তুমি-আমি আবারও মুখোমুখি, দীর্ঘক্ষণ চোখাচোখি, তবু আমরা দেখিনি দু’জন দু’জনকে : হারিয়ে গিয়েছি মাছ হয়ে জলাশয়ের মাঝে। পরিচিত করিডোর, ক্লাসরুম, লাইব্রেরি, আমাদের বিচরণে-ব্যবহারে ক্ষয়ে গেছে কত; পৃষ্ঠা ছিড়ে গেছে পুরানো বই-এর। তবু তুমি-আমি মিশে আছি মৌচাকের মৌমাছি হয়ে অজ্ঞাতে, অপরিচিতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার ঘরে। কি আশ্চর্য ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাকিয়েছি মলচত্বর, ফুলার রোড, চারুকলার এই রাঁধাচূড়া, শিমুল, তেতুল, শিরিষ, শিশু, আর সেগুনের দিকে; কি ভিন্ন শ্রবণেন্দ্রেয় দিয়ে শুনেছি পাখিদের কলতান আমতলায় বা কদম-ছাতিম-উলটকম্বলের সারিতে; মধুর ক্যান্টিনে বা হাকিমচত্বরে একই চা’য়ে কে ভিন্ন স্বাদ পেয়েছি আমরা; একই চিলের ঝাঁকের ঘূর্ণায়মান উড়ো-উড়ি, একই বাদুড়ের ডানার ঝাপ্টা সন্ধ্যায় সবুজ গাছের হাইওয়ের উপর কি বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আনে আমাদের মাঝে। কি ভিন্ন ঘাসের উপর বসেছি কার্জন হলে, ফজলুল হক মুসলিমের স্থির পানির পুকুরে মেঘেদের কি ব্যতিক্রম প্রতিবিম্ব তোমার-আমার মনে। তবে এইখানেই শেষ হোক সব— টিএসসি বা ডা. মিলনের স্মৃতিসৌধে আনি কবরের নীরবতা, তিন নেতার মাজারে আনি নতুন দেহ কোনো। এইখানেই সাঙ্গ হোক জীবনের আলোচনা। কত দূরে যেতে চাও? ক-ত-খা-নি দূরে, বন্ধু বলো? দুবাই না ওসেনিয়া? আমি নিজে উড়োজাহাজ চালিয়ে দিয়ে আসবো তোমায়, চিন্তা করো না একটুও। ০৮/০৯/১২
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।