আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি

'মোস্ট ওয়েলকাম-টু' চলচ্চিত্রটি নিয়ে কিছু বলুন_

'মোস্ট ওয়েলকাম-টু' ২০১৪ সালে দর্শকদের জন্য সমৃদ্ধ বাণী বয়ে আনবে। অনন্ত-বর্ষার চলচ্চিত্র মানেই বাণী আর বিনোদনের সমাহার। আমাদের আগের চলচ্চিত্রগুলোর গল্প গড়ে উঠেছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী বক্তব্য নিয়ে। এবারের চলচ্চিত্রও তাই। তবে বিষয়বস্তু আরও উন্নত।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে প্রথমবারের মতো ক্যান্সারের ভ্যাকসিন আবিষ্কার এবং এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দুষ্টচক্রের অপতৎপরতা তুলে ধরা হয়েছে। যে চক্রান্তকে আমি ও অনন্ত প্রতিরোধ করি।

 

'মোস্ট ওয়েলকাম-টু'কে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন_

মোস্ট ওয়েলকাম-টু'র প্রতিটি শট এবং সিকোয়েন্স ভিন্নমাত্রায় সজ্জিত হয়েছে। তামিলনাড়ুর দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল, যেখানে অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার 'রাভান' চলচ্চিত্রের শুটিং হয়েছিল সেখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি। ওই অঞ্চল এতটাই ভয়ঙ্কর যে, দিনের বেলায়ও অনিরাপদ।

ধারেকাছে কোনো আবাসিক হোটেল নেই। তখন ছিল ফেব্রুয়ারি মাস। ওই মাসের ২৮ তারিখ আমার জন্মদিন। সবাইকে নিয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিশাল আয়োজনে জন্মদিন পালন করেছিলাম। আতশবাজি পোড়ানো থেকে শুরু করে কোনো কিছুই বাদ যায়নি।

স্থানীয় গ্রামবাসী বলছিল এমন মধুর অভিজ্ঞতার কথা কখনো ভুলবে না তারা। আর সবই হয়েছে একটি মানসম্মত চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বার্থে।

 

আরও কিছু মজার অভিজ্ঞতার কথা বলুন_

'মোস্ট ওয়েলকাম-টু'র শুটিং করতে গিয়ে মজার নয় বরং ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। ওই অঞ্চলটি ছিল তামিলনাড়ুর বর্ডার সাইডের কার্নাটাকা। সেখানকার হকেনাকাল ওয়াটার ফলস থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাম্প দিয়েছিলেন অনন্ত।

প্রখর রোদের উত্তপ্ত গরমে কাজ করতে গিয়ে গায়ের রং নিগ্রোদের মতো কালো হয়ে গিয়েছিল। শুটিং স্পট থেকে বেশ কিছুটা দূরে ছোট্ট একটা বাজার ছিল। কাজ শেষে সেখান থেকে বাজার করে এনে রাতে নিজের হাতে রান্না করে ইউনিটের লোকজনকে খাইয়েছি। আর গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে থাইল্যান্ডে গান ও অ্যাকশন দৃশ্যের চিত্রায়ণ হলো। পাতায়ায় ভারত মহাসাগরে অনন্ত ও আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্পিড বোটে চড়ে একটি চেজিং দৃশ্যে অংশ নিলাম, এতে বড় ধরনের বিপদ ঘটা অস্বাভাবিক ছিল না।

এরপর এফডিসির এক নম্বর ফ্লোরে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর নিয়ে অনন্ত প্রায় চার ঘণ্টা উল্টো ঝুলে থেকে সাফল্যের সঙ্গে একটি শট দেয় এবং আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ধরনের প্রচুর ভয়াবহ ঘটনার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমাদের।

 

কষ্টের মধ্যেও মনে সুখ উঁকি দেয় এমন কিছু খুশির কথা বলুন_

'মোস্ট ওয়েলকাম-টু' মানেই রোমাঞ্চ, অ্যাকশন আর রোমান্টিকতায় ভরা চিরদিন মনে রাখার মতো চমৎকার একটি চলচ্চিত্র। এটিই আমাদের জন্য খুশির কথা। তবে নিজের ভালো লাগার কথা বলতে গেলে বলব, এ চলচ্চিত্রে আমার পোশাক ডিজাইন ছিল আমারই করা।

গানের জন্য চারটি ড্রেস তৈরি করেছি ১৬ লাখ টাকায়। এ ছাড়া আসল হীরা ও স্বর্ণের জুয়েলারি ব্যবহার করেছি। বিখ্যাত হিন্দি চলচ্চিত্র 'মোগলে আজম'-এ মধুবালার মেকআপ আর চোখ ও ঠোঁটের আর্ট অনুসরণ করেছি। আমার বিশ্বাস বিশাল আয়োজনের 'মোস্ট ওয়েলকাম-টু' শুধু আমার নয়, দর্শকের হৃদয়েও সুখের স্মৃতি হয়ে থাকবে চিরদিন।

 

 

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.