জার্মানি শুধু ইউরোপ নয় বিশ্বের ধনী দেশগুলোর অন্যতম একটি। এটি সেনজেনভুক্ত দেশগুলোর মধ্যেও অন্যতম। তথ্য-প্রযুক্তিতে অগ্রসরমান এই দেশটি শিক্ষাদীক্ষাসহ নানা দিক দিয়ে ইউরোপের শীর্ষস্থানীয়। বর্তমানে দেশটি রাজনৈতিকভাবে পূর্ণ স্থিতিশীল এবং শান্তিপূর্ণ। বিশেষ করে দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত আধুনিক এবং যুগোপযোগী।
রয়েছে বিশ্বের অনেক নামিদামী বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেধাবীসহ সব ধরনের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানিকে নির্দ্বিধায় বেছে নিচ্ছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ থেকে পিছিয়ে নেয়। উদ্দেশ্য একটাই সেখান থেকে যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষা অর্জন। জার্মানির প্রায় সব কটি বিশ্ববিদ্যালয়ই সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত।
তাই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিকভাবেই সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি এবং সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগও সীমিত। তবে ঢাকার ধানমন্ডিস্থ এডুকেশন কনসালটেন্সি ফার্ম 'ভিসা ওয়ার্ল্ডওয়াইড' দেশেই জার্মানীর বিখ্যাত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পট এডমিশনের আয়োজন করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দেশটিতে পড়াশোনার ব্যাপারটি অনেক সহজতর করেছে। সে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি বছরজুড়েই শিক্ষার্থীদের জার্মানিতে পড়াশোনার ব্যাপারে সামগ্রিক সহায়তা দিচ্ছে। উল্লেখ্য,University of Applied Science, Ernst-Abbe-Fachhochschule Jena এর ডিরেক্টর Mr. Uwe Scharlock সম্প্রতি ভিসা কার্যালয়ে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির লেটার হস্তান্তর করেন। বিষয়গুলো হচ্ছে ব্যাচেলরস্/মাস্টার্স ইন Automation Engineering, Biotechnology, Business Administration, Communication and Media Technology, Computer Engineering, E-Commerce, Electrical Engineering, Laser & Optotechnologies, Materials Engineering, Mechanical Engineering, Mechatronics, Medical Engineering, Physics & Precision Engineering. আরও উল্লেখ্য যে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উচ্চশিক্ষার জন্য কোনো টিউশন ফির দরকার হয় না।
পত্রপত্রিকাতে প্রায়ই নানা ধরনের আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দেখা যায়, জার্মানিতে পড়াশোনার জন্য কোনো টাকা পয়সা লাগে না। কিন্তু ব্যাপারটি পুরোপুরি সত্য নয়। কারণ জার্মান ভাষা শিক্ষার জন্য ২,০০০ থেকে ৪,০০০ ইউরোর মতো খরচ হতে পারে। সেই সঙ্গে আবাসনের খরচের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়। একই সঙ্গে বলতে হয় যে, জার্মানিতে খণ্ডকালীন চাকরি সচরাচর পাওয়া গেলেও সেখানে যাওয়ার মুখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিত পড়াশোনা।
সেই সঙ্গে উজ্জল ভবিষ্যতের জন্য একটি মানসম্মত ডিগ্রি লাভ। তবে সব কিছুই সহজতর হয় জার্মান ভাষা জানা থাকলে। সেজন্য যারা জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার কথা ভাবছেন তাদের উচিত দেশটির উদ্দেশে যাত্রার আগেই বাংলাদেশস্থ জার্মান ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র গ্যাটে ইন্সটিটিউট বা অন্যান্য ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে জার্মান ভাষা শিখে নেওয়া। পাশাপাশি কোনোভাবে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে শর্টকাট ওয়ে বেছে নেওয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখতে হবে। বিভিন্ন জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে জানতে ০১৯১২৪৮৬১৮৩ ডায়াল করতে পারেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রেও কিছু নিয়মনীতি অবশ্যই মানতে হয়। এগুলোর একটি হচ্ছে নির্ধারিত একাডেমিক কাগজপত্র প্রদর্শন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীর সত্যায়িত একাডেমিক ডকুমেন্ট, মোটিভেশন লেটার, জীবন বৃত্তান্ত। আবার কখনো কখনো একাডেমিক রেফারেন্স লেটারেরও প্রয়োজন হয়। উল্লেখ্য যে, জার্মানিতে স্নাতক পর্যায়ে কয়েকটি কোর্স ছাড়া প্রায় সব কোর্সের উচ্চশিক্ষা জার্মান ভাষায় হয়।
তবে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বেশির ভাগ প্রোগ্রামই ইংরেজিতে পড়ানো হয়। তাই জার্মান ল্যাংগুয়েজ শেখার সময় নূ্যনতম বি-২ লেভেল পর্যন্ত করতে হবে। আর ইংরেজি মাধ্যমে পড়তে চাইলে আইইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে ওভারঅল ৬.০ থাকতে হবে। উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠানটি জার্মানি ছাড়াও আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাপারে সামগ্রিক পরামর্শ প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা জার্মানির যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে পারে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো-
ইউনিভার্সিটি অব ফ্রেইবার্গ, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ড্রেসডেন ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব ফ্রাঙ্কফুর্ট, পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটি অব হামবুর্গ ইউনিভার্সিটি অব বার্লিন এবং ইউনিভার্সিটি অব বেরিউম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।