আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তেভাগা দিবস

'জান দেব তো ধান দেব না', আধি নাই তেভাগা চাই' শ্লোগানে মুখর করা সেই দিনটি তেভাগা দিবস নামে পরিচিত। ব্রিটিশ ভারতে চল্লিশের দশকে তৎকালীন জমিদার ও জোত্দারদের নির্মম শোষণ, অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে অবিভক্ত বাংলার কৃষকরা যে বীরত্বপূর্ণ লড়াই শুরু করতে গিয়ে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন সেই সব শহীদদের রক্ত বৃথা যায়নি। জমিদারী প্রথা আজ রহিত। তার বিনিময়ে কোটি কৃষক জমির মালিকানার অধিকার পেয়েছে।

আজ থেকে ৬৩ বছর আগে দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জমিদার, জোতদারের অসহনীয় শোষণ, নির্যাতন ও লাঞ্চনার শিকার হতো এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া সাধারন বর্গাদার, আধিয়ার কৃষক।

অত্যাচার ও নির্যাতনে অতষ্টি হয়ে অত্যাচার জমিদার ও জোতদার ও সুদখোর মহাজনদের বিরুদ্ধে সঞ্চিত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকে। গড়ে ওঠে তেভাগা আন্দোলন।

এরপর শুরু হওয়া আন্দোলন ঠেকাতে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রশাসন জমিদার, জোতদার ও সুদখোর মহাজনদের পক্ষাবলম্বন করে ১৯৪৭ সালের ৪ জানুয়ারি পুলিশের গুলিতে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বাজিতপুর/তালপুকুর কেন্দুর বটতলার সামনে তেভাগা আন্দোলনের প্রথম শহীদ হন অধিকার আদায়ের বীর সৈনিক আধিয়ার শিবরাম মাঝি ও সমিরউদ্দিন।

অধিকারভিত্তিক উন্নয়ন ধারায় বিশ্বাসী তেভাগা চেতনা পরিষদ ২০০৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৪ জানুয়ারিকে তেভাগা দিবস হিসাবে পালন করে আসছে। তেভাগা আন্দোলনের প্রথম শহীদ সমীর উদ্দীন ও শিবরাম মাঝির স্মরণে দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার তালপুকুর-বাজিতপুর গ্রামের অবস্থিত শহীদ স্মৃতি স্তম্ভের পাদদেশে তেভাগা চেতনা পরিষদ দিনাজপুরসহ বিভিন্ন সংগঠন দিবসটি পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।