বিএনপির নেতা কর্মীদের মাঠে পাওয়া যায় না তারা দূর্বল। আন্দোলন জমাতে পারে না। আরও কত অভিযোগ। অথচ দেশে মানুষজন মারা যাচ্ছে,হিন্দুদের উপর আক্রমন হচ্ছে,বাড়ীঘর ভেঙে তচনচ করা হচ্ছে এসমস্ত কিছুর দায় এ দূর্বল দলের উপর বর্তাচ্ছে। কেন? যে দলের সকল নেতা কর্মী গ্রেফতার কিংবা গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছে।
তারা এই নাশকতা চালাচ্ছে এটি কী খোড়া যুক্তি নয় । বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে ভাবার যথেষ্ঠ প্রয়োজন আছে। আমরা সবসময়ই রাজনীতির মধ্যে বাস করি। তাই রাজনীতি নিয়ে ভাবতে দূষের কিছু নেই। বরঞ্চ প্রত্যেক দেশ প্রেমিক নাগরিক এটা ভাবতে বাধ্য।
দেশে একটা নির্বাচন হলো । যেটাতে প্রধান দুটি বিরুধী দল অংশ নেয়নি। যে এরশাদ সাহেব বিশ্ববেহায়ার স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তাকেও তার নতি স্বীকার না করার কারণে সামরিক হাসপাতালে বন্দী রেখে,প্রধান বিরুধীদলকে পাশ কাটিয়ে একটি নির্বাচন হলো। বলা হলো ছিয়ানব্বইয়ের নির্বাচন বি এনপি এমনটা করেছে। কার্যত বিএনপি তৎকালীন প্রধান বিরুধীদল প্রধান শেখ হাছিনা আর গোলাম আযমের দাবীর প্রেক্ষাপটে সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনী এনে নির্দলীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে এমন একটি সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে যার জনসমর্থন নিয়ে উচ্চবাচ্চ করার কিছু নেই। জাল ভোট কেন্দ্র দখল নানাবিধ ঘটনার মধ্যে দিয়েও ভোট কাস্ট হয়েছে অনেক কম।
সফল হলেন বিরুধী দল। সফল হলেন সরকারী দলও। তাদের দাবী অনুযায়ী ।
কিন্তু কিভাবে?বিরুধী দল সফল এজন্য যে ভোটার উপস্থিতি ছিল নগন্য। যা পুরো নির্বাচনটাকেই করেছে অগ্রহন যোগ্য। আদতে একদলীয় নির্বাচন করতে পেরেছে সবকারীদল।
আবার আওয়ামীলীগ জয়লাভ করেছে এই দৃষ্টিকোন থেকে যে তারা নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছে সকল বাধা বিপত্তি তোয়াক্কা না করে । তারা সেটি করতে পেরেছে।
তারা সরকারও গঠন করবে। মানে তারা সফল হলো। একদলীয় নির্বাচনে জালভোট প্রধান মন্ত্রী বা জাল সরকার গঠন করে বিশ্ববেহায়ার তকমা নিয়ে তাদের পবিত্র বদনখানি টিভিতে দেখাবে। আর অন্যান্য বিবেকবান লোকজন তদের দেখে লজ্জা পাবে।
এতটুকু তারা পাত্তাই দেয়নি যে আদর্শগতভাবে তারা কতবড় পরাজয় বরণ করলো।
যে ছিয়ানব্বইয়ের নির্বাচন নিয়ে তারা বিএনপিকে ছোট করতো একদলীয় নির্বাচন করার দোষে দূষ্ট করতে পারতো। এখন আর সেটি করার মত আদর্শগত অবস্থান আওয়ামীলীগের নেই বা থাকলো না। আর যদি গ্রহনযোগ্য কোন নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে না পারে। তাহলে তো ইতিহাসের ঘৃণতর স্থানে অবস্থান হবে এই দলের।
সবকিছুতে চেক এন্ড ব্যালেন্স একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।
একপেশে বা এক দলীয় কোন কিছু বড় ধরণের বিপর্যয় ডেকে আনে। এবং আজকের এই বিপর্যয় মহাজোটের বড় ধরণের সংখ্যা গরিষ্ঠতা। যারা গণতন্ত্র লালন করে না তাদের এমন ক্ষমতা যে ক্ষতি ডেকে আনে সেটিই প্রমাণ হলো।
ভারসাম্যহীন সংসদ থেকে আজ ভারসাম্যহীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্ম। আর তার ভূক্তভূগী দেশের মানুষ।
রাজনীতি এখন প্রপাগান্ডা নির্ভরতার দিকে চলে যাচ্ছে। সত্যের অন্বেষণ নেই। শুধু মাত্র অন্ধের মত অনুসরণ করে যাওয়া।
দেশের নৈরাজ্যের জন্য দায়ী কার?। ভাংচুর ,লুটপাট কারা করছে?একত্তুরের পরাজিত শক্তিরা?রাজাকার আলবদর বাহীনি নাকি শরষের ভিতরের ভূত?দুয়ে মিলে করলে তো আর অন্য কিছু বলার অবকাশ থাকে না।
একদল চলে গেছে আন্ডার ওয়ার্ল্ডে আরেকদল প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ব্যপক তান্ডব চালিয়েছে। যার ছবি সহ প্রমান বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এসেছে। রক্ষক ভক্ষক হয়ে দেশের বারোটা বাজিয়েছে। হিন্দুদের বাড়ীঘর ধ্বংস স্কুল ধ্বংস এটা জামাতের ঘাড়ে চাপিয়ে আওয়ামীলীগের সোনার ছেলেরা সাপ মারা আর লাঠি না ভাঙার ফর্মূলা এপ্লাই করলে তো চলবে না।
তবে গনতান্ত্রিক মনমানসিকতার ব্যাপক পরাজয় হয়েছে।
পেশী শক্তির রাজনীতি চেপে বসেছে। আর এটিও নিশ্চিত যত মানুষই মরুকনা কেন?যত অনিরাপত্তা আর ক্ষয়ক্ষতি হোকনা কেন এই সরকার কোন কেয়ারই করবে না। ক্ষমতার যাওয়ার জন্য তারা দেশকে মৃত্যুকূপ বানাতেও পিছপা হবে না। ফলাফল আমরা দেখি। কারণ খুজে পাইনা।
আজকের এই অবস্থার কারণ কিন্তু সরকার তাদের ডিক্টেটরশিপের জন্য বয়ে এনেছে । আর ফলাফল ?ব্যপক ধ্বংস যজ্ঞ। সেই ধ্বংসযজ্ঞের দায়টা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ঘাড়ে চাপানোর প্রচেষ্টা চলছে। তাবে এই দেশের রাজনীতির ইমেজ নষ্ট হয়েছে। নষ্ট হয়েছে দেশের ভবিষ্যৎ।
সবার শেষে এটাই বলবো গণতন্ত্রের জয় হোক। খুব দ্রুত এমন একটা সরকার আসুক যেটা সত্যিকারের জনগনের প্রতিনিধিত্ব করে । এবং সবার কাছে গ্রহণ যোগ্য হয়।
অপশক্তি নাশ হোক। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।