আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মালালা সংক্রান্ত একটি ব্যবচ্ছেদমূলক(তাহাকে নিয়া কি করা যাইতে পারে টাইপ) রম্য রচনা। একটি সম্পূর্ণ ১৮- পোস্ট

কইন্যা বৈদেশে বইসা বাংলাদেশ লয়া যেসব রঙ-তামাশা করিল; বুঝিতে পারিলাম, গুলিখানা মস্তকেই লাগিয়াছিল বটে। যদিও বিজ্ঞানীদের মতে, ওইদিককার দু'পেয়ে প্রাণীকূলের স্কন্ধের উপর নিরেট পদার্থের প্রাচূর্যই বেশী। মালালা-র চিকিৎসকগণেরাও অত্যন্ত উচ্ছাসের সাথে ব্যপারটির অস্বাভাবিকতা বর্ণনা করে বলেন, "আমরা আসলে প্রথমে আশাবাদী হতে পারিনি মালালা-র ব্যাপারে। মাথায় গুলি লেগেছে বলে আমরা প্রথমে পেশেন্টকে এডমিট করতে চাইনি। পরে যখন আমাদের জানানো হয় পেশেন্ট এসেছে পাকিস্তান থেকে, আমরা সাথে সাথে মালালাকে এডমিট করে তাকে আমাদের অর্থোপেডিক্স ডিভিশনে পাঠিয়ে দিই।

" মালালা-র চিকিৎসক আর্থ্রাইটিস বিশেষজ্ঞ Dr. Dave Rosser তার সাফল্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, "মালালা তার আগের স্মৃতি, বিচারবুদ্ধি অনেকটাই ফিরে পেয়েছে। আমরা এখন তার অগ্রগতি পরীক্ষা করার জন্য তাকে একটি টুইটার একাউন্ট খুলে দিয়েছি। সে ব্যাপারটি খুব দ্রুত শিখে নিচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশকে নিয়ে তার স্ট্যাটাসটি আমাদের সাফল্যের একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। " ওইদিকে ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনের শীর্ষ শত চিন্তাবিদের তালিকার ষষ্ঠ স্থানে থাকা নিয়ে ম্যাগাজিনটির একজন মুখপাত্র বলেন, "আমরা ঘটনার শুরুতেই মালালা-র চিন্তাশীল মননের প্রকাশ পাই।

একটি মেয়ে পাকিস্তানে বড় হয়েছে এবং সে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। ব্যপারটি আমাদের গভীরভাবে নাড়া দেয়। " মালালা-র এই অদম্য প্রতিভা চাপা থাকেনি পাকিস্তানের রাজনীবিদগণের কাছেও। ৮ ডিসেম্বর মালালাকে দেখতে যুক্তরাজ্যে যান খোদ পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারী। একই সাথে তিনি বার্মিংহাম হসপিটাল-এর সেই বিখ্যাত অর্থোপেডিক্স ডিভিশনও প্রদর্শন করেন।

পরে তিনি সেখানে তার ব্রেনের সিটিস্ক্যান করাতে চাইলে বার্মিংহাম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার হাঁটুর এক্স-রে করিয়ে নেন। বাংলাদেশের জনৈক রাজনৈতিক সমালোচক এ ঘটনার সূত্রে বলেন- "এখানে কোন কিছু বলার আগে আমাদের মেয়েটির কথাবার্তার সাথে তার নামকরনের সার্থকতা দেখতে হবে। মুহিত সাহেবের মত মেয়েটির নাম "মাল-আলা" এবং তার কথাবার্তাও বেশ কৌতুহলোদ্দীপক। আমার মতে তাকে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া উচিৎ" এদিকে নাম প্রকাশে ইচ্ছুক জনৈক তালিবান কর্মী জানিয়েছেন, "আমি আসলে মালালাকে গুলি করতে চাইনি। ঘটনাটি পুরোপুরি অনিচ্ছাকৃত ছিলো।

আমাকে উপর থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো কমান্ডারের মনোরঞ্জনের জন্য দুটো নারিকেল নামিয়ে নিয়ে আসতে। আমি সাধারণ নির্দেশটিকে একটি "বুদ্ধিমানের ইশারা" হিসেবে নিয়ে ফেলেছিলাম" পুরো ঘটনাটিতে বাংলাদেশের বিশিষ্ট ধর্মীয় চিন্তাবিদ মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাইদী একটি সংক্ষিপ্ত অডিও বার্তা প্রকাশ করেন। আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ ১৮- হওয়ার কারনে বক্তব্যটি কিঞ্চিৎ সেন্সর করে প্রকাশ করা হলো, "আমি %#৳!*@৳! লইট্যা, %#%#৳! টেবিল !৳@%#ঁ৳! মেশিন !%@৳৳# এবং ৳@৳!%%@# চিন্তিত" আজকের মালালা রম্য পর্ব এখানেই শেষ। বিঃদ্রঃ পোস্টখানা আরম্ভ করিয়াছিলাম সাধু ভাষায় রম্য রচনার ভাব নিয়া। শেষ হইলো পত্রিকা রিপোর্ট হয়ে।

কেন জানি আর এখন এডিট করতে মন চাইতেসে না। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.