আমি কিছু দেখিনি।
আমরা ৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রাম দেখিনাই কিন্তু যেভাবে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে আরেকটি যুদ্ধেও মুখোমুখি আমরা যেটা দৃশ্যমান। আওয়ামীলীগ নেত্রী বললো ’ক্ষমতা আমার প্রয়োজন নাই আমি দেশের জনগনের সেবা করতে চাই’। উনি একদিকে এই ঘোষনা দিলেন অন্যদিকে অবৈধভাবে ক্ষমতা আকড়িয়ে ধরে রেখে দেশকে অনিবার্য এক সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিলেন। এখানে ক্ষান্ত থাকেননি, বহির্বিশ্বের অনুরোধ উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচনের তামাশা শুরু করলেন অর্থাৎ ক্ষমতাই উনার চাই জনগনের থোড়াই কেয়ার করে।
বিরোধী দল যখন এই নির্লজ্জ তামাশার প্রতিবাদ করতে শুরু করলো তখন তাদের প্রতিবাদের সব ভাষা কেড়ে নেয়া হল। অবৈধভাবে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া শেখ হাসিনাকে ঠেকাতে বিরোধী জোট বাধ্য হয়ে অবরোধ-অসহযোগীতার পথ বেছে নিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শেখ হাসিনার নিজের মন্তব্যেও (আমার ক্ষমতার প্রয়োজন নাই জনগনের সেবা করতে চাই) বিন্দুমাত্র বাস্তবতা যদি থাকতো তবে উনি বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ভাষা কেড়ে নিতে পারতেন না। গণতান্ত্রীক আন্দোলন করতে দিতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় গনতন্ত্রের ভাষা উনি মানেন না।
মানবেন কেমনে উনার ভাষা তো ’একটি লাশ পড়লে দশটা লাশ চাই’। লগি-বইঠাই যার গণতন্ত্রের ভাষা তার কাছে আর কিই বা আশা করা যায়!! অপরদিকে দেশের অর্থনীতি আজ বিপর্যস্ত। দেশের প্রতি সামান্য দরদ থাকলে দেশের অর্থনীতি এভাবে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে পারতেন না। অনেকে আছেন যারা অর্থনীতি ধ্বংসের জন্য বিরোধী দলকে দায়ী করেন তাদের অন্ধ আনুগত্যের ফলে সকল যৌক্তিক যুক্তিই তাদের সামনে অযৌক্তিক মনে হয়। কিন্তু নিরপেক্ষভাবে বলুন তো বিরোধী জোট শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী আহবান করায় দেশের সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হল যাতে কর্মসূচী সফল করতে না পারে, শুধূ তাই নয় পরিবহন বন্ধ করে সেই পরিবহন শ্রমীকদের নিয়ে লাঠি মিছিল বের করা হল শহরে আতঙ্ক ছড়াতে , যাতে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ গনতান্ত্রিক কর্মসূচী উপলক্ষে নেতা-কর্মীরা নামতে সাহস না পায়।
অবশ্য তারা র্যাব-পুলিশকে রাষ্ট্রযন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। কিন্তু এইযে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে যিম্মি করে অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের হাতে ফেলা হল এর দায়ভার কে নিবে? বৈধ হোক আর অবৈধ হোক রাষ্ট্রের অবিভাবক হিসেবে আওয়ামীলীগকেই নিতে হবে! দেশের অর্থনীতিতে যে ভয়াবহ বিপর্যয় নামছে পরবর্তী যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক সামাল দিতে সীমাহীন বিড়ম্বনার শিকার হতে হবে।
আওয়ামীলীগের নের্তৃস্থানীয়রা সবাই নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে চলেছেন। নীতিহীন নেত্রীর অনৈতিক কর্মকান্ড ঢাকতে ও ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে অন্ধভাবে বিবেকবোধ বিসর্জন দিয়ে চাটুকারীতা করে চলেছেন। ক্ষমতার লোভে মরিয়া হয়ে বিরোধী জোটের উপর মিথ্যাচার করে চলেছেন।
ক্ষমতা আকড়িয়ে রাখার চেষ্টা ব্যর্থ্য হবে সাধারন জনগনের সামনে যখন স্পষ্ট হবে কারা দেশের জন্য উপকারী আর কারা ক্ষতিকর। বিরোধী জোটের ব্যাপারে তারা যখন এভাবে মিথ্যাচার করে চলেছেন, বিরোধী জোটের নের্তৃস্থানীয়রা রাজনৈতিকভাবে এর মোকাবিলা না করে তৃণমূলকে হতাশ করে গা ঢাকা দিচ্ছেন। বিরোধী জোটের নের্তৃস্থানীয়রা যারা গা ঢাকা দিয়ে আছেন তাদের জন্য শাড়ীর ব্যবস্থা করা উচিৎ তা না হলে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা খেই হারিয়ে ফেলতে পারেন!!
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমাদের মূক্তিযোদ্ধারা যথাযোগ্য মর্যাদা পাচ্ছেন না। নির্বিচারে তাদের অবদানকে পদদলীত করা হচ্ছে। সাধারনত বিরোধী জোটের ক্ষেত্রে এই বেদনা দায়ক অঘটন ঘটানো হচ্ছে।
ব্যাপারটি এমন দাড়িয়েছে আওয়ামীলীগের বিপক্ষে অবস্থান যারা নিচ্ছেন, যারা বিবেক তাড়িত হয়ে সত্যের পখে অবস্থান নিচ্ছেন সে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের চরম অপদস্ত হতে হচ্ছে পদে পদে। তুচ্ছ-তাচ্ছিল্ল করে রাজাকার বলে গালমন্দ করতেও দ্বীধা করা হচ্ছেনা। যারা সত্যিকার স্বাধীনতা যোদ্ধা, দেশের জন্য যারা জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তাদের পক্ষে অপর মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান-অপদস্ত, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্ল বেমাননই নয় চরম ধৃষ্টতার বহিপ্রকাশ বটে সে যে জোটেরই হোক। তবে রাতারাতি মুক্তিযোদ্ধা বনে যাওয়া সার্টিফিকেটধারী আওয়ামীলীগের অতি উৎসাহী কিছু ব্যক্তির মুখ থেকেই এগুলো বেশী শোনা যায়, ব্যাপারটি খুবই দুঃখজনক!! যারা দেশের জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তাদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন কাম্য।
শেখ হাসিনা যে হাস্যকর নির্বাচন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন, কান্ডজ্ঞানহীন হয়ে ক্ষমতা আকড়িয়ে রাখার যে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তা বুমেরাং হবে।
যুগে যুগে যারা যেখানেই ক্ষমতা আকড়িয়ে রাখার অপচেষ্টা চালিয়েছে তারা সকলেই চরমভাবে ব্যর্থ্য ও বিপর্যস্ত হয়েছে। ইতিহাস খেকে শিক্ষা গ্রহন করলেই কেবল বিপর্যয় এড়ানো সম্বব অন্যথায় বিপর্যয় অনিবার্য। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।