আসবে সময় আমাদেরও, হাসবে তখন মহাকাল। মিশবে তখন ধুলোতে, জীর্ণ নীতির কঙ্কাল। মুক্তির পথ ধরে, অধিকার ঘরে ঘরে। নিকশ কালোরা আর বুনবে না জাল! এইত কয়েক দিন আগের কথা। ফেসবুকে ঢুকে দেখি এক পেজে একটা ছবি।
পাকিস্তানের পতাকা ব্যাকগ্রাউনডে এক মেয়ের ছবি। ঘটনা শুনলাম পাকিস্তানের ১৪ বছরের এক মেয়ে নারী শিক্ষা নিয়ে কথা বলায় তালেবানরা নাকি তাকে গুলি করেছে। আর তাতেই বাঙ্গালির মানবতার দরজায় কষাঘাত লেগেছে। কিছুদিনের মধ্যেই মালালা দরদীদের সংখ্যা চক্রপাতিক হারে বৃদ্ধি পেল। কিন্তু ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না একটা মেয়ে এতটা লাইম লাইটে কি করে এল!! এর পর নাটকটা আঁচ করতে পারলাম।
একটা ১৪ বছরের পাকিস্তানি মেয়ে শিক্ষার জন্য ব্লগিং করেছে তাও আবার ইংরেজীতে!! কেমন যেন শোনা গেল না!! আর পাকিস্তানে কত নারীরাই তো ব্লগিং করে, তাদের রেখে কেন একটা ১৪ বছরের মেয়েকেই তালেবানরা টার্গেট করল?? ধরে নিলাম সব কিছুই কাকতালীয়।
তাহলে গুলি খাওয়ার পর বেঁচে গিয়ে বিদেশে কেন পালাইলি??এতই যদি দেশ প্রেম,দেশে ফিরে আয় আবার। । বিশ্ববাসীর কাছে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেখা। ।
না তা তো আসা যাবে না। সেখানে যে প্রানের হুমকি আছে বলে মনে করেছে পোষকরা। তারপর নোবেল এর মুলা নাকের সামনে তো ঝুলছেই। তাহলে আর কে যায় পাকিস্তানে মরতে!! এখন বিদেশে পরিবারের সাথে বসে বসে পাকিপ্রেমের বুলি দিয়েই দিব্যি মহতব্যাক্তি হয়ে যাওয়া যাবে। ।
আর তাদের নরকে কেও মরতে না গেলে তাকে তুলধুনো করলেই চলবে। । আরে আমরা বাঘ না বিড়াল তুই জানবি কিভাবে?? তোর বাপকে জিজ্ঞেস করিস আমরা কি জিনিস। এখন সেই মানবতাবাদী বাঙ্গালীদের মুখটাও দেখতে খুব ইচ্ছে করতেছে যারা মালালা ইউসুফযাই নাম শুনতেই স্রদ্ধায় মূর্ছা যান। যারা প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করে মালালা এর ছবি দিতেও কুণ্ঠিত হয় নি।
। ধন্য সেই সব বাঙ্গালীরাও। । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।