হারব বলে আসিনি,কাঁদব বলে হাসিনি
বিশ্বাস করেন আর নাই করেন পৃথিবীর সবচাইতে সহজ কাজ মিথ্যা কথা বলা । আপনি জীবনের কোন না কোন সময় মিথ্যা কথা কইসেন। একমাত্র মহানবী(স)ছাড়া সব মানুষই মিথ্যা কথা বলসে বলেই আমার বিশ্বাস। ঠিক আছে আপনি মিথ্যা কথা বলেন । কিন্তু তাই বইলা এতটা? এমন মিথ্যা বলার মানে টা কি?
‘যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী তারাই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
যারা জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে তারা নির্বাচনে যায়নি। ’ - হাসিনা
ওয়াও! কেয়া বাত হ্যায়! তা দিদি ভোট কটা পড়ছে? ১ পারসেন্ট?যান আরেকটা শুন্য নাহয় বাড়ায় দিলাম ১০ পারসেন্ট। ভোটারদের মধ্যে বাকি রইল ৯০ পারসেন্ট । এরা সবাই হইল জঙ্গীবাদে বিশ্বাসী। এদের ভিতরে মুক্তিযুদ্ধের কোন চেতনা নাই।
এরা রাজাকার।
আমরা তো অন্ধ সবাই আপা,কিচ্ছু দেখি না। চক্ষু ঘুরে মাথার পিছন দিকে চলে গেছে । এখন খালি নৌকাই দেখি চতুর্দিকে ।
লোল রে লোল।
সবাই চেতনাধারী হইলে আপনার মত বড় বড় কথা বলার লোক/মহিলা তো আর খুইজা পাওয়া যাইব না। কয়দিন পর আম্লীগের সমর্থকেরা বুকে চেতনাধারী ভোটার সাইনবোর্ড লাগায় লাগায় ঘুড়বে ।
-তুই কে?
-চেতনাধারী।
-চেতনাধারী কি?
-যে চেতনা বিক্রি কইরা খায়।
চেতনার সংজ্ঞাই তো বদলায় দিসেন ।
ভাল ভাল । দেখান আরো কত কি দেখাইবেন । দেইখেন সব খেলনা একবারে দেখায় ফালাইএন না, তখন কুমিরের সাত বাইচ্চার মত অবস্থা হবে কিন্তু। এক জিনিস ঘুড়ায় ফিরায় দেখাইতে থাকবেন ।
আমি তো এইটা কইতেসি না যে বি এনপি আর কাক্কুর দল খুব ভাল।
গোলাপ মে বানা দিয়া গোলাপি এন্ড কাক্কু কো র্যাব নে বানা দি রোগী । তারা আপাতত হিসাবে আইতেসে না। কেন আইবো না?
এদেশ তো আর গনতান্ত্রিক দেশ না। এইটা হইল হিটলারের দেশ। একটা ওয়েবসাইটে আপনারে দেখলাম ডিক্টেটরশিপে হিটলারের উপরে অবস্থান করতেসেন।
সাবাশ বাঙালি সাবাশ ।
রবি ঠাকুর তো কইয়াই গেছেন
''সাত কোটি মানুষের হে মুগ্ধ জননী,
রেখেছ বাঙ্গালী করে মানুষ কর নি । ''
উনি ভবিষ্যত দেখতে পাইতেন । সম্ভবত দুই মহিলা আর
এক কাক্কুর জন্য উনি লেখে গেছেন। (হলুদ কাক্কু কালো র্যাবটারে তো এখন ভালই সাইজ করে রাখসেন ওইটা নিয়া কিছু বললাম না।
)
আপনাদের জন্যই আমাদের তরুন প্রজন্ম রাজনীতি করে নাহ । মা বাবার সামনে সাহস করে বলতে পারে না রাজনীতি করব। পলিটীক্স তো না!ওইটা পলিট্রিক্স।
দেশটার এতই বাজে অবস্থা করে রাখসেন যে বাসার থেকে বাইর হইতে ভয় লাগে। মনে হয় না আরেকটা দিনের আলো দেখতে পারব কিনা ।
আমার আব্বা সেইদিন আফসোস কইরা বলতেসিলো, বাইর হইতেও তো ভয় লাগে বাসা থেকে। তারপরেও তো বাইর হইতে হয় কি করব? নিজের বাপের দিকে তাকাইতেও লজ্জা লাগতেসিলো। এই দেশে জন্ম নিসি বইলা নিজের উপরে রাগ হইতেসিলো।
আমেরিকা ইন্ডিয়ার আমাদের দেশ নিয়ে এত মাথা ব্যাথা কিসের??দেশটারে গাপ কইরা দিবার মতলবে আসে । এখন আপনারা এমন অবস্থা করসেন আমেরিকা ইন্ডিয়া হস্তখেপ করলেও কিছু বলতে পারব না।
ইউনিটি নাই । তারপরেও স্বপ্ন দেখি ইন্ডিয়া আমাদের দেশ কে আক্রমণ করতেসে । তারপর আপ্নারা তো কিচ্ছু করবেন না। যা করার আমাদের করতেই হবে। তখন আমার ত মনে হয় না ছাত্র লীগ আর ছাত্র দলে কোন পার্থক্য থাকবে ১৯৭১ এ যেমন ছিল না।
অন্তত ইউনিটী টা ফিরে আসবে। দ্বিতীয়বার দেশ স্বাধীন করার পর আপনাদের সবাইরে দেশ থাইকা বিতাড়িত করব। আমাদের মধ্যে থেকেই কেউ না কেউ দাঁড়ায় যাবে ক্ষমতায়। অবশ্যই তারে আমরা ভোট দিব।
কি রকম অবস্থা করসেন দেশটার দেখেন,একজন মানুষ যুদ্ধের প্রত্যাশা করে ।
ফেইসবুকে একবার একটা ফটো দেখসিলাম আপনি ব্যাডমিন্টন খেলতেসেন। আসলেই তো খেলতেসেন । পাঁচ বছর উনি খেলবেন পাঁচ বছর আপনি । ও দুঃখিত একটা ভুল হইল । আপনার তো দশ বছর লাগে।
আমাদেরকে কর্ক বানায় অনেক তো খেললেন । এবার একটু ক্ষান্ত দেন না। আমরা ক্লান্ত । কর্কের জীবনে আটকা পরে থাকব তাই বলে?
সুমন ভাইয়ের আমজনতা গানের কয়েকটা লাইন খুব মনে পড়তেসে,
''ফটোশপে মেকাপ করা আমার দেশের ছবি,
হাহা আমার সোনার বাংলা তোমায় ভালবাসি''
থু থু দেই শালার রাজনীতির মুখে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।