বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম টেস্ট স্টেটাস পাওয়ার পর থেকে আজ অবধি জাতীয় দলে অনেকের অভিষেক হয়েছে , তার মধ্যে কিছু খেলোয়ার ছিলেন যারা এক বা দুই ম্যাচ খেলেই বাদ পরে গেছেন এবং আর কোনদিন জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান নি । অনেকে হয়ত তাদের নামই ভুলে গেছেন । সেই সব অভাগা খেলোয়ার দের নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে আমার এই প্রচেষ্টা ।
আজ থাকছে মিডিয়াম ফাস্ট বোলার আলমগীর কবির এর গল্প ।
আলমগীর কবির ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার ।
খুব বেশি উচু না হলেও তার ফিটনেস ছিল অনেকের চেয়ে ভাল । একটানা বল করে যেতে পারতেন । তার বোলিং এ যে দিকটা ছিল চোখে পরর মত তা হল ইনসুইং ও নিখুত লাইন লেন্থ । ঘোরোয়া ক্রিকেট এ নজর করা পারফরম্যান্স করে তিনি জাতীয়দলে আসেন । বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ফাস্ট বোলার দের চেয়েও তার ঘরোয়া পরিসংখ্যান ছিল যতেষ্ঠ শক্তিশালি ।
প্রথমশ্রেনীর ক্রিকেট এ ৫৪ ম্যাচ এ ১৮২ উইকেট শিকার করেন তিনি । আর বোলিং গড় ও ছিল দেখার মত ২৫.৭১ !
শুরুতে এত কিছু বলার কারন হচ্ছে আলমগীর কবির আসলেই অভাগা ছিলেন । না হলে তিনটা টেস্ট ম্যাচ খেলার পরও তার যুলিতে উইকেট এর ঘর ফাকা থাকবে কের !
২১ বছর বয়সে জাতীয় দলে অভিষেক হয় আলমগীর কবিরের । শ্রীলংকার বিপক্ষে ২০০২ সালের দুই ম্যাচ সিরিজ এর প্রথম টেস্টেই খেলতে নামেন আলমগীর কবির । নতুন বলে দারুন সব ইনসুইংগার দিতে থাকেন কিন্তু দুর্ভাগ্য কোন উইকেট পেলেন না ।
তিনি যেই রকম বোলিং করেছিলেন ৩/৪ টা উইকেট পেতেই পারতেন । ম্যাচ শেষে তার বোলিং ফিগার দাড়ায় ১৫ ওভার ১ মেডেন ৮২ রান উইকেট শুন্য । বাংলাদেশ ইনিংস ব্যাবধানে হারায় এই ম্যাচে আর বোলিং করার সুযোগ পান নি ।
এর পর তিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আরো দুই বার টেস্ট খেলার সুযোগ পান । কিন্তু বরাবরই তিনি উইকেট শুন্য থাকেন ।
আর চিরাচরিত নিয়ম অনুয়াযী বাংলাদেশ দলে তাকে আর দেখা যায় নি ।
এভাবেই প্রতিভাবান এই বোলার এর জাতীয়দলের অধ্যায় শেষ হয় ।
আলমগীর কবির ।
তথ্যসুত্র : ক্রিকইনফো ।
আগের পর্বগুলো :
বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম এর অভাগা খেলোয়ার দের গল্প ।
পর্ব - ১
বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম এর অভাগা খেলোয়ার দের গল্প । পর্ব - ২
বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম এর অভাগা খেলোয়ার দের গল্প । পর্ব - ৩
বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম এর অভাগা খেলোয়ার দের গল্প । পর্ব - ৪
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।