I
দিল্লি: রীতিমত বিপ্লব ঘটিয়ে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসকে হারিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন আম আদমী পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
ভারতীয় রাজনীতির সংজ্ঞা পাল্টে দেয়া আম আদমী পার্টির এই নেতা সবচেয়ে কনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শনিবার শপথ নিয়েছেন। আর দশটা সাধারণের মত তিনি নিজে তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে মেট্রোরেলে চেপে শপন নিতে যান।
শপথ অনুষ্ঠানে কেজরিওয়াল একটি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও ক্ষমতার ঔদ্ধত্যের প্রদর্শনী বহির্ভূত নতুন ধরনের সরকার উপহারের প্রতিশ্রতি দেন। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী হতে নয়, তিনি জনগণের সেবা করতে এই দায়িত্ব নিয়েছেন।
’
ভোটের আগে থেকেই কেজরিওয়াল আলোচনায় আসেন তার নিপাট সাধারণ গোছের জীবনযাপন দিয়ে। ভোটে জয়ী হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যেসব নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা আইনিভাবে পাবেন তা না দেওয়ার জন্য আবেদন করেন।
৪৫ বছর বয়সী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইতোমধ্যেই দিল্লির সবচেয়ে কম বয়সী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। কংগ্রেসের তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী শিলা দীক্ষিতকে ২৫ হাজারেরও বেশি ভোটে তিনি পরাজিত করেছেন।
তিনি ১৯৬৮ সালের ১৬ আগস্ট ভারতের হরিয়ানার একটি গ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কেজরিওয়াল।
তিনি আইআইটি-খারাগপুর থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশুনা করেছেন। ভারতের রাজস্ব বিভাগে যোগ দেন ১৯৯৫ সালে। ২০০১ সালে চাকরি ছেড়ে দেন।
২০০৫ সালে তিনি ‘পরিবর্তন’ নামে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি জনগণের তথ্য জানার অধিকার নিয়ে প্রচার চালায়। প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০০৬ সালে র্যামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড পান।
আম আদমী পার্টির আহ্বায়ক কেজরিওয়াল জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রে চলে আসেন আন্না হাজরের সঙ্গে জন লোকপাল বিলের দাবি নিয়ে একাত্মতা পোষণ করেন ২০১১ সালে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনশনে আন্না হাজরের সঙ্গে তিনিও অংশ নেন।
২০১২ সালের নভেম্বরে কেজরিওয়াল আম আদমী পার্টির ঘোষণা দেন। তারপর আন্না হাজারের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যান। কারণ আন্না হাজারে কোনো ধরনের রাজনৈতিক দল গঠনের বিরোধী ছিলেন।
কেজরিওয়ালের দলের প্রতীক ঝাড়ু এবং দলীয় কর্মীরা সাদা ক্যাপ পরে থাকেন। দলটি ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে চাঁদার মাধ্যমে যার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।
দিল্লির নির্বাচনে এক গণজোয়ারের ঢেউ লেগে যায়। ৭০টি আসনের মধ্যে এএপি ২৮টি আসন জিতে। লোকপাল মুভমেন্টের স্মৃতিবিজড়িত জায়গা রামলীলা ময়দানে শপথ গ্রহণ করেন কেজরিওয়াল।
কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনিতা একজন রাজস্ব কর্মকর্তা। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।