না পাওয়ার হাত ধরে.. হেটে এসেছি বহু দুরে... চাইনা আর কিছুই জীবনের কাছে... সাদা-কালো এই জন্জালের ভীড়ে...
এরশাদ যা-ই করেন তাতেই মানুষ হাসে, তিনি একবার ভাবলেন ম্যাডামের সঙ্গে যাবেন। মানুষ হাসল। মানুষের হাসি দেখে তিনি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আপার কাছেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তাও মানুষ হাসল। তাঁকে নিয়ে মানুষ হাসতে হাসতে এমন পর্যায়ে গেছে, তিনি যদি কাউকে পানিও পান করান, তাও মানুষ হাসে।
এই নিয়ে ভারি দুঃখ ভদ্রলোকের মনে। দুঃখ থেকেই তিনি বললেন, 'আত্মহত্যা করব'। এ কথায় সবাই বলবে, 'না এরশাদ না, আত্মহত্যা মহাপাপ'। তা না সবাই মিলে বেদম হাসাহাসি করল। দুষ্টুরা আবার বলল, এরশাদ মরে গেলেও আত্মহত্যা করবেন না।
এসব হাসাহাসিতে তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন। ওমা তাতে কি? এটা নিয়ে সবাই হাসাহাসি করছে। একটা মানুষ মরবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাও মানুষ হাসে। বেচারা দুঃখে সামান্য অসুস্থ হয়ে ডাক্তারকে ফোন করলেন। র্যাব গিয়ে তাঁকে তুলে এনে সিএমএইচে ভর্তি করিয়ে দিল।
হায় এরশাদ, আপনি কাঁদলেও মানুষ হাসে, অসুস্থ হলে র্যাব আসে। যাকগে এসব কাহিনী বাদ। এবার এরশাদ শপথ নিলেন...হা হা হা।
দূর তাও মানুষ হাসে, আজ এরশাদ শপথ নিতে বঙ্গভবনে গেলেন। যাওয়ার পর যখনই দরবার হলে প্রবেশ করলেন উপস্থিত গণ্যমান্য সবাই হো হো করে হেসে দিলেন।
এরশাদ কী এমন করেছে, যাতে এত হাসতে হবে? যদি হাসতে হয়, তবে এরশাদের ছবি রাস্তার পাশে বিলবোর্ডে রাখা হোক, প্রতিদিন মানুষ তাঁকে দেখে হাসুক। হাসলে নাকি হার্ট ভালো থাকে। অতএব এরশাদ একটি হৃদরোগের ওষুধ!
কার্টেসী - কাসাফাদ্দৌজা নোমান
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।