সরকারি কর অফিসে চাকরি করতেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার লড়াই চিরন্তর। স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন ম্যাগসেসেই পুরষ্কার। আর এবার সেই কেজরিওয়াল হতে যাচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। হরিয়ানায় মধ্যবিত্ত বাবা-মায়ের সন্তান অঙ্গীকার করেছেন, কেবল উচ্চবিত্তের নয়, ভারতের রাজধানী হবে সবার।
দল গঠনের দরকার কী, এমন প্রশ্নে বলতেন, 'দেশ বিক্রি হয়ে গেছে। রাজনৈতিক দলগুলো কলুষিত। তাই, রাষ্ট্রযন্ত্র পরিষ্কার করা দরকার। ' এ সঙ্কল্পেই রাজনীতির মাঠে নামেন তিনি। ফলসরূপ এক বছরেই হতে চলেছেন রাজধানী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
ষাটের দশকে হরিয়ানায় মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। পড়াশোনা যন্ত্র প্রকৌশলে। চাকরির শুরু টাটা গ্রুপে। বিরানব্বই সালে যোগ দেন সরকারি কর অফিসের রেভেনিউ অফিসার হিসেবে। চৌদ্দ বছর পর, চাকরি ছেড়ে প্রতিষ্ঠা করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
সরকারের কাজের সচ্ছতা আর তথ্য অধিকার নিয়ে সচেতনতা তৈরিই ছিলো উদ্দেশ্য। স্বীকৃতি আসে দ্রুত। ২০০৬ সালে তিনি পেয়ে যান এশিয়ার নোবেল খ্যাত, র্যামন ম্যাগসেসেই পুরষ্কার।
লাইমলাইটে আসেন সমাজকর্মী আন্না হাজারের দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে। আন্নার অনশনে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয় মনমোহন সরকার।
কেজরিওয়াল হয়ে ওঠেন আন্নার প্রধান আস্থাভাজন। নীতিগত বিরোধে গুরুসঙ্গ ছাড়েন কেজরিওয়াল। মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে প্রতিষ্ঠা করেন আম আদমি পার্টি। যার অর্থ, আম জনতার দল। দিল্লির বিধানসভায় আটাশটি আসনে জয় পেয়েছে আম আদমি।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায়, জোট বাধেন কংগ্রেসের সঙ্গে।
মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দকৃত, পুলিশি নিরাপত্তা এবং সরকারি বাংলোর সুবিধা প্রত্যাখ্যান করেছেন কেজরিওয়াল। সঙ্কল্প আঁটছেন, আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করার।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।