আমাদের নুতন বুয়া আজ একদিন হল কাজে যোগ দিল । ভদ্র মহিলা শান্ত শিষট এবং চুপ চাপ। আমাদের মেস ম্যানেজার আশ্রাফ বুয়াকে এক নাগারে যাই বুঝাল তাই উনি মাথা নেড়ে সায় দেয়,এবং বিনা প্রতিবাদে মেনে নেয় এবং একটু পর পর চারিদিকে তাকিয়ে একটা করে দীঘশাস ফেলে।
সকালে রুটি খেতে গিয়ে হকচকিয়ে গেলাম,রুটি পাথরের মত শক্ত এবং প্রায় প্লেটের এর মত ভারি। হরতাল পালনকারীরা এ রুটি পেলে লুফে নিত ।
চমৎকার অস্ত্র হিসাবে দোকানের গ্লাস ,মানুষ এবং শিশুদের দিকে ছুরে মারা যেত। পরদিন পেপারে খবর বের হত "অমুক সন্ত্রাসীর ছোড়া রুটিতে অমুক আহত...হাসপাতালে নেয়ার পথে উনি অধেকটা রুটি খেয়ে ফেলেন ..শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডাক্তার রুটি বের করার জন্য প্রানপন চেষটা চালিয়ে যাচেছ...পুলিশ সন্দেহ করছে ফারমগেট এর একটি মেস থেকে এ ধরনের রুটি সাপ্লাই করা হয়......ইত্যাদি ইত্যাদি.."
দুপুরে খীচূড়ি খেতে গিয়ে আরেক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হল । কোন কারনে গত দিনের পচাঁ শাক সবজ্ী ফালান হয়নাই ...বুয়া মহা উৎসাহে এই গুলি খীচূড়িতে দিয়া দিয়াছে। আমার বোধ শক্তি বরাবরের মতই একটু কম ছিল...কিছু টের পাবার আগেই আমি প্রায় অধেক এর মত খীচূড়ি খেয়ে ফেললাম দেখে কাজল দাঁত বের করে বলল --ভাই করলেন কি ,পচাঁ মাল খাইলেন ,আপানর ত আজকা লামব্...আমার চোখমুখ শুকিয়ে গেল। তার কথা সত্যি প্রমান করার জন্যই কিনা কে জানে পেটের ভিতরটা কেমন যেন মোচড় দিয়া উঠল ।
আমি ভয়াবহ আতংক নিয়ে "লামার" জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম...(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।