Not to be a leader.. But make a real leader.
শরীয়তপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর, রাজবাড়ি ও জয়পুরহাট-এই পাঁচটি জেলায় নির্বাচন হচ্ছে না এবার। কারণ কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই সেখানে। আর বাকী ৫৯টি জেলারও কোন না কোন সংসদীয় আসনেও নির্বাচন হবে না এবার। সবখানেই ঐ একই কারণ। কোটি কোটি ভোটারের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি মহাজোট সরকার।
দেশের বেশিরভাগ গরীব মানুষের অধিকার বলতে আছে একটা ‘ভোটের অধিকার’!অনেক বারের মতো এবারও সেটা শুধুই লিখিত অধিকার। সংবিধানে ১৫(ক)ধারায় বলা আছে “রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হইবে নাগরিকদের অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা”! ১৪নং ধারায় বলা আছে, “রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হইবে মেহনতী মানুষকে- কৃষক ও শ্রমিককে এবং জনগণের অনগ্রসর অংশসমূহকে সকল প্রকার শোষণ হইতে মুক্তি দান করা”!কিন্তু এগুলো শুধু সংবিধানে লেখার জন্য,বাস্তবায়নের জন্য নয়। গত ৪২ বছরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়া সরকারগুলো সংবিধানের ততটুকুই উল্লেখ করেছে বা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে, যতটুকু তাদের স্বার্থে ব্যবহার করা যায়!তাদের লুটপাট, শোষণ,নির্যাতন তন্ত্র জারি রাখা যায়। সংবিধানের বাকী সব নির্দেশাবলী কখনও বাস্তবের মুখ দেখেনি।
পেটের ভাত, পরণের কাপড়, মাথা গোঁজার ঠাই, রোগে চিকিতসা- সেগুলোরই তো কোন হদিস নাই।
সেখানে ভোটের অধিকার নামক একটা ঠুনকো অধিকার না থাকলেই বা কি আসে যায়! কিন্তু তারপরও তো অধিকার? নেই মামার চেয়ে তো কানা মামাও ভালো। হতদরিদ্র মানুষও তো আঙ্গুল উঁচু করে অন্তত বলতে পারে,“ভোটের সময় দেখামু”!এবার সেই সুযোগও পাচ্ছে না দেশের বেশিরভাগ মানুষ।
এবারও মহাজোট সরকার নির্বাচন প্রশ্নে সংবিধান নিয়ে বেশ হাঁক-ডাক করছে। সংবিধানে এই আছে, সেই আছে.. ইত্যাদি। কিন্তু সাধারণ জনগণের স্বার্থ রক্ষার প্রশ্নে তারা কতটুকু সংবিধান মেনে চলেছে,সংবিধানের কোন নির্দেশটার বাস্তবায়ন করেছে তারা, সে কথা বলছে না একবারও।
কেউ বলেনি গত ৪২ বছরে। কেউ রাখেনি সংবিধানের কথা!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।