শুক্রবার বিকালে এক বিবৃতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, “গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচিতে সামনে রেখে মানুষের জনস্রোত ঠেকাতে সরকার দেশব্যাপী বাস-ট্রেন-লঞ্চসহ গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। রাজধানী গোটা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
“মনে হচ্ছে সারাদেশে সরকারের অঘোষিত হরতাল বা ১৪৪ ধারা চলছে। প্রশাসনযন্ত্র ব্যবহার করে অনির্দিষ্টকালের জন্য জনগণের বিরুদ্ধে নিজেরাই অবরোধ সৃষ্টি করেছে। ”
নির্বাচন প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে রোববার সারাদেশ থেকে নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ঢাকায় ডেকেছেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থানের কর্মসূচি তিনি দিলেও পুলিশ তাদের অনুমতি দেয়নি। এর পাশাপাশি সারাদেশ থেকে ঢাকামুখী বাস-লঞ্চও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, “দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষের নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিকে অগ্রাহ্য এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করার উদ্যোগে সরকারের ক্ষমতা দম্ভ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আমরা বলতে চাই, দেশের সুশীল সমাজ ও বিজ্ঞ নাগরিকদের মতামতকেও গুরুত্ব না দিয়ে যেভাবে ক্ষমতার দম্ভ দেখানো হচ্ছে তার অশুভ পরিণতি কারো জন্যই কাম্য নয়। ”
গুলশানে বিরোধী দলীয় নেতার বাসভবন, তার রাজনৈতিক কার্যালয় এবং নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এটা একদলীয় ও ফ্যাসিষ্ট সরকারের গণতন্ত্রের বিকৃত নমুনা হিসেবেই জনগণ মনে করে।
”
আওয়ামী শাসকের হাতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার পুনরুদ্ধারে সব শ্রেণি-পেশার মানুষজনকে ঢাকায় আসার আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, “সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে রোববার নয়াপল্টনের সামনে সমবেত হওয়ার জন্য আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস, জনগণের বিজয় অত্যাসন্ন। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।