রোববার ইসির যুগ্মসচিব জেসমিন টুলী স্বাক্ষরিত ওই চিঠি প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সশস্ত্রবাহিনী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
গত ২০ ডিসেম্বর আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন রাখার এই সিদ্ধান্ত হয় বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
সশস্ত্র বাহিনীর কার্যপরিধির বিষয়ে চিঠিতে জানানো হয়, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৩০ ও ১৩১ ধারা এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ‘ইন্সট্রাকশন রিগার্ডিং ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর সপ্তম ও দশম অনুচ্ছেদের ক্ষমতা ও নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের সময় সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত হবে। মোতায়েন করা সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের কাজ হবে নির্বাচনী কাজে ম্যাজিস্ট্রেটের পরিচালনায় বেসামরিক প্রশাসনকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় রহায়তা করা।
সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মহানগর এলাকার ‘নোডাল পয়েন্ট’ এবং অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান নেবেন এবং ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসাবে নিয়োজিত থাকবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে উপজেলা/থানায় সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করতে হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে সহযোগিতার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়কে নিরাপদ যান চলাচল নিশ্চিত করতে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করবেন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা।
ইসির জারি করা ওই চিঠি ডাক ও বিশেষ বাহকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তরেও অনুলিপিও পাঠিয়েছে কমিশন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।