারতীয় মুসলমান মন্ত্রী কুরঞ্জিত সেনের মত হুনকার দিয়ে এহেন বক্তব্য দিতো তার চামড়া নয় হাড় থেকে গোশত আলাদা করে ফেলা হতো।
বুঝতে হবে যে, আমরা গৃহযুদ্ধের দ্বার প্রান্তে পৌঁছেছি। দেশের সাধারন মানুষ পরিস্থিতি সর্বান্ত করনে উপলোব্ধি করতে পারলে ও বুঝতে পারছে না ক্ষমতাশীন দল ও আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
প্রতিনিয়ত নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য মানুষ জীবন দিয়ে যাচ্ছে অথচ তিনি নির্বিকার! ওই কঠিন মানষিক শক্তির যোগান দাতা কে? বা কারা? যে সংবিধানে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি চালু করেছেন। যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির মাধ্যমে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন, সেই পদ্ধতি তিনি সংবিধান থেকে তুলে দিয়ে, সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করবে। পৈত্রিক সম্পত্তি বণ্টন কিংবা পরিবর্তন পরিবর্ধনের সময় ও সকলের সম্মতিক্রমে করা হয়।
অথচ জাতীয় সংবিধান পরিবর্তন হয় একক সিদ্ধান্তে। এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয় এটা হচ্ছে অরাজনৈতিক গোয়ার্তুমি যা আমাদেরকে নিশ্চিত ভাবেই গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত করবে।
পলাশির প্রান্তরে যারা মীরজাফরের আদেশ মুতাবেক কাজ করেছে তারা সবাই মীরজাফর, সকলেই দায়ী আমাদের ২০০ বৎসরের গোলামীর জন্য। আজ যারা বর্তমান সরকারের আদেশ অনুযায়ী সাধারন জনগণকে কষ্ট দিয়ে, মৃত্যু দিয়ে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে তারাই হচ্ছে এদেশের ভবিষ্যৎ মীরজাফর, ভারতীয় রাজাকার। এখনি আমাদের উচিৎ ওদেরকে চিহ্নিত করে রাখা।
মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে আরো কিছুদিন স্বাধীন থাকার তাওফিক এনায়েত করুন। আমীন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।