আপাতত লিখার কিছু নাই.....ভাবছি কি লিখব... সগিরের সুখী দাম্পত্য জীবন কিন্তু তার বন্ধু দবির বিয়ে করার সাহস পায় না। কারন সে দেখেছে সাধারনত স্ত্রীরা কিভাবে স্বামীদের ডমিনেট করে। তো একদিন সাহস সঞ্চয় করবার জন্য সে বন্ধু কে জিজ্ঞেস করে, আচ্ছা, তোমার সংসারে দেখি বেশ শান্তি, তোমার বউ তোমার সব কথা শোনে, ব্যাপার টা কিভাবে সম্ভব হলো?
সগির তাকে আশ্বস্ত করে, শোন ভয়ের কিছু নাই, প্রথম রাতে বিলাই মারবি, যেমন আমি মেরেছিলাম। তাইলেই দেখবি সব ঠিক।
দবির জানতে ঠিক কি করেছিল সগির বাসর রাত্রে।
সগির তার গল্প বলে।
বাসর রাত্রে একটা বিলাই এর বাচ্চা রাখছিলাম খাটের নীচে। আর তোষকের নীচে রাখছিলাম একটা বড় গরু জবাই করা ছুরি। তারপর বউ এর সাথে কথা বলা শুরু করতেই বিলাই এর বাচ্চা বলল ম্যাও। আমি বললাম, এই বিলাই এর বাচ্চা, একদম চুপ থাকবি।
কিছুক্ষন পর বিলাই এর বাচ্চা আবারো বলল ম্যাও...। এবার আমি লাফ দিয়ে লাফ দিয়া নামলাম, হুঙ্কার দিয়া বিলাই এর বাচ্চারে সাবধান করলাম, এই বিলাই এর বাচ্চা, আর একবার যদি ম্যাও করিস, তোর কল্লা কাইটা ফালামু। বিছানায় উইঠা বউ এর লগে একটু রোমান্টিক ভাব নিবার যামু তখনই আবারো ম্যাও। আর যায় কোথায়, লাফ দিয়া নাইমা তোষকের নীচ থেকে ছুরি বের কইরা দিছি বিলাই রে এক কোপ। তা এর পর থেকে বউ আমারে সমীহ করে চলে, আর আমিও সুখে আছি।
।
দবির আশার আলো দেখতে পায়। বাসর রাত্রে একই স্টাইলে বিলাই মারার প্লান কইরা বিয়ে ফেলে। যথারীতি বিলাই এর বাচ্চা যোগাড় হয় এবং সাহস করে ছুরিটা রাখে টেবিলের উপর।
বউ এর সাথে ভাব তৈরীর চেষ্টা করতেই বিলাই বলে, ম্যাও।
দবির কিছু বলার আগেই তার বউ বলে, এই ঘরে বিলাই আসল কোত্থেকে? কুত্তা-বিলাই আমার একদম পছন্দ নয়। দবির বলে ভয়ের কিছু নাই, বিলাই এর ব্যাপারটা আমি দেখব। কিছুক্ষন পর বিলাই দ্বীতিয় বার ম্যাও করলে দবির কিছু বলার আগেই তার বউ লাফ দিয়ে ওঠে, ছুরিটা টেবিল থেকে হাতে নিয়ে দবির কে ধমক দেয়, এই বিলাই বের বের দিয়ে আয়, এসব কুত্তা–বিলাই আমার পছন্দ ন। নাহলে তোরই কল্লা ফালায়ে দিমু......
দবির আর কি করে, বিলাই ফালায়ে আইসা নিজেই বিলাই হয়ে যায়......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।