আমাদের কাছে জমাকৃত উপন্যাস ছিল মোট সাতটি
মহামিলন - গৌরব জি পাথাং
অদৃশ্য ভালোবাসা- কামরুল হাসান মাসুক
অতঃপর ভোর- মাহাফুজুর রহমান কনক
বৈতরণী-মনিরা বাকী
শাহজাহান শামীম-কুষ্ঠ নিবাস
হৃদয়ের ব্যবচ্ছেদ- জিয়াউল হক (ব্লগার জিয়াউল হক, যিনি ইংল্যাণ্ডে থাকেন তিনি নন। )
ফাহিমের একাত্তর-শাফিন রাশেদ
দুইটি পাণ্ডুলিপি বিচারকদের নিকট উপস্থাপনের আগেই বাদ পড়েছে
বৈতরণী-মনিরা বাকী এবং ফাহিমের একাত্তর-শাফিন রাশেদ।
বৈতরণী বাদ পড়লো সবগুলো শব্দ গায়ে গায়ে লেগে আমাদের কাছে এসেছে, এ অবস্থায় বৈতরণী পার হওয়া সম্ভব নয়
( ১ )
আজশুক্রবারআনহা'রপরিকল্পনাছিলআজআবিরেরসাথেসারাদিনঘুরবে,বাইরেইকোথাওডিনারসেরেফিরবেবাড়ীতে। ওদেরছাঁদটাভারীচমৎকার ! পূর্ণিমারাতগুলোঅপরুপাহয়েধরাদেয়,চারপাশেবেড়েওঠাটবেরগাছগুলোয়, একটাকর্নারেএকখানাগার্ডেনসেটআছেওখানেআবিরেরসাথেবসেবহুরাতজোছনাউপভোগকরেছে সে । চাঁদেরগাঝরাআলোএসেছুঁয়েদিয়েগেছেওদের।
আবিরচমৎকারগানকরে। আনহা'রমনখারাপহলেকিংবাবিশেষদিনগুলোতেগানগেয়েশোনায়সে। আজওএকটাবিশেষদিন,
আর শাফিন রাশেদের লেখাটি বাংলানিউজ২৪ এ প্রকাশিত হয়েছে। তাই লেখাটি প্রতিযোগিতায় উপস্থাপিত হয়নি।
ফাহিমের একাত্তর
হঠাৎ একটা তীব্র শব্দ শুনতে পেল ফাহিম।
শব্দটা যেন মাথার ওপর দিয়ে উড়ে গেল। এরপরে পর পর কয়েকটা। শব্দগুলো উত্তর দিক থেকে আসছে। যাচ্ছে দক্ষিণে। আগে কখনো এরকম শব্দ শুনেনি সে।
ফাহিমরা খেলছে বাড়ির উঠানে। ইটের ওপর ইট রেখে বানানো স্ট্যাম্প। টেনিস বল দিয়ে ক্রিকেট খেলছে। ফাহিমের সাথে মিন্টু, রিপন ও কাদের। ওরা ফাহিমের চাচাতো ভাই।
উঠোনে মেয়েরাও খেলছে। এক্কাদোক্কা।
সব খেলা থামে গেল। ওরা বোঝার চেষ্টা করলো শব্দটির চরিত্র। মিন্টু বলে উঠলো, গুলির শব্দ মনে হইতাছে।
-হইতে পারে। রিপন বলল।
হঠাৎ রব চাচা বেরিয়ে আসল ঘর থেকে। সে ফাহিমদের কাছকাছি বয়সের। চিৎকার করে রব বলল, এই তোরা মাটিতে বসে পড়।
এগুলো গুলি। মনে হয় মিলিটারি আইতাছে। এই তোরা বইসা যা তাড়াতাড়ি।
মাটিতে বসে গেল সবাই। মেয়েরা খেলা রেখে ঘরের দিকে ছুটছে।
তখনো গুলি চলছে। উঠানের তিন দিকে বিভিন্ন চাচাদের ঘর। বাচ্চা ও মেয়েদের চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে গেছে। বিপদ, কিন্তু কী বিপদ বুঝতে পারছে না কেউ। সুতরাং চিৎকার চেঁচামেচি চলতেই থাকে।
অনিশ্চয়তার চেয়ে বড় বিপদ আর নাই। অনিশ্চয়তা তৈরি করে আতঙ্ক। যে আতঙ্ক ক্রমশ ছড়িয়ে যায়। একসময় চিৎকার চেঁচামেচিও থেমে যায়।
১৯৭১ সালের এপ্রিল, বিকেল অনুমান ছয়টা বাজে ।
চমৎকার রোদ আকাশে। রোদতো হবেই। রোদের তাপ কিছুক্ষণ আগেও ছিল। ফাহিমরা ঘামছিল প্রত্যেকে। হঠাৎ মেজো চাচার গলা শোনা গেল।
জব্বার চাচা। উনি সম্ভবত দৌড়াতে দৌড়াতে আসছেন। বলছেন, মিলিটারি নামছে ঝালকাঠিতে। ওদের গানবোট যাইতাছে গাবখান নদী দিয়া। যাইতে যাইতে গুলি দিতাছে চারদিকে।
খবরদার কেউ ঘরতোন বাইরাবা না।
ফাহিমদের বৈদারাপুর গ্রামটি ঝালকাঠি শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে, গাবখান ইউনিয়নের মধ্যে। ঝালকাঠি শহরের পাশের সন্ধ্যা নদীটি সোজা দক্ষিণে নেমে যাবার আগে পশ্চিম দিকে একটি শাখা নদীর জন্ম দিয়েছে। গাবখান নদী এর নাম। এটি চলার শুরুতে বামে একটি প্রশাখা নদী দিয়েছে।
প্রশাখা নদীটির নাম ধানসিঁড়ি । এই ধানসিঁড়ির তীরবর্তী একটি গ্রামের নাম বৈদারাপুর। জীবনানন্দ দাসের কবিতায় এই নদীটি বার বার উঠে এসেছে। গাবখান নদীটি ফাহিমদের বৈদারাপুর গ্রাম থেকে আড়াই মাইলের মত হবে।
মনিরা বাকী এবং শাফিন রাশেদ আরো লিখুন।
আপনাদেরকে অভিনন্দন। প্রতিযোগিতায় কে বিজয়ী হচ্ছেন জানতে আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।