আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্ল্যাকঅাউট প্রোডাকশন লাইন



ব্ল্যাকআউট
পরিচালক:- টোকন ঠাকুর
৯৭ মিনিট

ব্ল্যাকআউট> সিনোপসিস

ছবিতে গল্প নেই, গল্পের উঁকি আছে। আছে দুই যুবক, তারা বন্ধু। নগরীর এক চিলতে চিলেকোঠার ছাদের ভাড়াটে তারা। তাদের সময়, তুরীয়-তুমুল সময়। প্রচন্ড অস্থির কিন্তু উৎক্ষিপ্ত যৌবন অপচয়ের গোলকধাঁধায় ব্ল্যাকআউট শেষপর্যন্ত অমীমাংসিত হয়ে থাকে মাদল ও রাফির জীবনে।


একটা তেজি ঘোড়া, ঘোড়াটি ছুটে আসে। একটি চরিত্র সারাদিন বাইরে বাইরে ঘোরে, অন্যটি চিলেকোঠার ছাদে শুয়ে-বসে আসমানদারি করে। সে আর বাস্তবে মাটিতেই নামে না, কখনও স্মৃতিগ্রস্ত একটি মাঠের মধ্যে তাকে দেখা যায় বটে। একজন ছবি আঁকে, অন্যজন কবি কিন্তু কবিতা তাকে ছেড়ে গেছে বলে সে মনে করে। একজন প্রেমে উচাটন, টলমল; অন্যজন প্রেমে বিষাদগ্রস্ত।

তবু তারা একসঙ্গে, রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে নিজেদের গল্প করে। তাদের স্বপ্ন-স্বপ্নভঙ্গ-উড়নচন্ডি মন-যৌন অবদমন এবং অবদমনের স্বাতন্ত্র্য প্রকাশের নেপথ্যে প্ররোচনা দেয় ব্যক্তিগত আকাঙ্খা কিংবা ভরপুর নিঃসঙ্গতা।
প্রত্যেক দর্শক যেমন নিজে ঠিক নিজের মতোন, ব্ল্যাকআউটের প্রধান দুই চরিত্র রাফি ও মাদল, তারাও দুজন তাদেরই মতোন। এটা জীবনযাপনের ব্যাপার। জীবন-বাস্তবতার ব্যাপার।

এরই ফাঁকে ফাঁকে, লুকিয়ে স্বপ্ন দেখার আনন্দ খেলা করে। সিরিয়াসলি ঠাট্টা-মশকরাও জীবনের অংশ। রাতে বিছানায় শুয়ে গল্প করতে করতে গল্প একসময় ফুরিয়ে যায়। গল্প আর মনে পড়ে না। গল্পের চরিত্র রাফি ও মাদল জড়াজড়ি করে ঘুমিয়ে পড়ে কিংবা ঘুমোবার ভান করে থাকে।

এবং শেষপর্যন্ত তাদের কণ্ঠ থেকে কুকুর-কুক্কুরির আন্তরিক আহ্লাদ ভেসে আসে। আকাশে ধবল পূর্ণিমা, নিচে পৃথিবীর চরাচর, এ রাতে এক ঈগলের ডানায় ঢাকা পড়ে চাঁদ। সো, সেই টগবগে ঘোড়া ক্লান্ত হয়ে ফেরে আস্তাবলে। এই আর কি...

পরিচালকের কথা:
শীতাবসান। ডাকে নেশা, ডাকে জুয়া।

জুয়াড়ির পূর্বপুরুষ ছিল জোসনাখোর। তাই মাতাল হবার অধিকার শুধু তারই, যার জিন থেকে হ্রেষা ছুটে আসে, পাহাড়ি ঘোড়ার।
বসন্তকালীন খর্খরে মন-অবাধ্য আবহাওয়ায় একটি ডিভি ফোর হ্যান্ড্রেড ক্যামেরা, পর্যাপ্ত লাইটসহ একদল বন্ধুভাবাপন্ন দেবশিশুকে জড়ো করে চৈত্রময় ফুরফুরে দিনে স্টার্ট করে শ্রাবণের বৃষ্টি পর্যন্ত ইনডোর-আউটডোর যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা এবং এরপর আরো অনেকখানি সময় নিয়ে চলে সম্পাদনা-পর্ব; ব্যাপক কাটাকুটির শেষে নির্বাচিত দৃশ্য-শব্দ-সংলাপ-কবিতা-গান-সঙ্গীত-চিত্রকলা-ফটোগ্রাফি-অ্যানিমেশনের সহযোগিতায় যদ্দুর পারা গেল, ব্যাপারটা সাজিয়ে-গুছিয়ে সানাই বাজিয়ে কনে-বিদায়ের মতো, আনন্দ-বেদনায় ষোলআনা আপ্লুত। সত্যি, এই লগ্নের অনুভূতির সঙ্গে আগে কখনো দেখা হয়নি। ব্ল্যাকআউট-এ যা যা পারা হয়নি, আমার চেয়ে তো তা কেউ বেশি জানে না।

বাংলায়, কথাটা এখন প্রায় প্রবাদ- কৃতিত্বটুকু প্রডাকশনের সবার, আর না পারার ব্যথাটুকু, ব্যর্থতাখানি একান্তই কার? তারপরও, প্রিয় দর্শক, আড়চোখে আমি আপনার চোখ দেখতে থাকব, যখন আপনি ব্ল্যাকআউট দেখবেন। জানি, ঠোঁটের চেয়ে চোখই বেশি সত্য বলে থাকে।
.............
প্রিমিয়ার শো উপলক্ষে প্রকাশিত ফোল্ডার থেকে পুনর্মুদ্রণ

এক পলকে ব্ল্যাকআউট:

চিত্রনাট্য ও পরিচালনা - টোকন ঠাকুর
শব্দ - শায়ান চৌধুরী অর্ণব ও সামির আহমেদ
সংগীত - শায়ান চৌধুরী অর্ণব
ভিডিওগ্রাফি ও সম্পাদনা - সামির আহমেদ
আর্ট ডিরেক্টর - আবদুল হালিম চঞ্চল
এ্যানিমেশান- চিন্ময় দেবর্ষী
স্টিল ফটোগ্রাফি- রিচার্ড রোজারিও

অভিনয় ­-
তানভীর হাসান
রাহুল আনন্দ
তিনা
সারা
কফিল আহমেদ
ধ্রুব এষ
বাপ্পী আশরাফ
বর্ষা বিভাবরী
বেলায়েত হসেন
জুয়েনা ফেরদৌস মিতুল
প্রয়াত মমিন আলি মৃধা দাদু
বিমল বাউল
এম আজাদ চৌধুরী
আবদুল হালিম চঞ্চল
মোহাম্মদ লাবু মিয়া
প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক
মীর আদনান আলী
আলিফ সানী
তোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া
রাজীব আশরাফ
হুমায়ন কবীর
জায়েদউদ্দিন
নিহত কয়েকটি ফড়িং, লাভবার্ড দম্পতি, খাঁচাবন্দি কুকুর প্রমুখ...

প্রধান সহকারী পরিচালক- রাজীব আশরাফ

সহকারী পরিচালক-
রেজা ঘটক
জন রোমেল
রিচার্ড রোজারিও

সাব-টাইটেল: মিলটন মোললা ও এসএ মামুন

সহকারী প্রযোজনা - সাইকেল ফ্রেম, ইনসমনিয়া ও আস্তাবল
প্রযোজনা - ভার্মিলিয়ন রেড

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।