আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারার বিচ্ছুরণ চায়নার গোয়াংঝোতে

চায়নায় পড়ার জন্য ০১৬৮৪৪৪৩০৮৬, ০০৮৬১৩৭১৯২৭৫০৪৬ www.xueonline.info গোয়াংঝো থেকে তারার বিচ্ছুরণ দেখা গেছে। গোয়াংঝোর সাউদার্ন মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীরা অতি উৎসাতে চিৎকার করেছে। চায়নীজ ছাত্রছাত্রীরা এই তারার বিচ্ছুরণ দেখে পুলকিত এবং আনন্দিত। অনেকে তাদের নিজেদের মনোবাসনা পূর্ণ করার জন্য তারার বিচ্ছুরণ দেখার জন্য বারান্দায় এসে দাড়াঁয়। আবার অনেকে ছুটে চলে যায় বাহিরের দিকে।

আনন্দে আত্মহারা ছাত্রছাত্রীরা প্রায় ঘন্টা খানিক উচ্চস্বরে আওয়াজ করতে থাকে পরে রাত ১২ টার দিকে সবাই ধীরে ধীরে নিশ্চুপ হয়ে যায়। ১৪ ই ডিসেম্বর রাত ১০ টার দিকে গোয়াংঝোর আকাশে বিশাল আকারে তারার বিচ্ছুরণ দেখা যায়। এই নিয়ে পুরো গোয়াংঝোতে হইচঈ পড়ে যায়। বিশেষ করে গোয়াংঝোর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ছাত্রছাত্রীরা আনন্দ উল্লাস করে। প্রথমে সবাই উল্কাপিন্ড ধেয়ে আসছে ভেবে ভয় পায় পরবর্তীতে যখন বিচ্ছুরণ দেখে তখন সবাই উল্লাসে ফেটে পড়ে।

এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক ধারণা এটি তারার বিচ্ছুরণ কিন্তু সরকারিভাবে অথবা কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে এটি নিশ্চিত করা হয়নি। হঠাৎ করেই তারার বিচ্ছুরণ দেখা যায়। এর আগে আর কখনও এই রকম স্পষ্টভাবে তারার বিচ্ছুরণ দেখা যায়নি। এবং তারার বিচ্ছুরণটি ছিল প্রায় ১ ঘন্টার যা আগে কখনও হয়নি। এর থেকে পৃথিবী পৃষ্ঠে কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত।

এর আগে নাসার বিজ্ঞানীদের দাবি ছিল যে বিশাল আকারের উল্কাপিন্ড পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এবং এই উল্কাপিন্ড পৃথিবীর উপর আঘাত হানতে পারে এবং এই উল্কাপিন্ডের কারনে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, পরে উল্কাপিন্ডটি অন্য একটি গ্রহের সাথে সংঘর্ষ হয়ে অন্যদিকে চলে যায়। তবে আজকের তারার এটি ছিল একটি বিচ্ছুরণ। ইসলামিক ধর্ম মতে অনেকের ধারণা এই সময় ফেরেশতা শয়তানকে আগুনের গোলা নিক্ষেপ করে শয়তানকে তাড়িয়ে দেয়। এছাড়া সাধারনত মানুষের ধারনা যে তারা বিচ্ছুরণের সময় যেই মনোবাসনা কামনা করে তা পূর্ণ হয়। দূর্ভাগ্যক্রমে আমি বিচ্ছুরণ দেখতে পারিনি তাই ছবি দিতে পারলাম না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।