বেসরকারি আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের (সাবেক দি ওরিয়েন্টাল ব্যাংক লি. পুনর্গঠন স্কিম, ২০০৭) স্কিমের মেয়াদ ছয় মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই মেয়াদ আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করে যথাযথ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর ফলে ব্যাংকটি গ্রাহকের আমানত ফেরত দিতে আরও অতিরিক্ত ছয় মাস সময় পেল।
এর আগে স্কিমের মেয়াদ ছিল ২০১৩ সালের ৪ মে পর্যন্ত। ২০০৮ সালের ৫ মে থেকে সাবেক দি ওরিয়েন্টাল ব্যাংক পুনর্গঠন স্কিম কার্যকর হয়।
ব্যাপক জালিয়াতি ও আত্মসাতের পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি ওরিয়েন্টাল ব্যাংক ২০০৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে একপ্রকার দেউলিয়া হয়ে পড়ে। ওই বছরের ১৯ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অপসারণ করে ব্যাংকটিতে প্রশাসক নিয়োগ করে। পরে ব্যাপক তদন্ত করে ব্যাংকটি পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংক ‘দি ওরিয়েন্টাল ব্যাংক লি. (পুনর্গঠন) স্কিম, ২০০৭’ জারি করে, যা ২০০৮ সালের ৫ মে থেকে কার্যকর হয়। এই স্কিমের আওতায় আমানত ও অন্যান্য দায় পরিশোধে এবং মূলধন বৃদ্ধিসহ বহুবিধ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
স্কিমের আওতায় ব্যাংকটির মূলধন বৃদ্ধি করে খোলা দরপত্রের মাধ্যমে মালিকানা বিক্রি করা হয়। মালয়েশিয়াকেন্দ্রিক একটি প্রতিষ্ঠান এই ব্যাংকের মালিকানা কিনে নেয়। নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয় আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক তাদের আমানতের সিংহভাগসহ দায়দেনা পরিশোধ করতে পারেনি। জানা যায়, বর্তমানে তাদের মোট দায়ের পরিমাণ এক হাজার ২৬৭ কোটি টাকা; যার মধ্যে আমানতের দায় হচ্ছে ৭৬১ কোটি টাকা।
এই আমানতের মধ্যে একেবারে সাধারণ মানুষের আমানত হচ্ছে ১৮২ কোটি টাকা। বাকি ৫৭৯ কোটি টাকা হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক আমানত; যার মধ্যে এককভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকেরই রয়েছে ৪৪৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া সরকারের অর্থ বিভাগের ৩৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকাসহ বিমা কোম্পানি, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বড় অঙ্কের আমানত রয়েছে।
জানা যায়, নতুন করে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক বিক্রির একটা চেষ্টা চলছে। সৌদি আবরকেন্দ্রিক একটি গ্রুপ ব্যাংকটি কেনার জন্য অনেক দূর এগিয়েছে।
তবে একটি সূত্র বলছে, এর সঙ্গে পুরোনো মালিকেরাও রয়েছেন।
এদিকে আদালতে মামলা থাকায় আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে পুনর্মূলধন কাজ আটকে আছে। ব্যাংকের দিক থেকে নতুনভাবে মামলা খারিজের জোর চেষ্টা নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।