হারতে শিখিনি কোনদিন । হারবও না ।
সতর্কতা- যথেষ্ট পরিমান হাস্যম্পদ বস্তু রয়েছে- নিজ দায়িত্বে প্রবেশ করুন। যে কোন রকমের দুর্ঘটনার জন্য আমি কোনভাবেই দায়ী নই ।
কলিমউদ্দিন প্রথমে অ্যানালগ ছেলেই ছিলো ।
তারপর বন্ধুদের দেখে দেখে ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রবেশ করে । পরিচয় হয় সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুকের সাথে । কলিম একটা একাউন্ট খুলে । প্রতিদিন নিয়ম করে স্ট্যাটাস দিতে থাকে । আর দুএকজনকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিতে থাকে ।
ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট প্রাপ্তদের বেশির ভাগই ফটোশপ সুন্দরী নারী ফেসবুকার । আস্তে আস্তে কলিমের ফ্রেন্ড সংখ্যা ৪০ এ উন্নীত হয় । কলিম - তার বন্ধুরা তার স্ট্যাটাস দেখতে পায় ভেবে খুব খুশি হয় আর বিপুল উদ্দ্যেমে স্ট্যাটাস প্রসব করতে থাকে । কিন্ত সে বুঝতে পারল তার ফ্রেন্ডলিস্টের ফটোশপ সুন্দরীরা স্ট্যাটাসে হাজার হাজার লাইক কমেন্ট পায় যা সে পায় না । কালে ভদ্রে খুব হলে একটা লাইক তার স্ট্যাটাসে পড়ে ।
কলিম আবিষ্কার করল স্ট্যাটাসে হাজার হাজার লাইক কমেন্ট না পড়লে স্ট্যাটাসই দেয়াই বৃথা ।
ইতিমধ্যে সে কয়েকজন ফেসবুক সেলেব্রেটির সাথে পরিচিত হয় । যারা পুংলিঙ্গ ধারী । কিন্ত স্ট্যাটাসে হাজার হাজার লাইক কমেন্ট পায় । কলিম তাদের ইনফো ঘেটে বুঝতে পারল তাদের রয়েছে মহাবিস্তর ফ্রেন্ড আর ফলোয়ার ।
যার দরুন তারা স্ট্যাটাসে এত লাইক পায় ।
সে আরো অনুধাবন করতে পারল যদি অনেক ফ্রেন্ড আর ফলোয়ার না হয় তবে কখনোই সেলেব্রেটি হওয়া যাবে না । শুরু হয়ে গেল কমেন্টে কমেন্টে add me, add me. আর ঘন ঘন ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট ব্লক খাওয়া । তবুও ফ্রেন্ড অত বাড়ে না । ফেসবুক- একাউন্ট নেইম পরিবর্তনের সুযোগ প্রদানের পর একদিন সে নাম পাল্টে ফেললো একাউন্টের ।
কলিমউদ্দিন হয়ে গেল কালীম আল দ্বীন ! আর প্রোফাইল পিকচার হিসেবে এক সুপুরুষের ছবি । এবার ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট আসতে শুরু করল । ফ্রেন্ড সংখ্যা এক লাফে হয়ে গেল এক হাজার ।
এতদিনে ফেসবুকের সব কিছু বুঝে গেছে কলীম । কিভাবে স্ট্যাটাস দিলে মানুষ বেশি খায় তাও জেনে গেছে সে ।
শুরু হল বিপ্লবী স্ট্যাটাস দেওয়া। স্ট্যাটাসের নমুনা- ভাইয়েরা আমার এই সরকার জালিম সরকার । এই সরকার খোদাদ্রোহী সরকার । ব্লা ব্লা ব্লা ....ব্যাস, কম্ম সাবাড় !কলিমের ফ্রেন্ড হয়ে যায় তিন হাজার আর ফলোয়ার এক হাজার ।
কলিম এইবার পেইজ খুলে- আইক্কাওলা বাঁশের কেল্লা - আর নিয়মিত জ্বালাময়ী পোষ্ট দিতে থাকে ।
কলিম হয়ে যায় ফেসবুক সেলেব্রেটি !
উৎসর্গঃ- বিশিষ্ট সেলেব্রেটি মুরাদ টাকলা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।