আমার চোখে ঠোটে গালে তুমি লেগে আছো !!
অনেক মানুষের বিয়ে হয় ! আমার বিয়া কবে হবে কে জানে ?
যাক, সেই দিকে না যাই !
মানুষ বিয়ে করলে নিজের রিলেশনশীপ স্টাটাস চেঞ্জ করে । নিজেদের বিয়ের ছবি শেয়ার করে । আরো কত রকম গল্প করে নিজের বিয়ে কে নিয়ে !
কিন্তু বিয়ের যে গুরুত্বপূর্ণ পার্ট সেইটা নিয়ে সহজে কেউ কোন কথা বলে না । মানে হল বাসর রাতে সে তার প্রিয় মানুষটির সাথে কি আলাপ করলো এই কথা কেউ বলে না ! বললেও অনেক পরে ! রহস্য রহস্যই থেকে যায় ! তো আজকে সেই রহস্য উন্মোচন করার জন্যই নিয়ে এলাম সামু ব্লগারস বাসর রাইত টকস ! কোন ব্লগার বাসর রাতে তার প্রিয় এবং সদ্য বিবাহিত মানুষটির সাথে কি কথা বলবে কিংবা কি কথা বলেছে তাই নিয়ে কয়েক দিন আগে একটা পোষ্ট দিছিলাম ! আজকে দিলাম আরেকটা !
মাগুর
বাসর ঘরে প্রবেশ করার আগে মাগুর ভাই আয়নায় নিজের চেহারাটা একটু দেখে নিলেন ! মুখে দাড়িটা চমৎকার লাগছে ! পুরা বাংলাদেশের হওয়া লাগানো এই দাড়ি ! বিয়ের জন্য কি এই দাড়ি কাটা যায় !
বাসর ঘরে ঢুকে পরলো মাগুর ভাই ! ভাবি ঘোমটা মাথা দিয়ে বসে আছে খাটের উপর ! মাগুর ভাই ধীর পায়ে এগিয়ে যায় খাটের দিকে । খাটের উপর বসে ।
মাগুর ভাই আস্তে করে ভাবীর ঘোমটা তুলতে যাবে এমন সময় তার মোবাইল ফোন বেজে ওঠে !
মাগুর ভাই বিরক্ত হয় !
নাহ ! শ্লার মোবাইল ! বিয়া কইরাও শান্তি নাই !
অপরিচিত নাম্বার ! বিরক্তিটা আরো বাড়লো !
ফোন রিসিভ করলেন মাগুর ভাই !
-হ্যালো ! মাগুর রুবায়েট ভাই বলছেন ?
করুন কন্ঠে একজন পুরুষ কন্ঠ শোনা গেল !
-জি ! কে বলছেন ?
-ভাই আমার রাহাত ! আমার আব্বা একটু আগে এক্সিডেন্ট করেছে ! ও নেগেটিভ রক্ত লাগবে ! ভাই আমার আব্বা কে বাঁচান !
বলতে বলতে ছেলেটি কেঁদে ফেলল !
-আরে আপনি কাঁদছেন কেন ? আপনি কোন চিন্তা করবেন না । আমরা তো আছি !
মাগুর ভাই ঠিকানা নিয়ে ফোন রেখে দিয়েই আমার কয়েক জায়গায় ফোন দিল কিন্তু বেশ রাত হয়ে গেছে এখন ডোনার পাওয়া বেশ মুশকিল ! তার উপর আবার নেগেটিভ রক্ত ! মাগুর ভাইয়ের যে আজকে বাসর রাত সেটা তিনি ভুলেই গেলেন !
কয়েক জায়গায় ফোন দিয়েও রক্ত পাওয়া গেল না !
এখন ?
আর কাকে ফোন দিবেন এই কথা ভাবছেন এমন সময় ঘোমাটর ভিতর থেকে ভাবী বলে উঠলো
-রক্তের গ্রুপ কি ?
-ও নেগেটিভ !
-আমার রক্তের গ্রুপ ও নেগেটিভ !
-কি !!!!
মাগুর ভাই চট জলদি ভাবীর ঘোমটা তুলে ফেললেন ! আহা ! চাঁদ মুখ খানা দেখেই মন টা ভরে গেল মাগুর ভাইয়ের !
-তোমার রক্তের গ্রুপ ও নেগেটিভ ?
ভাবী ভয়ে ভয়ে বলল
-হুম !
-এর আগে রক্ত দিয়েছো ?
-না !
-আরে কোন সমস্যা নাই !
-কিন্তু এখন বের হবা কিভাবে ? আজকে আমাদের বাসর রাত !
-আরে রাতের আরও অনেক বাকী ! আর এই রাত কালকেও পালন করা যাবে ! কিন্তু মানুষটা মরে গেলে আর ফিরে আসবে বল ?
-কিন্তু তাই বলে এখন বাইরে যাবা ?
-সমস্যা কি ?
-সমস্যা কি মানে কি ? এখন আমাদের ঘরে থাকার সময় ? আজকে একটা বিশেষ দিন !
-তাহলে আজকের বিশেষ দিন টা আরো বিশেষ করে ফেলি !
-কিভাবে ?
-আরে সবাই তো বাসর রাতে ঘরে বসে গল্প করে ! আর আমরা বাইরে যাবো । তোমাকে সাইকেলের সামনে বসিয়ে সাইকেল চালাবো ! কেমন হবে বল ? এই রাত, তুমি আর আমি ! আর আমাদের সাইকেল !
ভাবী খুব খুশি হল ! বলল
-তাহলে চল ! কিন্তু সমানের দরজা দিয়ে যাওয়া যাবে না ! পেছনের দরজা দিয়ে যেতে হবে !
তারপর দুজন বেরিয়ে পড়লো ! মাগুর ভাই তার সাইকেলের সামনে নতুন ভাবীকে নিয়ে ছুটে চলল হাসপাতালের দিকে !
শিপু ভাই
সোনালী রংয়ের শেরওয়ানী পরে শিপু চাচা বাসর ঘরে প্রবেশ করলো ! চাচাজী দেখতে এমনিতেই হ্যান্ডসাম ! শেরওয়ানীতে তাকে আরও সুন্দর লাগছে ।
জানালা খোলা ! খোলা জানালা দিয়ে বাতাস আসছে ! সেই বাতাসে চাচজীর চুল উড়ছে !
চাচাজী আস্তে আস্তে এগিয়ে গেল খাটের দিকে ! নতুন চাচী মাথায় লম্বা ঘোমটা টেনে বসে আছে !
চাচাজী নিজের চুল একটু ঠিকঠাক করে আস্তে করে খাটের উপর বসলেন !
কি বলবেন ভাবছেন ! তখনই মনে পড়লো চাচীর এই রকম করে খাটের উপর বসে থাকাটা দেখতে অপূর্ব লাগছে ! এই দৃশ্য হয়তো সামনের জীবনে খুব একটা দেখা হবে না আর ! এখনই স্কেচ বন্দী করা লাগবে !
চাচাজী নতুন চাচীর ঘোমটা না তুলেই কাগজ আর পেনসিল নিয়ে বসে পড়লেন !
এদিকে নতুন চাচী অপেক্ষাতে আছে কখন তার ঘোমটা তুলবে কিন্তু তার কোন খোজ নাই ! কেবল পেন্সিলের খস খস আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ! নতুন চাচী কিছুই বুঝতে পারছেন না !
আরও আধা ঘন্টা কেটে গেল ! চাচী আর থাকতে না পেরে নিজেই নিজের ঘোমাটা খুলে সামনে তাকালো !
দেখলো চাচাজী গভীর মনযোগ দিয়ে পেনসিল দিয়ে কাগজে কিছু আকছেন ! চাচী কিছুই বুঝতে পারলো না !
কয়েক মুহুর্ত বোকার মত তাকিয়েই রইলো ! চাচা যখন আবার চাচীর দিকে তাকালো চাচা বলল
-আরে এখনও আকা শেষ হয় নি ! আর একটু ঘোমটা টেনে বস প্লিজ !
চাচী আর কি করবেন ! আবারও ঘোমটা টেনে বসলেন !
আরও বিশ মিনিট পরে শিপু চাচার স্কেচ আকা শেষ হল ! তিনি চাচীকে ডেকে দেখালেন !
-বল তো কেমন হয়েছে ?
-অনেক সুন্দর !
-হুম ! ঘোমটা টানা ছবি একেছি এখন তোমার ঘোমটা ছাড়া স্কেচ আকবো ! সুন্দর হবে না বল ?
চাচী শুকনো মুখ বললেন
-হুম ! ভাল হবে !
চাচী মনে করেছিলেন এবার চাচার সাথে কয়েকটা সুখ দুঃখের কথা বলবেন কিন্তু তা না ! স্কেচ !!
শিপু চাচা বলল
-এই তো খাটের ঠিক মাঝ খানটাতে বস ! এই তো ঠিক আছে ! এবার মাথা কাপড় টা আরেকটু উপরে তুলো এই তো ! ভেরি গুড !
চাচী বসে রইলেন !
পাঁচ মিনিট !
দশ মিনিত !
বিশ মিনিট !
এক সময় বিরক্ত হয়ে গেলেন ! একটু নড়তে গেলেন অমনি চাচাজী বলে উঠলো আরে নড়বে না ! একদম নড়বে না !
আবারও
পাঁচ মিনিট !
দশ মিনিত !
বিশ মিনিট !
ছবি আকা শেষ হলে চাচাজী নিজের ছবি নিয়ে হাজির হল চাচীর কাছে ! -এইটা দেখো কেমন হয়েছে ! আমরা এইটা আমাদের শোবার ঘরে টাঙ্গিয়ে রাখবো ! কেমন ?
-আচ্ছা !
চাচী মনে করলো এইবার মনে হয় চাচার ছবি আকা শেষ হল !
কিন্তু চাচীর ধারনা ঠিক হল না !
চাচাজী বলল
-আচ্ছা খাটের উপর তো হল । এবার একটা কাজ করলে কেমন হয় বল তো ? মনে কর তুমি খাটের কোল ঘেষে দাড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছো সেইটা যদি একটা ছবি আকি !
ভাবী এবার বিরক্ত হয়ে বলল
-রাখ তোমার ছবি ! মানুষ বাসর রাতে কত গল্প করে আর উনি এসেছে ছবি আকতে ! যাও !
এই বলে চাচী খাট থেকে নেমে বারান্দার দিকে রাওনা দিলেন ! অভিমান করে !
চাচাও পিছন পিচন ছুটলো ! বারান্দায় চাচীকে ডাকতে যাবে তখন তার মনে হল আহা ! এই দৃশ্যের কোন তুলনা হয় না ! চাচী বারান্দায় অভিমানে চাচাজী পিছন থেকে সেই ছবি আকতে শুরু করলেন !
কান্ডারী অর্থব
আধা আলোর খেলা চলছে ঘরের ভিতর ।
সেই ঘরের ভিতর নতুন ভাবি বসে আসে খাটের উপর ! কান্ডারী ভাই বুকের ভিতর দুরু দুরু ভয় নিয়ে নতুন ঘরে ঢুকলেন ! কত দিন পর আজকের আশা পূর্নহল !
আজকে মনের মানুষটা এতো কাছে পাওয়া যাবে । এই কথা ভাবতেই কান্ডারী ভাইয়ের মন জুড়ে একটা আনন্দের বন্যা বয়ে গেল ! কিছুক্ষন তিনি দরজার কাছে দাড়িয়েই সেই আনন্দ উপভোগ করলেন !
তারপর আস্তে আস্তে এগিয়ে চললেন ভাবির দিকে ! খাটের উপর ভাবী চুপ করে বসে আছে ! সে নিজেও খানিকটা জড়সড় হয়ে আছে !
কান্ডারী ভাই তার ঘোমটা তুলল !
ভাবী লাজুক হাসলো ! কান্ডারী ভাইও হাসলো লাজুক !
কান্ডারী ভাই মনে মনে ভাবলেন আজকে এই মধু রাতে সব কিছু তিনি কাব্যিক ভাবে তুলে ধরবেন ! নিজের অনুভুতি টুকু ভাবির কাছে তিনি কবিতার ছন্দে বলবেন ! তারপর বললেন
-নিস্তব্ধ গ্যালাক্সিতে ছড়িয়ে তোমার অনুরণন,
হাওয়ায় দোদুল্যমান একটি জোনাক জাগা প্রজাপতির মত মরণ,
ভাবী কিছু বুঝল না ! বলল
-কি বললে তুমি ?
-সব কিছু ছাড়িয়ে আমি তোমার কাছে এসেছি ! এই কথা বলেছি !
-একটু সহজ ভাষায় বল !
-এই বলছি !
তোমাকে বড় বেশি প্রয়োজন আমার,
চাঁদরূপ জোছনার মায়া তুমি,
অন্ধকার রাতে পথ চলতে গিয়ে
যদিওবা কখনো হোঁচট খাই;
আমাকে জানি তুমিই পথ দেখাবে।
তাইতো তোমাকেই বড় বেশি প্রয়োজন আমার,
আমি জানি,
আমি টের পাই,
ভাবী শুকনো মুখে বলল
-বুঝলাম ! তুমি টের পাও ! কিন্তু তুমি কি বলতে চাচ্ছ তা তো আমি টের
পাচ্ছি না !
কান্ডারী ভাই বলল
-জীবনের সব রং যখন মুছে যায়;
হৃদয় তখন সব হারানো স্মৃতি খুঁজে পায়।
হয়তবা এই স্মৃতির আড়ালে লুকিয়ে থাকে,
নতুন জীবনের স্বপ্নিল আকাঙ্ক্ষা;
তখনি যেন ভালোবাসার ইচ্ছাগুলো মনে জাগতে থাকে।
ভাবী আরও শুকনো মুখে বলল
-তোমার খারাপ লাগছে না তো ? এমন কেন করছো ?
কান্ডারী ভাই আবার বলল
-বোধহীন, জ্ঞানহীন প্রাণী নই,
আমি একজন মানুষ,
তবু কেন অন্ধকারেই খুঁজে ফেরা এই আমাকে ?
ভাবী এবার একটু বিরক্তই হল ! বাসর রাতে কোথায় একটু সুখ দুঃখের কথা বলবে তা না কোথা থেকে কি বিড়বিড় করছে ! ভাবী বলল
-তুমি কি ভাবছো আমাকে ? আমি কিন্তু রাগ করবো !
কান্ডারী ভাই আবার বলল
-কল্যানী,তুমি বড্ড বেশি সস্তা হয়ে গেছো,
যেন বস্তা পচা প্যাকেজ নাটক কোন
অথবা ঘামে ভেজা স্যান্ডো গেঞ্জি।
আমি সূর্যের কাছ থেকে ধার করা আলোতে স্বপ্ন দেখিনা,
দেখিনা নগ্ন জলাধারে জেগে থাকা শ্যাওলা,
স্ফীত হতে হতে কল্যাণীর মন যখন নাভির সমতুল্য,
আমি তখনও দেখিনা হিমালয়ের গায়ে জমে থাকা ধুলো
ভাবী রেগে গিয়ে বলল
-কি বললা তুমি ? আমি সস্তা হয়ে গেছি ! আমি ?
-আরে না ! না এটা আসলে সেই অর্থে বলি নি !
-তো কোন অর্থে বলেছো ? বল তুমি তুমি কোন অর্থে বলেছ ? এতো দিন আমার সাথে প্রেম করার পর আমি সস্তা হয়ে গেছি ! যাও ! তোমার সাথে কোন কথা নাই ! এই বলে ভাবী খাট থেকে উঠে বারন্দায় গমন !
আমিনুর রহমান জেসন
সারা দিন আমিন ভাই অনেক ব্যস্ত ছিলেন ! সেই গতকাল থেকে তিনি একটানা না ঘুমিয়ে আসেন ! একে তো বহুদুর জার্নির ধকল তার উপর নতুন বিয়ে করার ধকল !
বিয়ের সকল ঝামেল যখন শেষ হল তখন তিনি বড় ক্লান্ত ! এখন বিছানায় একটু শুতে পারলে বাঁচেন তিনি !
কিন্তু আজ তো তার বাসর রাত ! তিনি কিভাবে ঘুমাবেন !
তাহলে বউ কি মনে করবে ? কিন্তু রাত জেগে থাকাটাও বেশ কষ্ট কর হয়ে যাবে !
তিনি এই চিন্তা নিয়েই বাসর ঘরে ঢুকলেন ! ঢুকার সময় দেখলেন তার পা একটু যেন টলছে ক্লান্তিতে !
একটু আগের কথা মনে পড়লো !
নাহ ! ঐ জিনিসটা খাওয়া ঠিক হয় নি ! বাইরে প্রচন্ড শীত কিন্তু আমিন ভাইয়ের লাগছে গরম ! তার সাথে ঘুমে চোখ মুখ এটে আসছে ! বাসর রাতে ঘুমালে তো বউয়ের কাছে মান ইজ্জত কিছুই থাকবে না ! বাকি জীবন বউ এই নিয়ে খোটা দিয়েই যাবে !
এখন উপায় !
দরজা দিয়ে ঢুকার সময়ই দেখলেন নতুন খাটের উপর বসে আছে ! জেসন ভাই ধীর পায়ে এগিয়ে চলল খাটের দিকে !
জেসন ভাই খাটের উপর বসলো চু করে ! কি করবে তাই ভাবছে !
একটু সময় পরে ভাবিকে বলল
-বাইরে খুব শীত । না ?
ভাবী স্বলজ্জায় একটু মাথা নাড়লো !
-আমরা কম্বলের ভিতর বসে কথা বলি কি বল ?
-আচ্ছা !
-আজকে রাতে আমরা ঘুমাবো না কেমন ?
-তাহলে কি করবে ?
জেসন ভাই একটু ভাব নিল ! নিজের যে ঘুম আসছে এইটা আর ভাবীকে বলা যায় না ! ভাই বলল
-সামনের দিন গুলোর কথা বলবো ! আমাদের জীবন টা কেমন হবে সেটা নিয়ে কথা বলবো !
-আচ্ছা !
এদিকে জেসন ভাইয়ের দুই চোখের পাতা ঘুমের পাহাড় নেমে আসছে ! ভাবী কম্বললের নিচে পা ঘুকিয়ে বসলো ! জেসন ভাই চট করে ঘরের লাইট বন্ধ করে দিল ! কেবল একটা ডিম লাইট জ্বলছে !
ভাবী বলে উঠলো
-কি ব্যাপার এতো জলদি লাইট অফ করে দিলে ?
-আরে ! আজকের রাত কি লাইট জ্বলানোর রাত নাকি ?
-আচ্ছা ! খুব দুষ্টামী হচ্ছে !
-আমার বউয়ের সাথে দুষ্টামী করবো না তো কার সাথে করবো ?
ভাবি আবারও লজ্জা মিশ্রিত হাসি হাসেন !
জেসন ভাই লাইট বন্ধ করেই খাটে এসে কম্বলের নিচে ঢুকে পরেন ! আর এদিকে ভাবী কথা বলতে শুরু করেন !
-এই শোন ! আমরা সামনের ................ এই তুমি শুনছো ?
-হুম ! আমি শুনছি তো !
ভাবী আবার শুরু করেন
-আমাদের একটা একতলা................... ঠিক না ?
-হুম ! ঠিই ...। ইক
-আমাদের বারান্দায় ............... সুন্দর হবে না বল ?
-হুম
-শুনো আমরা কিন্তু প্রতি বছর ...............তুমি কিন্তু মানা করতে পারবে না ! করবে বল ?
-
-আমাদের ঘরের ঠিক ................... ভাল না বল ?
-
-এই ! আমি কিন্তু কোন দিন কোন ছেলের দিকে তাকায় নি ! তুমি কোন মেয়ের দিকে তাকাও নি তো ?
-হুম !
-কি তাকিয়েছ ? তাহলে তো প্রেমও করছ ?
-হুম !
-কি ! তুমি তুমি ....
-
জেসন ভাই এর পর নাক ডাকতে শুরু করলেন ! ভাবী এদিকে কি বলে চলেছন ভাইয়ের সেই দিকে লক্ষ্য নাই !
বিঃদ্রঃ বেশ কিছুদিন আগে আলিম আল রাজি একটা পোষ্ট দিয়েছিল ! ঠিক এই শিরোনামেই ! অবশ্য অনেক দিন আগে ! যাদের কে নিয়ে লিখেছিলেন কেবল হাসান ভাই ছাড়া আর কেউকেই এখন ব্লগে দেখা যায় না ! তাই মনে হল এখনকার কয়েকজন কে নিয়ে এইরকম একটা পোষ্ট দেওয়া যাক ! দেখা যাক কেমন হয় !
আরেকটা কথা । এইটা একটা একান্তই ফান পোষ্ট ! আশা করি ফান হিসাবেই নিবেন ! তাহলে বড় খুশি হব !
আরো কয়েক পর্ব লেখার ইচ্ছা আছে । সামনের বার কোন আপু ব্লগার কি করিবেন সেইটা নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছা আছে !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।