আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যমুনা ফিউচার পার্কের মালিক বাবুলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

রাজধানীর বারিধারায় নির্মাণাধীন ভবনের উঁচু থেকে শাটার ভেঙে পড়ে শাহীন (৩৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলাসহ দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এর মধ্যে একটি মামলা যমুনা গ্রুপের মালিক নুরুল ইসলাম বাবুলকে প্রধান আসামি করে চার/পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা  ও পুলিশের কাজে বাধাদানের অভিযোগে পুলিশবাদী আরো একটি মামলা হয়েছে।

এ মামলায় অবশ্য নুরুল ইসলাম বাবুলকে আসামি করা হয়নি।

আজ নিহত শাহীনের বড় ভাই হযরত আলী ভাটারা থানায় নুরুল ইসলাম বাবুলকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন (নম্বর ২৪(১)১৪)।

এদিকে, মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন ভাটারা থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি জানান, গতকাল সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে নির্মণাধীন যমুনা ফিউচার পার্কের শাটার ভেঙে কুড়িল এলাকার শাহীন (৩৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন।

এ ঘটনায় উত্তেজিত কয়েকশ এলাকাবাসী যমুনা ফিউচার পার্কের মূল ফটক ভাঙচুর করলে পুলিশ ১০ থেকে ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

পরে নিহত শাহীনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ভবন নির্মাণে অবহেলার অভিযোগে শাহীনের বড় ভাই হযরত আলী বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো চার/পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলকে এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে।

অন্যরা হলেন- যমুনা গ্রুপের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন ও অজ্ঞাতপরিচয় একজন প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ারসহ আরো চার/পাঁচজন।

এদিকে, ওই ঘটনায় পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধাদানের অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে অপর একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে আটক যমুনা গ্রুপের সিকিউরিটি এরশাদুল্লাকে সে মামলায় আটক দেখানো হয়। তবে এ মামলায় যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলকে আসামি করা হয়নি।   

অন্যদিকে, এ ঘটনায় যমুনা গ্রুপের উপ-মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ইউনুস আলী বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।