চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব এনামুল হককে (৬৫) পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল-মামুন।
অগ্নিদগ্ধ এনামুল হক ওই উপজেলার চতুরপুর গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে এবং শিবগঞ্জ বনিক সমিতির সভাপতি। তিনি আগামী পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় শিবগঞ্জ থানা পুলিশ যুবদল নেতা সালাহ উদ্দিনকে গ্রেফতার করলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও শিবগঞ্জ বনিক সমিতির সভাপতি শারমিন হার্ডওয়ারের মালিক এনামুল হকের দোকানে আগুন দেয় বিএনপি'র সমর্থকরা।
এতে দোকানের সম্পূর্ণ মালামাল ভস্মিভূত হয়। পরে রাত ১১টার দিকে দোকানের ভেতর থেকে এনামুলের ঝলসে যাওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন দেওয়ার সময় এনামুল দোকানে ছিলেন। আগুন নেভানোর পর এনামুলের কোন সন্ধান পাওয়া না গেলে চারদিকে তার খোঁজ করা হয়। একপর্যায়ে দোকানের ভেতর থেকে তার ঝলসে যাওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়।
এঘটনার তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ।
আজ মঙ্গলবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর আজ মঙ্গলবার শিবগঞ্জ উপজেলায় অঘোষিত ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। সকাল থেকেই সকল ধরণের যানবাহন চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পুরো এলাকায় ভূতুড়ে অবস্থা বিরাজ করছে।
অগ্নিদগ্ধ এনামুল হকের দোকানের কর্মচারী সেলিম জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসীরা প্রথমে তার মালিক এনামুল হকের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে পেট্রোল ঢেলে দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় সে ভীত হয়ে পালিয়ে যায় এবং দোকান মালিক দোকানের গোডাউনে আশ্রয় নেয়। কিন্তু তিনি অগ্নিদগ্ধ হয়ে সেখানেই মারা যান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।