২৫ অক্টোবরের মধ্যে নির্দলীয় সরকারের ব্যবস্থা সংবিধানে ফিরিয়ে আনার সময় বেঁধে দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘সরকারকে আমরা ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। আমরা দেখব সংবিধান সংশোধন করে কি না। সংবিধান সংশোধন না করে একতরফা নির্বাচন করলে কীভাবে তা প্রতিহত করতে হয়, আমরা দেখিয়ে দেব। ’
আজ মঙ্গলবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি রংপুর বিভাগের আট জেলার বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
খালেদা জিয়া বলেন, জনগণকে নিয়ে বিএনপি আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত আছে। এই সরকারের অত্যাচার মানুষের দুঃসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। মানুষ আশ্রয় খুঁজছে।
মানুষ বিএনপিকে আশ্রয়স্থল মনে করছে। তিনি বলেন, ‘গরম কর্মসূচি দেখলে এই সরকারের মাথা গরম হয়ে যায়, মামলা-হামলা শুরু করে। কিন্তু তারা ভুলে যাচ্ছে, বিএনপির সঙ্গে মানুষ সম্পৃক্ত হচ্ছে, এই সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে। সরকার একতরফা নির্বাচন করতে চায় কিন্তু এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না। ’
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, এই কমিশন পুরোপুরি আজ্ঞাবহ।
ভোটার তালিকায় অনিয়ম ও গন্ডগোল আছে দাবি করে তিনি বলেন, এই ভোটার তালিকায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে। অথচ এই তত্ত্বাবধায়কের জন্য তারা ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। তিনি বলেন, ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিনের সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল না, এটি ছিল অসাংবিধানিক অবৈধ সরকার।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংবিধান মানলে আমাদের সময় কেন সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানকে মানেননি? এখন কেন শেখ হাসিনাকে মানতে হবে? এটি মানা যায় না।
আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। হাসিনাকে যেতে হবে। বিএনপির তত্ত্বাবধায়কের দাবি গণদাবি, এ দাবি সরকারকে মানতে হবে। ’
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।