আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সম্বাদিক নিপীড়ন:সংবাদ মাধ্যম দলান্ধ হওয়ায় সঙ্কটে বাড়ছে

আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

শুনতে খ্রাপ লাগলেও এটাই সত্য যে, এমন একটা সমাজে আমাদের জন্ম যেখানে আমরা শোনার চেয়ে বলতে বেশি পছন্দ করি।

আমাদের বক্তব্যকেই সঠিক ধরে নিয়ে ফাও তর্ক করি এবং চূড়ান্তভাবে যার বক্তব্য পছন্দ হয়না তাকে একটা গোষ্ঠীভূক্ত করি, যাতে আমাদের ফায়দা হাসিল না হলেও তাকে পঁচিয়েছি এমন নোংরা আনন্দে দাঁত কেলিয়ে হেসে- একটা বেনসন ধরিয়ে আয়েশে ধোঁয়া ছাড়তে পারি!

এ ধোঁয়ার সাথে যে জীবানু ভেতরে ও বাইরে ছড়াচ্ছে এবং তাতে সমাজ অসহিষ্ণু হচ্ছে, সেদিকে খেয়াল করার সময় আমরা পাই না। কী নোংরা-বিভৎস মনোবৃত্তি নিয়ে আমাদের বেড়ে ওঠা।



আমরা এখানে রাজনীতিকদের চুরিকে হালাল মনে করি, ব্যাংক লুটকে আমরা জায়েজ করেছি এবং এ সব টাকার দাম যে খুব একটা বেশি নয়, সেটি অর্থমন্ত্রী মাল মুহিতের মত কিছু লোক বলেই রাখেছেন।

এ সমাজে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অবস্থানে আছেন গণমাধ্যমকর্মীরা, অনেকটা ফুলসিরাতের পুলের মত। কোনো দলের অন্ধ সাপোর্ট করছেন কেউ কেউ। কিন্তু বেশিরভাগ করছেন না, করবেন না। তাই আমরা দু পক্ষকেই গুলিয়ে ফেলি।



তবে যে কোনো বিবেচনায় সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ, তাদের জীবিকার নিশ্চয়তা বঞ্চিত করাকে আমি সমর্থন করি না। তার ওপর পুলিশি ও দলীয় নিপীড়নকে মানার মত অবস্থান আমার কোনো কালেই ছিল না। এখনো নাই।

কিছু বিষয় আছে- যাকে যুক্তি দিয়ে, রাজনীতি দিয়ে বোঝার সাথে সাথে সমাজ সংস্কৃতিক এবং এর কাজের ধারা দিয়েও বিচার করতে হয়। সাংবাদিকতা তেমনই একটা পেশা।

কিন্তু সংবাদ মাধ্যমের অতি মাত্রায় দলান্ধ হওয়ার কারণে আমরা সঙ্কটে পড়ছি।

আবার কেউ কেউ সাংবাদিকদের সাইজ করার জন্য বিদেশি উদাহরণ টানেন, এটা একেবারেই অনাহুত। আমাদের দেশের জার্নালিজম এখনো অত উঁচু জায়গায় যায়নি। আমরা মানুষ হিসাবেও না। মালিকরা তো মোটেও না।

যেখানে আমারা নিজেরাই মানুষ মারাকে হালাল বলছি সেখানে বিদেশি উদারহরণ মূল্যহীন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।