সচরাচর যেই জ্যেষ্ঠ নেতাদের নগরীর সভা-সমাবেশে দেখা যায় তাদের কেউই মঙ্গলবার বিকালে নগরীর নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে ছিলেন না।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির সাবেক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও আইনজীবী আবদুস সাত্তার। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসাইন।
বর্তমান নগর কমিটির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহদাত হোসেন, সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন না।
গত কয়েকদিন চট্টগ্রাম বিএনপির সব কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানকেও দেখা যায়নি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সমাবেশের সভাপতি আবদুস সাত্তার বলেন, দলের কাজে আবদুল্লাহ আল নোমান, আমীর খসরু, ডা. শাহদাত ও আবু সুফিয়ান ঢাকায় আছেন।
“আমরাও তো সিনিয়র নেতা। নগর কমিটিতো মাত্র চার জনের। এর মধ্যে সহ-সভাপতি দস্তগীর চৌধুরী প্রয়াত। অন্য তিন জন ঢাকায়।
তারা কীভাবে সমাবেশে থাকবেন?”
ডা. শাহদাত ঢাকায় আছেন বলে আবদুস সাত্তার দাবি করলেও নগরীর বাকলিয়া ও কোতোয়ালী এলাকায় তিনি বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বলে তার একান্ত সচিব মারুফুল হক চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন।
এবিষয়ে জানতে ডা. শাহদাতের দুটি মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ব্যক্তিগত সচিব মোহাম্মদ সেলিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্যার দলের কাজে ঢাকায় আছেন।
আবদুল্লাহ আল নোমানের ব্যক্তিগত সচিব নুরুল আজিম হিরু বলেন, “দলীয় প্রধান স্যারকে ঢাকায় সাংগঠনিক কাজ দিয়েছেন। বর্তমানে উনি ঢাকায় আছেন।
কখন কোথায় থাকবেন এটাতো দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। ”
নাসিমন ভবনে নগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, নুরুল আমিন, কাজী আকবর, এম এ হালিম, আবদুল মান্নান ও ওয়াহাব কাশেমী।
তবে সমাবেশ শেষে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় তা সম্ভব হয়নি বলে দাবি করে আবদুস সাত্তার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।