বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার পথেই কি ভুল করলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ?
রাজনীতির অন্দরমহলে এই হিসাব-নিকাশ এখন চলছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিএনপি জোটের ভোট বর্জনের মুখে মহাজোটের আসন ভাগাভাগিতে জাতীয় পার্টিকে ৭০টি আসনে ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এরশাদ নির্বাচনে যেভাবে যোগ দিয়েছিলেন তাতে হঠাৎ কাউকে কিছু না বলে রণেভঙ্গ না দিয়ে ভোটের ময়দানে নামলে আরও ২০-২৫টি আসন পেতেন। এতে সরকার যেমন স্বস্তিতে থাকত,তেমনি এরশাদও আগামীতে মহিলা আসন মিলিয়ে শতাধিক এমপি নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা হতেন। এতে তার পার্টি রাজনীতিতে এমপিনির্ভর এলাকাগুলোয় শক্তিশালী ঘাঁটি তৈরি করতে পারত।
জাতীয় পার্টির পুনর্জীবন লাভ হতো। অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশের সর্বশেষ পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের বিশাল বিজয়ের পর তার কর্মী-সমর্থকরা যখন উজ্জীবিত তখন আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যোগদানের ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামলে ভোটযুদ্ধের চেহারাই পাল্টে যেত। ভোটের হাওয়া ধানের শীষে দোলা দিত।
প্রশাসনসহ সব মহল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর নিশ্চিত হয়েছিল জনমত বিএনপির দিকেই ঝুঁকছে। সেই জনমত ফেরানোর মতো সময় যেমন আওয়ামী লীগের হাতে ছিল না তেমনি জনমত উপেক্ষা করে গণরায় ছিনতাইয়ের নির্বাচনেরও সুযোগ ছিল না।
গোটা দুনিয়ার পর্যবেক্ষক মহল থাকত ভোটের ময়দানে সক্রিয়। বরাবরের মতো এবারও সেনাবাহিনী রাখত নিরপেক্ষ ভূমিকা। সরকারের অনুগত প্রশাসনও হাওয়া বুঝে সুর বদলে নিরপেক্ষ হয়ে যেত। আর প্রশাসনের যারা সুবিধাবঞ্চিত সেসব কর্মকর্তাও বিএনপির পাশে দাঁড়াতেন। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ফলাফল যাই হোক তা মানতে শেখ হাসিনা রাজি ছিলেন।
কিন্তু নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি না মানার ক্ষেত্রে ছিলেন অনড়। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন থেকে তার প্রতিনিধি তারানকো ও কূটনৈতিক মহলের দৌড়ঝাঁপে কেউই বলেননি সংবিধানের বাইরে সমঝোতা, যা বিএনপি চেয়ে আসছে। মধ্যস্থতাকারী বিদেশিরা সংবিধানের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতা নির্বাচনকালে খর্ব করেই সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য সমঝোতার নির্বাচন চেয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি ডানা কাটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেও নির্বাচনে রাজি হয়নি। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ছিলেন অনড়- শেখ হাসিনাকে সরে দাঁড়াতেই হবে।
তারানকো থেকে বিদেশি কূটনীতিক কেউই বলতে পারছিলেন না বা এ যুক্তিতে আসতে পারেননি যে একজন নির্বাচিত সাংবিধানিক প্রধানমন্ত্রীকে বলবেন_ সরে দাঁড়ান। মধ্যস্থতাকারীদের অবস্থান ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও এখানেই শেখ হাসিনার অনুকূলে গেছে। কিন্তু খালেদা জিয়া ছিলেন সেই '৯৬ সালে যেভাবে শেখ হাসিনা তাকে তত্ত্বাবধায়ক মানতে বাধ্য করেছিলেন সেটি এবার ফিরিয়ে দিতে অনড়। এটাই প্রথম ভুল।
পর্যবেক্ষকদের ভাষায় আওয়ামী লীগ জোটের কট্টরপন্থিদের আপত্তির মুখে শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে গণভবনে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
কিন্তু খালেদা জিয়া সেই আমন্ত্রণে সাড়া না দিয়ে দ্বিতীয় ভুলটি করেন। তিনি যদি গণভবনে যেতেন তাহলে আলোচনা ব্যর্থ হলেও জনমত তার পক্ষে যেত। আর সফল হলেও একেবারে খালি হাতে ফিরতেন না। প্রশাসন ঢেলে সাজানো, সেনাবাহিনীর নির্বাচনে ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ অনেক কিছুই আদায় হতো। কিন্তু তিনি সে সুযোগটি হাতছাড়া করেন সেই অদৃশ্য শক্তির কারণে।
বিএনপির যুক্তরাজ্যভিত্তিক নীতিনির্ধারণী জায়গা থেকেও হার্ডলাইন নেওয়ার বার্তা এসেছিল। সর্বশেষ তারানকোর মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের বৈঠকের মধ্য দিয়ে যদি শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যেতে বিএনপি নেত্রী সম্মত হতেন তাহলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অনেক মন্ত্রণালয় পেত বিএনপি জোট। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতার লাগামটিও টেনে দিতেন মধ্যস্থতাকারীরা। কিন্তু শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন নয়, এই জেদ বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলেছে। পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করেন বিএনপি জোটের বিদেশি মুরবি্বরাও হয়তো আশ্বস্ত করেছিলেন এই মর্মে যে বিএনপি নির্বাচনে না এলে দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।
কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধীদলীয় নেতা সিটি করপোরেশন নির্বাচন-উত্তরই হোক আর সর্বশেষ তারানকোর সফরকালেই হোক আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে গেলে ফলাফল অনুকূলে যেত। না হয় আজকের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার যুগে, বিশ্ব মিডিয়ার দৃষ্টির ভেতর কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সরব উপস্থিতিতে সরকার কোনোভাবেই নির্বাচনে কারচুপির পথে হাঁটতে পারত না। আর হাঁটলেই আন্দোলনে গণমানুষের সম্পৃক্ততা ঘটত যা গ্রাম থেকে রাজধানী ঢাকা নগরীতে আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিত। এখানেও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভুলের নেপথ্যে বিদেশি মুরবি্ব আর লন্ডনের নীতিনির্ধারক পর্যায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত পাঁচটি বছর জামায়াত-শিবির যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় সহিংস পথে হাঁটলেও বিএনপির মাঠনেতারা হেঁটেছিলেন ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে।
এখন রাজনীতিতে বিএনপির নির্বাচন প্রতিরোধ আন্দোলন ও জামায়াতের যুদ্ধাপরাধী রক্ষার সহিংস কর্মসূচি এক কাতারে দাঁড়িয়ে গেছে। পেট্রলবোমায় মানুষ হত্যা, বাস-রেলে নাশকতা মিলিয়ে মৃত্যুর মিছিলের দায় জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির কাঁধে উঠছে। দুনিয়া বিরোধী দলের আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসের সহিংস রূপ দেখছে। এ সহিংসতার দায় এড়াতে বিএনপি মাঠের দূরত্ব রাখতে চাইলেই তার প্রধান শরিক জামায়াতে ইসলামী অসন্তুষ্ট হচ্ছে, কখনো বা কর্মসূচিতে নীরবতা পালন করছে। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনমুখী হলে নিজেরাই লাভবান হতো না, দেশও এই অর্থনৈতিক বিপর্যয়, প্রাণহানি আর সম্পদহানি থেকে রক্ষা পেত।
পর্যবেক্ষকদের ভাষায়, মানুষের ভাষা সরকার বুঝতে পারে না, জানা কথা, কিন্তু এবার বিএনপি সিটি নির্বাচন দেখেও মানুষের ভাষা বুঝল না! আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের সেনাশাসক ইয়াহিয়া খানের 'এক ব্যক্তি এক ভোট' সিদ্ধান্ত পেয়েই জনরায় পক্ষে উপলব্ধি করে '৭০-এর নির্বাচনে অনেকের আপত্তির মুখে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আপত্তিকারীরা পরাজিত হলেও বঙ্গবন্ধু ও তার জনগণ জিতেছিল। '৭৫-উত্তর সেনাশাসন জমানায় আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম আবদুস সামাদ আজাদসহ অনেককে সামরিক আদালতের বিচার নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছিল। দলের নেতা-কর্মীরা যখন কারাগারে, দলটির ওপর যখন অবর্ণনীয় নির্যাতন তখনাে কঠিন সময়ে '৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে মাত্র ৩৯টি আসন নিয়ে আওয়ামী লীগ সংসদে বসেছিল। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে দলটি সেদিন মালেক উকিলই নয়, তোফায়েল আহমেদের মতো নেতার গণরায় ছিনতাইয়ের দৃশ্য সহ্য করে পথ হেঁটেছে।
'৭৮ ও '৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ ফলাফল জেনেই যোগ দিয়েছিল। পর্যবেক্ষকদের অনেকেই বলছেন, শেখ হাসিনার অধীনেও আজকের বিএনপি জোট অংশ নিলে আর যাই হোক আওয়ামী লীগের ওইসব নির্বাচনের ফলাফল ঘটত না। হয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেত না হয় ব্যাপক গণআন্দোলনের শক্তি ও সমর্থন খুঁজে পেত। সিদ্ধান্তগত ভুলের কারণে সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে বিএনপির। আওয়ামী লীগ সরকার এ নির্বাচন শেষ হলেই সরকার গঠনের পর উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পথে হাঁটবে।
এতে গ্রামগঞ্জে ভোটের হাওয়া বইবে। বিএনপি দলকে ধরে রাখতে পারবে না। যেমন '৮৫ সালে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন থেকে কর্মীদের ধরে রাখতে পারেনি। আর যদি পরিস্থিতি এভাবেই চলে তাহলে জরুরি অবস্থা জারি করে সহিংস সন্ত্রাসের পথ রুখে দিতে পারে সরকার।
সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে গণতন্ত্রের ২২ বছরে যখন যারা ক্ষমতায় এসেছেন তারাই মামলা ঝুলিয়ে তাকে স্বাধীনভাবে পথ হাঁটতে দেননি।
পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই সুযোগ দিলে এরশাদ জনসমর্থন নিয়ে ভোটের ময়দানে শক্তিশালীরূপে আবিভর্ূত হবেন বলেই তারা তা হতে দেননি। কিন্তু দুটি দলই ১৯৯১ ও '৯৬ সালের ফলাফল দেখার পর এরশাদকে হাতছাড়া করতে চাননি, কাছে টেনেছে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি সরকার এরশাদকে কারা নির্যাতন ও তার পার্টির ওপর যতটা দমন চালিয়েছে তুলনামূলকভাবে কম করেছে আওয়ামী লীগ। মামলায় ঝুলিয়ে রাখলেও আওয়ামী লীগ তাকে মুক্তি দিয়েছে তার সমর্থন পাওয়ার কারণে। চারদলীয় জোটে না গেলে এরশাদকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড ভোগ করতে হতো না।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এরশাদেরও ন্যায্য অভিমান-অনুযোগ রয়েছে- জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পল্টনে গিয়ে মহাজোট নির্মাণের সাফল্য এনে দিলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে তাকে দেওয়া আসনের ১৭-১৮টিতেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিয়ে দেয়। ক্ষমতায় আসার পর তার মামলা প্রত্যাহার হয়নি, দিনের পর দিন আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে। অন্যদিকে তাকে ও তার পার্টিকে সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। এরশাদ চেয়েছিলেন নির্বাচনের দুই বছর আগে একক নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে সরকারের সমালোচনায় তিনি মাঠ-ময়দান চষে বেড়াবেন। এতে বিএনপি নির্বাচনে না এলে বা এলেও তাদের জনসমর্থন অনেকটাই নিজের কাছে টেনে নেবেন।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এরশাদ যদি বিএনপির কাছে চলে যান এ আশঙ্কায় সরকার তাকে মহাজোট ছেড়ে এক বছর আগেও মাঠে নামতে দেয়নি। তবে বিএনপির বর্জনের মুখে এরশাদকে যে ছাড় দিয়ে আওয়ামী লীগ ভোটে এনেছিল তাতে যোগ দিয়েও তিনি শেষ মুহূর্তে বর্জনের ঘোষণা দেওয়ায় সরকার বেকায়দায় পড়ে। সর্বদলীয় সরকারে এরশাদের ছয়জন মন্ত্রী-উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়ে ৭০টি আসন ছেড়ে দিতে সম্মত হলেও নাটকীয়ভাবে কেন তিনি এ সিদ্ধান্ত নিলেন তার হিসাব অনেকের কাছে মিলছে না। সিএমএইচে চিকিৎসাধীন এরশাদ কেমন আছেন, কেমন কাটছে তার দিনকাল ইদানীং মানুষ তাও জানে না। তবে সরকারের ওপর মহল থেকে নানা মহলে খবর রয়েছে, বিএনপির ভোট বর্জন ও সহিংস সন্ত্রাসের মুখে কোনো এক অদৃশ্য শক্তি তাকে হয়তো প্রাণনাশসহ নানা হুমকি দিয়েছিল।
এমনকি এরশাদ নির্বাচন বর্জন করলেই ভোটের বদলে অন্য শক্তি ক্ষমতায় আসছে, এমন বার্তাও দেওয়া হয়েছিল। পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করেন, ২০০৭ সালের বাতিল ২২ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি এরশাদকে সঙ্গে চেয়েছিল। আলোচনা অনেক দূর গড়িয়েছিল। এরশাদ বিএনপি শাসকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দুই দিন অন্তর্ধান থেকে ছুটে গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের মঞ্চে। বিএনপির পক্ষে তাকে অনেক হুমকি-ধমকিও দেওয়া হয়েছিল।
সেই বিএনপি ফের ক্ষমতায় এলে প্রতিশোধপরায়ণ হতে পারে এমন আশঙ্কাও এরশাদ করে থাকতে পারেন। সূত্র জানায়, এরশাদের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত ঘিরে তিনি ও তার জাতীয় পার্টি বেকায়দায় পড়লেও বিএনপি তার পাশে নৈতিক সমর্থন দিয়ে দাঁড়ায়নি। এরশাদের বিশ্বস্ত স্বজনরা জানেন তার জন্য আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপি অনেক ভয়ঙ্কর। বিএনপিকে ক্ষমতাচ্যুত করে এরশাদ ক্ষমতা নিয়েছিলেন। বিএনপি তা ভুলতে পারেনি।
ভোটের জন্য জোটে নিতে চাইলেও আওয়ামী লীগের মতো ছাড় দিতেও নারাজ। প্রাপ্তিযোগেও মন্দের ভালো আওয়ামী লীগ। এরশাদের জীবনে কঠিন কঠিন সময়ে তার সহধর্মিণী রওশন পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবারও দাঁড়িয়েছেন। তার ডান হাত খ্যাত ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, জিয়াউদ্দিন বাবলু এমনকি কাজী ফিরোজ রশীদ ও তার ভাই জি এম কাদের অনেক কৌশলেই পার্টির ঐক্য রক্ষা করেছেন।
মাঝখানে এরশাদের এ অবস্থান পরিবর্তনের কারণে দশম সংসদে জাতীয় পার্টি বড় ধরনের বিরোধী দলের ভূমিকা নিতে পারেনি। অনেকে মনে করেন, এরশাদ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের বিষয় গণমাধ্যমে প্রকাশ করে অনেকটা সেই ভুল করেছেন ভারতের প্রবীণ রাজনীতিবিদ, আজকের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া দেখা করতে না গিয়ে যে ভুলটি করেছিলেন। এখন নতুন সরকার ও সংসদ অব্যাহত থাকলে এরশাদের জাতীয় পার্টিই যে হবে বিরোধী দল তাতে সন্দেহ নেই। এমনকি জাতীয় ঐক্যের সরকারে তাদের প্রতিনিধিও থাকবে। ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টির নেতাও এরশাদ।
তাই সামনে দেখার পালা সিএমএইচ থেকে ফিরে এরশাদ কী করেন আর কী বলেন তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ব্যাপারে। তবে সংসদে এলেও তার পেছনে যে বহর থাকার কথা তা থাকছে না। তবে নির্বাচন বর্জনের সময় এরশাদ বলেছিলেন, তার কবির হৃদয় দিয়ে এত সংঘাত, এত প্রাণহানির নির্বাচনে তিনি যেতে পারেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।