জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে নোয়াখালী উপকূলের হাতিয়ার জলদস্যুরা।
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ৬৩ টি ভোট কেন্দ্রে ২ লক্ষ ১৫ হাজার ২১৬ জন ভোটার জলদস্যু ও বনদস্যু আতংকে রয়েছেন। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৮ হাজার ৮০৭ জন। মহিলা ভোটার রয়েছে ১ লক্ষ ৬ হাজার ৫০৯ জন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসনাত মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন জানান ৬৩ টি কেন্দ্রই ঝুঁকি পুর্ন।
তবে নৌবাহীনি ও আইনশৃংখলা বাহিনীর মতে ৩৩ টি কেন্দ্র অধিক ঝুঁকি পুর্ন ও ২০ টি কেন্দ্র ঝুঁকি পুর্ন ভোট কেন্দ্র।
গত সেপ্টম্বর মাসের শেষের দিকে পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালনার পর কয়েক মাস পলাতক থাকার পর তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
আসন্ন ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে জলদস্যুরা পুনরায় একত্রিক হয়ে নলেরচরে গোপন বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও গত কয়েকদিনে তালিকাভুক্ত জলদস্যুদের অনেককে প্রকাশ্যে প্রধান সড়কে ও লোকালয়ে স্বসস্ত্র মহড়া দিতে দেখা গেছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে জলদস্যুরা লোকালয়ে চলে আসায় সাধারন ভোটার ও জনগনের মনে আতংক আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে জলদস্যু ফারুক কমান্ডার ও তার সহযোগীদের নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে উপজেলা সদরে স্বসস্ত্র মহড়া দিয়ে রাতে উপজেলা সদরের দক্ষিনে শন্যেরচর গ্রামে এক গোপন বৈঠকে মিলিত হয় বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গতকাল নিঝুমদ্বীপের বন্দরটিলা বৌবাজার এলাকায় ৩০/৩৫ জন ডাকাত ও কেয়ারিংচর কোল্ডষ্টোর বাজারের প্রায় ৩০ জন জলদসু্য এক গোপন বৈঠকে মিলিত হয়ে ভবিষ্যত কর্ম পরিকল্পনা তৈরী করেছেন বলে জানা যায়।
এছাড়াও জাহাজমারা ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর, ম্যাক পাশান এলাকা, কালামচর, মোক্তারিয়া, নতুনসুখচর ও বুড়িরচর ইউনিয়নের পুর্ব বড়দেইল, কালিরদেইল, আলাদীগ্রাম, ও কালিরচর এলাকায় প্রতিদিন প্রকাশ্যে অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে স্বসস্ত্র মহড়া দিচ্ছে নিহত এমরান ও কালাম বাহীনির সদস্যরা। বুড়িরচরের আনোয়ার হোসেন, জাহাজমারার আমিনুল হক, নিঝুমদ্বীপের শাহে আলম ও মফিজুল ইসলাম সহ অসংখ্য ভূমিহীন সাধারন ভোটার বলেন, কিছু জলদস্যু সদস্য নিহত, গ্রেফতার হলেও তাদের মুল হোতা ও গড়ফাদারদের গ্রেফতার করতে না পারায় জনমনে এখনো রয়েছে আতংক।
বর্তমান ডাকাতদের মধ্যে বেশি বেপরোয়া কালাম চৌধুরী গ্রুপ, বাহার কেরানী গ্রুপ, করিম ফিটার গ্রুপ, রানী বাহিনী গ্রুপ, টাইগার গ্রুপ, গেইস্যা ডাকাত গ্রুপ ।
তাদের প্রত্যেকের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র।
এসব দস্যু নদীতে ডাকাতির পাশাপাশি সরকারি ম্যানগ্রোভ (সংরক্ষিত বনাঞ্চল) বনায়নের গাছ কেটে ভূমিদখল করে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা করে তা বিক্রি করছে স্থানীয় ভূমিহীন বাসন্ধিাদের থেকে। এছাড়া লোকালয়েও চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কর্মতত্পরতা।
এনিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ কারো যেন কোনো মাথা ব্যথা নেই। নেই কোনো দায় দায়িত্ব।
মাঝে মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নাম মাত্র নানা কৌশল অবলম্বন করেও তাদেরকে আনতে পারছে না নিয়ন্ত্রণে। এনিয়ে চরম উদ্ধ্যেগ উত্কণ্ঠায় ও আতংকে রয়েছে সাধারন ভোটারা।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোঃ ফজলে রাব্বী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নোয়াখালী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান পিপিএম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বুধবার আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সর্মথকদের মধ্য ২/৩ জায়গায় সংঘর্ষ হয়েছে, পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।