আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৯৭১ এ কাদেরীয়া বাহিনীর নীতিমালা:-

আমি আমার রব হিসাবে আল্লাহতায়ালাকে রাজি করাতে চাই। কাদেরীয়া বাহিনীতে পাঁচটি সেক্টরের অধীনে ৯৭টি কোম্পানী ছিল। কোম্পানী প্রধানদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের মধ্যে ছিলঃ ১) কাদেরীয়া বাহিনীর অর্ন্তভূক্ত সমস্ত এলাকা দ্রুততার সাথে পরিভ্রমণ করা; ২) স্বাধীনতার পক্ষে জনগণকে উৎসাহ দান; ৩) প্রয়োজনবোধে রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে দেয়া (হানাদারদের চলাফেরায় বিঘ্ন ঘটানোর জন্য); ৪) চুরি-ডাকাতি নিবারণ। কুখ্যাত চোর ডাকাতদের স্থানীয় জনসাধারণের পরমর্শ নিয়ে শাস্তি বিধান করা। এছাড়া ২৩ নং ইঞ্জিনিয়ারি ও সিগনাল প্লাটুনের উপর দায়িত্ব ছিল, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত সদস্যদের খবরা-খবর সম্ভলিত একটি নিখুঁত তালিক প্রণয়ন করে ১৫ দিনের মধ্যে অধিনায়কের নিকট পেশ করা বিভিন্ন জায়গা থেকে টেলিফোনের তার এনে এলাকার দূর্গোম স্থান সমূহের সাথে প্রধান কার্যালয়ের সংযোগ স্থাপন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কাদেরীয়া বাহিনীর কমান্ডারদেরকে কঠোরভাবে যেসব নীতিমালা মেনে চলার জন্য নির্দেশ দেন, তা হলোঃ ১) কোন কোম্পানী কমান্ডার কোন লোককে কোনও অপরাধের জন্য একক ক্ষমতাবলে মৃত্যুদন্ড দিতে পারবে না; ২) কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে সম্ভব হলে তাকে বাহিনীর প্রধান কাদের সিদ্দিকীর নিকট প্রেরণ করতে হবে; ৩) সাধারণ ছোট খাটো ব্যপারে স্থানীয় অবস্থার উপর দৃষ্টি রেখে মীমাংসা করতে হবে; ৪) খুন ও নারী ধর্ষণের অপরাধে অভিযুক্তকে কোন কোম্পানী কমান্ডার নিজ ক্ষমতাবলে মুক্তি দিতে পারবে না; ৫) খুন ও ধর্ষণের চেয়ে কম অপরাধমূলক যেকোন ঘটনার বিচার কমান্ডাররা করতে পারবে। প্রতিটি বিচার সালিশের রেকর্ড সদর দপ্তরে পাঠাতে হবে; ৬) কোন বিচার এককভাবে করা যাবে না। কমপক্ষে দু’জন সহযোদ্ধা ও একজন স্থানীয় ব্যক্তির সাথে পরামর্শ করে সম্পন্ন করতে হবে; ৭) বিশেষ অপরাধের (যেমন- খুন, নারী ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ) বিচারের জন্য অভিযুক্ত কেউ সদর দপ্তরে পাঠানো অনেক সম্ভব নাও হতে পারে। এমতাবস্থায়, কমান্ডার, সহকারী কমান্ডার, একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ও ৩জন সহযোদ্ধাকে নিয়ে গঠিত একটি ‘বিচার সভা’ অপরাধীকে চরমদন্ড প্রদান করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৪ জনকে একমত হতে হবে; ৮) যুদ্ধে ধৃত কোন ব্যক্তির সাথে অসদাচরণ করতে পারবে না।

খবর সংগ্রহের জন্য যদি কিছু করার প্রয়োজন হয়ে পরে সেটা ব্যতিক্রম। কোন সশস্ত্র সৈন্যও যদি অস্ত্র ফেলে আত্মসমর্পন করতে চায় বা করে তাহলে তার প্রতি ন্যায় বিচার করতে হবে; ৯) কোন অপরাধের সন্দেহে ধরে আনা কোন লোক সত্যিকারভাবে অপরাধী প্রমাণীত হলেও তার আত্মীয় স্বজন, পিতা-মাতা বা পুত্র কন্যার সাথে অসম্মানজনক ব্যবহার করা চলবে না; ১০) কোন ব্যাপারে সকলে একমত হতে না পারলেও সংখ্যা গুরুর রায়কে সঠিক বলে মেনে নিতে হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।