শুক্রবার আরব নিউজের খবরে বলা হয়, সৌদি আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী সালেহ আল-আশেখ এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “এ ধরনের ইমামদের প্রশিক্ষণ দিতে আমরা একটি পরামর্শক প্যানেল তৈরি করেছি। তারা ঠিকভাবে সাড়া দিলে এবং নির্দেশনা মেনে চললে ইমামতি চালিয়ে যেতে পারবেন। আর তা না হলে আমরা তাদের বলে দেব, আপনি ইমামতি করার উপযুক্ত নন। ”
কেউ যাতে এই নির্দেশনা লংঘন করতে না পারে সেজন্য সব মসজিদ ও ইমামের ওপর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নজরদারি চালানো হবে বলেও জানান তিনি।
সৌদি মন্ত্রী বলেন, “খুতবায় রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে সমাজে বিভেদ তৈরি হবে এবং মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়াবে। ধর্ম প্রচারকদের উচিত আল্লাহ ও তার নবীর বাণী প্রচার করা এবং মানুষকে ধর্ম পালনে উৎসাহিত করা। ”
তার এ ঘোষণাকে অনেকে সমর্থন জানালেও আপত্তি তুলেছেন কেউ কেউ।
ইমামদের রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত রাখার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এক সৌদি শিক্ষক বলেন, “মসজিদ ও এ ধরনের অন্যান্য প্লাটফর্ম জনগণের কল্যাণে ব্যবহার হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে নির্দেশনা থাকাটা সবচেয়ে ভালো উপায়।
উগ্রপন্থীরা যে ভুল ভাবমূর্তি তৈরি করেছে তা শোধরাতে উদ্যোগ নিতে হবে। ”
এ উদ্যোগের বিরোধিতা করে ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত এক সৌদি নাগরিক বলেন, “জীবনের অন্যান্য দিক থেকে ইসলামকে আলাদা করলে ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিস্থিতি তৈরি হবে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।