বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আমার পূর্বসূরী, যারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলো, তারা একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চেয়েছিলো। এজন্যই তারা সাম্প্রাদায়িক পাকিস্তান ভেঙে এই রাষ্ট্র রচনা করেছিলো।
“আজকে দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর বাংলাদেশে সেই ধর্মীয় উগ্রবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তি, বিরোধী দল বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আবার সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর তারা বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণ পরিচালনা করছে।”
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, মাগুরা, জামালপুর, জয়পুরহাট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ সমর্থক ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
হাছান মাহমুদ বলেন, “ওই আক্রমণের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র বাংলাদেশে ধর্মীয় বিষবাষ্প ছড়ানো নয়, এই আক্রমণের উদ্দেশ্য পুরো ভারতীয় উপমহাদেশে ধর্মীয় বিষবাষ্প ছড়ানো।”
“তারা জানে, পাকিস্তানে যতজন মুসলমান আছে, তার বেশি মুসলমানের বসবাস হচ্ছে ভারতে। বাংলাদেশে যখন ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা হামলা, হুমকির সম্মুখীন হয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও যে তার প্রভাব পড়ে সেটি তারা ভালো করেই জানে।”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।