রোববার দুপুরে উপজেলার উত্তর ঢেমশা বড়ুয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামায়াত-শিবির কর্মীরা ককটেল ফাটিয়ে কেন্দ্রে হামলা চালায়। এরপর তারা লাঠিসোটা নিয়ে দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও পোলিং এজেন্টের মারধার করে এবং কুপিয়ে আহত করে।
এ সময় হামলাকারীরা ভোট কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষের টেবিলে থাকা অব্যবহৃত ব্যালট নিয়ে যায়, একটি কক্ষে আগুনও দেয়।
হামলায় এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার জামাল উদ্দিন ও দুই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নাজিমুল ইসলাম ও অনীল বড়ুয়া আহত হন।
কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশ সদস্য গুলি ছুড়েও হামলাকারীদের থামাতে পারেননি।
পুলিশ জানায় বেলা সাড়ে ১২টার পর প্রায় দুইশ জামায়াত-শিবির কর্মী জড়ো হয়ে কেন্দ্রের চারপাশ থেকে হামলা চালায়।
কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা এসআই তাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরিস্থিতি খারাপ দেখে আমি ও কনস্টেবল নিখিল একটি কক্ষে অবস্থান নিয়ে গুলি করি। এক পর্যায়ে গুলি শেষ হয়ে গেলে তারা আমাদের ঘিরে ধরে ব্যাপক মারধর করে। ”
এসআই তাজুল ও কনস্টেবল নিখিলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে গেছে।
হামলা শুরুর পর প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ভোটগ্রহণে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও পোলিং এজেন্টরা একটি কক্ষে অবস্থান নেন। জামায়াত-শিবির কর্মীরা ওই কক্ষে গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসার জামাল উদ্দিনের দুই হাত থেতলে দেয় এবং কোপায়।
তার সহকারী নাজিমুল ইসলামের চোখে ককটেলের প্লিন্টারের আঘাত লেগেছে বলে পুলিশ সদস্যরা জানান। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রায় আধ ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়ে হামলাকারীরা।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি কিরিচ ও একটি ককটেল উদ্ধার করে।
কেন্দ্রটিতে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও সেনাসদস্য মোতায়েন করা হলেও বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ কার্যত বন্ধ ছিল।
শনিবার রাতে এই কেন্দ্রে আগুন দেয় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। তখন কেন্দ্রে কেউ ছিলেন না। রাতের আঁধারে কেন্দ্রে যাওয়ার তিনটি রাস্তায় গাছ কেটে ফেলে প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করে তারা।
১৭১৫ জন ভোটারের এ কেন্দ্রে হামলার আগে মাত্র ৪০ জনের মত ভোটর ভোট দেন বলে নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।