সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।
আমি আমার এই ছোট্ট মানব জনমে বেশ কিছু ধর্ম সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি।
বুদ্ধিস্ট ধর্ম সম্পর্কে জানার মতো বই পত্র আমাদের বাংলাদেশ তুলনামূলক কম।
বিভিন্ন ভাবে বুদ্ধের ভাব কে আমার কল্পনা শক্তি দ্বারা বোঝার চেষ্টা করতে গিয়ে শুধু একটি ব্যাপার সম্পর্কে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মর্মাহত করেছি।
মানব জীবনে নিজের জ্ঞানের মাধ্যমে নিজের অন্তরের জাতিসত্তাকে ও শান্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে একাগ্রতা, সাহোস, ধ্যান ও সত্যের প্রকাশ একান্ত দরকার বলে আমি বিশ্বাস করি। বিশ্বের কোনো ধর্মই ধ্যান, সাধনা, জিকির এর বিপক্ষে বলে মনে হয় না।
আজ চায়নার সব কিছু থাকা সত্ত্বেও তাদের ভাবগত কিছু বড় গড়মিল ধরা পরে।
আর এই একটি কারণেই চায়না নামের বাংলাদেশের বড় ভাই সবল হয়েও নিজেরা নিজেদের অবস্থানকে দুর্বল বলে মনে করে। আমি মনে করি মানবসৃষ্ট কোনো সমস্যাই সমস্যা না। কারণ প্রকৃতি আপন গুনে সয়ংসম্মন্ন।
তিনি কিছু সৃষ্টিও করেন না আবার ধ্বংসও করেন না। যদি মানবআত্মাকে স্রষ্টার সৃষ্টি মনে প্রাণে বিশ্বাস করে থাকেন তাহলে দেখবেন আত্না বা প্রাণ একটি বল বা শক্তির আধার।
আমাদের মনোবল না থাকলে আমরা আমাদের সভ্যতাকে নিজের মতো করে স্রষ্টার কাছে চাইতে পারতাম না।
আপনার ভিতরের সত্যিকে আত্নউপব্ধির মাধ্যমে প্রকাশ করাই হলো স্রষ্টার প্রতি নিজের বিবেক ও বিবেচনাকে শান্তির পথে সপে দেওয়া।
সনাতন ধর্মে ও মুসলিম ধর্মে যুগস্রষ্টা বা অবতার বা আধ্যাততিক পীর-ফকির-আওলিয়া অনেক এসেছেন। হিন্দুদের সংস্কারটি চোখে পড়ে এবং দারুন ভাবে হিন্দুরা মেনে নিতে যানে। তাই হিন্দুদের ভালো দিকগুলো বাঙালী কালচারের মাধ্যমে সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে।
আবার পারস্যের কালচার প্রাচীন ঐতিহ্যের সাথে মিল রেখে ইসলাম এর পরিত্র কোরআন শরীফ ও নাহাজুল বালাগার (হযরত আলী (রা) রচিত) সমন্বয়ে সুন্দর ভাবে বিকাশ করার সুযোগ তৈরি করতে পারা তাদের মুক্তমনের পরিচয়। এই ফাঁকে বলা যায় “শান্তি একটি প্রবাহমান ও চীর সত্যের প্রবাহমান ধারা” কারণ শান্তির কোনো বিনাস নাই। আল্লাহ্’র সৃষ্টকে মন থেকে মেনে নেয়া ও মানুষের রুচিবোধ ও এবাদাতের মেইন উদ্দিশ্য স্থায়ী শান্তি। এখানেই আল্লাহ্ যে একমাত্র উপাস্য তাতে কোনো প্রকার সন্দেহ থাকার কথা না। কিন্তু ধর্মের নামে কুসংস্কারকে যে সব জাতিসত্বার মধ্যে স্বীকার করাতে শয়তান ধোকা দিয়েছে সেই জাতির উপরই অধপতন নেনে এসে অশান্তি থেকে “অ” গলে গলে পড়ে তারপর শান্তিতে রুপান্তর হয় বলে পরিলক্ষিত করা যায়।
এবার আপনাদের কাছে কয়েকজন যুগস্রষ্টার মৃত্যু সম্পর্কে বলি। যেমন ধরুন খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি তার মৃত্য সম্পর্কে কারও তেমন অস্পষ্ট ধারনা করা সম্ভব নয়। বলা যায় তার দেহত্যাগ বা ইন্তেকাল বা পর্দার আড়াল কিংবা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া স্বাভাবিক ভাবেই প্রকাশিত আছে।
বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী জীবিত ছিলেন ১৬০ বছর। শ্রী কৃষ্ণ ১২০ বছর।
স্বামী বিবেকানন্দ পরমহংসদেব ৩৯ বছর।
কিন্তু গৌতম বুদ্ধের মৃত্যু বা ইহকাল ত্যাগ করা নিয়ে বিড়াট বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। বেশীরভাগ সাধারণ মানুষই জানেন ও মানেন গৌতম বুদ্ধ আত্নহত্যা করেছিলেন।
আমি এই আত্নহত্যা কে যদি সর্মথন করে বুদ্ধকে ভালোবেসে ফেলি তাহলে আমি আর মুসলিম বা শান্তির পূজারী, ধারহ-বাহক বলে বিশ্বাস করতে পারবো না। তাহলে আমার ঈমান চলে যাবে।
ঈমানের বিপরীত মুখি চলাই হলো শয়তানের পথে নিজেক তুলে ধরা।
যাই হোক, আমি সব ধর্মীয় অনুভুতির কাছে ক্ষমা প্রাপ্তির দাবি নিয়ে যদি কেউ কিছু মনে না করেন তাহলে আমার একটি আইডিয়া আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চাই।
আইডিয়াটি হলো গৌতম বুদ্ধ যে আত্নহত্যা করেছেন এটা বৃটিশ পলিসির সাথে সংপৃক্ত। বৃটিশরা ছলে-বলে-কৌশলে গৌতম বুদ্ধকে আত্মহত্যার মাধ্যমে মৃত্যু ফুটিয়ে তুলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা করেছেন।
ইউ.এস.এ, বৃটিশ ও ইউরোপ-এশিয়ার সাম্রাজ বাদি শয়তান রূপি কিছু মানুষের এর কছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান আমার বড় ভাই চায়নার প্রদেশগুলোর মধ্যে একতা।
এই চ্যালেঞ্জের শুরু বহুকাল আগে থেকে। চায়না তার থেকে সবসময়ই সহজ ও সরল ভাবে মুক্ত থাকনে চেয়েছে।
আজও চাইনিজ বেশীরভাগ মানুষ শান্তিপ্রিয়। বর্তমানে চায়না নিজের ধর্য্যকে জলাঞ্জলী দিয়ে মাঝে মাঝে নিজের ভিতরেই হিংস্রতা ও মানবতার শান্তির বিপরীত শক্তিকে হিংস্রতা দিয়ে মোকাবেলা করে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছেন।
মনে রাখতে হবে পুরো মঙ্গলীয় জাতি গোষ্টির মধ্যে একমাত্র একটি চেঙ্গীস খান জন্ম নিয়ে অনেক কালের জন্য ভীতি তৈরী করে দিয়েছেন।
চেঙ্গিস খানের জন্ম শান্তির মধ্য হয় নি বলে তিনি অশান্তি ছড়িয়েছেন। মনে রাখতে হবে চেঙ্গিস খানকে যারা মুসলীম ভাবধারা প্রকাশের বীর হিসেবে প্রমান করার চেষ্টা করেন তারা বোঝেন না যে মুসলিম ও বাঙালী মুসলিম কাকে বলে। কোন সত্যিকারের বৌদ্ধ বা মুসলিম কোনোকালেই শান্তির বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারেন না।
চ্যাঙ্গিস খানের জন্ম হয়েছিলো ছোট্ট একটি উপজাতি গোত্রের মধ্যে। যারা পদে পদে নিজ অধীকার প্রতিষ্ঠায় ব্যার্থ হয়েছিলেন।
তাই চ্যাঙ্গীস খান কে মনস্তাত্বিক বিচারে বিচার করলে দেখা যায় তিনি একজন বিকৃত রুচি ও মিথ্যের কাছে তার ব্যাক্তিত্বকে বিশর্জন দিয়ে নিরিহ মানুষকে দমর-পিরনে ও আক্রমনের মাধ্যমে সম্রাজ্য স্থাপনের পথে নিজের মেধাকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
চেঙ্গীস খান কে যদি সরাসরী অমুসলিম ও মানবতা বিরোধী বলে মেনে নেই তাতে কোনো প্রকার সমস্যা নেই। কিন্তু গৌতম বুদ্ধের আত্নহত্যাকে যদি স্বাভাবিক ভাবে মন থেকে মেনে নেই তাহলে অসুবিধা আছে। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এবং মানি আধ্যাতিজম বা বুদ্ধিষ্ট ভাবধারান প্রধান কোনো দিনও আত্ম হত্যা করতে পারেন না। কারণ পৃথিবীর সব শান্তির বানী প্রকাশ করার মতো মানব আত্মাই হলো পরমআত্মা দ্বারা সরাসরী প্রভাবিত বা প্রেরিত।
বুদ্ধ যদি মুক্তমনা হয়ে থাকেন তাহলে কোনোভাবেই তিনি আত্নহত্যা করেন নি। এটা যে কোনো বুদ্ধিমান ও জ্ঞানি মানুষকে সত্য জ্ঞানে মেনে নিতে হবে।
এই বুদ্ধের আত্নহত্যা কিছু ফালতু ও বাজে মনমানসিকতার বৃটিশ দালাল দ্বারা চায়না ও বুদ্ধিষ্ট জ্ঞানবাদি সমাজের মধ্যে ঢুকিয়ে তাদের মধ্য থেকেই তাদের অস্তিত্বর প্রতি হুমকী সরূপ দেখা দিয়েছে। এই একটি মাত্র কৌশলের সাথে আরও কিছু কৌশল ঢুকিয়ে আজ তিব্বত সহ ভারতীয় ও বুদ্ধিষ্ট কালচারের উপর তাদের সম্রাজ্য চিরস্থায়ী করার উদ্দেশ্যে ও সভ্যতার সংকট সৃষ্টি করতে এতো এতো বুদ্ধিষ্ট সহজ সরল মানুষকে ব্রেন ওয়াশ দিয়ে আজ এটম বোমের থেকেও বেশী আক্রমানত্বক করে তুলেছেন।
বিশ্বের সব মুণী-ঋষীই আত্নহত্যার বিপক্ষে তাদের জীবনের আগমনে সমর্থন দিয়েছে।
চায়নার এক সন্তান নীতি থেকে সরে না আসলে তারা তাদের মনের খোরাক ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলবে। যে কোনো সমস্যায় চায়নাকে হেল্প করতে বাংলাদেশ নামক ছোট ভাই প্রস্তত আছে।
আমি বর্তমান মুসলিম জাহানের নয়নমনি ডা. জাকির নায়েককে গৌতম বুদ্ধর মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তির ব্যাপারে গবেষনা করতে বিনীত ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। বাঙালী মুসলিমরা একমাত্র শান্তি ও নিজেদের অস্তিত্বের প্রশ্নে কোন প্রকার অবহেলা করে না। বাঙালী মুসলিমরা সব সময়ই শান্তি প্রিয়।
বন্ধু! অন্য ধর্মের উপর আক্রমন কে প্রতিহিত করার দায়িত্ব মুসলিমদের ঈমানেরই অংশ।
তাতে করে মুসলিমদের বড়াই করার কিছু নেই। এটা মুসলিমদের দায়িত্ববোধ ও সচেতনতার সামান্য পরিচয় মাত্র। ইসলাম ধর্মের মতো চির সুন্দর ও সত্যের বাণীর উপর যারা আক্রমন চালায় তাদেও মুসলিমরা ক্ষমা করতে জানে। কিন্তু নিজেদের মতকে তাদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেয় না।
আজ বিশ্ব সভত্যা ও মানব জাতি রক্ষায় আমাদেরই প্রথম এগিয়ে আসা বলে আমি আমার স্বল্পজ্ঞানে মনে করি।
যাই হোক, গতকাল বঙ্গবন্ধুর চীরদুখ শেখ হাসিনাকে মুক্ত আকাশের নিচে তার অট্টোহাসি দেখে আমার খুব কান্না পেয়েছিলো। আমি জানি একজন বাঙালী বলেও তিনি তার পরিবারের সারাজীবনের ত্যাগকে একটু সময়ের জন্য হলেও তার জীবন দিয়ে উপলব্ধি করতে পেরেছেন। আজ যে বঙ্গবন্ধু, মাত্র ২৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরন করা খেলা প্রিয় ও মিথ্যে ব্যাংক ডাকাতির অপমানের বোঝা নিয়ে তাজা ফুল ঝরে গেছে, যে ছোট্ট শেখ রাসেল আজও ঘরে ঘরে মৃত্য নামের আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটায় এবং এতো চাপের মধ্যেও যিনি হাসতে জানেন তিনিই তো একজন সত্যিকারের বাঙালী। শেখ হাসিনা আপনি দীর্ঘজিবী হন।
দেখবেন আপনার বাবার আদর্শ কোনোদিনও বাঙালী অস্বীকার করবে না। আপনি অবিলম্বে পদত্যাগ করে বাংলাদেশী জনগনের উদ্দেশ্যে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের অংশিদার হবেন বলে আমাদের দাবি। আমাদের কন্যা আমাদের দেশেই থাকবে।
আমি প্রান ভরে প্রনাম করছি দেবীরূপী খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো সাহেব কে। তারা আজ মানবতা ও শান্তির সংকটের সময় নিজেদের বাংলাদেশের গোলাপ ফুলের মতো নিজেদের সুন্দর মন মানসিকতার স্পষ্ট প্রতিফলন দেখিয়েছেন।
একজন স্বধীনতার ঘোষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আত্মত্যগী শহীদ জিয়াউর রহমান যে নিজেদের আত্নত্যাগের বিনিময় হলেও বাঙালী পরিবার রেখে যায়। আমি তারেক রহমান কে আহব্বান করবো আপনি দেশে এসে আপনার বাবার মতোই আমাদের মাটিতে চলে আসেন। বাংলাদেশী সব নাগরিক তাদের আববেগ দিয়ে বিশ্বকে রাঙাবে। এই আমার প্রাণের বিশ্বাস ছিলো, আছে ও থাকবে।
সারা বিশ্ব দেখুক যে বাংলাদেশ এমন একটি কানট্রি যা হলো জাতিসংঘের জন্য শান্তিসংঘ নামক একমাত্র শিক্ষক।
কিন্তু শিক্ষাকে ছড়িয়ে দেয়া ও সত্য জ্ঞানে প্রকাশ করা সব ধর্মের সব মানুষের কর্তব্য।
আমি যদি অজানা বা অচেনা কোনো কারণে কারও মনে ব্যাথা দিয়ে থাকি। আমায় আপনারা ক্ষমা করবেন। বিশ্বাস করুন আমি আমার জীবনথেকে পাওয়া হাজার হাজার কষ্ট, দুঃখ ও ত্যাগের মাঝেও অন্যের মুখে হাসি দেখলে নিজেকে নিজে অভিনন্দিত করতে জানি।
কোনো মানুষকে আমি দোষারূপ করতে শিখি নি।
কারণ মনে যে শয়তান পাপ করে বেড়ায় তিনি ইচ্ছে করলেই সেই পাপের খেসারত করার মতোও সুযোগের দাবি রাখে। এর নাম মানব জনম। কোনো মুনুষই ভুলের ও আইনের ঊর্ধে না শুধু এটুকু জানলেই প্রকৃত ভাবে জনকল্যানে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করা সম্ভব।
এই হোক আমাদের ভাষার বাঁধনে নিজেদের চিরকাল বেঁধে রেখে ন্যায়, সত্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠার করার অঙ্গীকার। এই হোক আমাদের বাংলাদেশী সকল স্বত্তাকে বিকাশিত করার লড়াই।
আমরা এক হতে জানি বলেই আমাদের বিরুদ্ধে এতো এতো ব্লাক মেইলিং আসে। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন। আমি সবসময় মানবতার শান্তি প্রতিষ্ঠায় আপনাদের চাকর হয়ে থাকবো। ইনসাআল্লাহ্
“ধন্য ধন্য বলি তারে
বেঁধেছে এমনি ঘর শুন্যেরী মাঝারে"
ফকির লালন
বিনীত কৃতজ্ঞতা জ্ঞানে
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্
০১৭১৭-০৪৪৯১৯
https://www.facebook.com/asif.ud
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।