২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইসিআরএইচ) আসা রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণে পাওয়া এই তথ্য শনিবার এক সেমিনারে তুলে ধরেন ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ তালুকদার।
তাদের গবেষণায় দেখা যায়, ওই তিন বছর যে নারীরা ক্যান্সারের চিকিৎসায় হাসপাতালে এসেছেন, তাদের মধ্যে ২৬ শতাংশই ছিলেন স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। এরপর জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি, ২১ শতাংশ।
ওই তিন বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পুরুষদের মধ্যে অন্তত ২৮ শতাংশ হাসপাতালে এসেছেন ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে। আর পুরুষদের মধ্যে কণ্ঠনালির ক্যান্সারে আক্রান্তের হার ছয় শতাংশ।
২০০৮-২০১০ সময়ে মোট ৪৬ হাজার ১১০ জন রোগী জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে চিকিৎসা নিতে আসেন, যাদের মধ্যে ২৭ হাজার ২৮১ জনের ক্যান্সার ধরা পড়ে। এই রোগীদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ আর ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
হাবিবুল্লাহ তালুকদার জানান, ফুসফুস ক্যান্সারের আক্রান্তদের মধ্যে যাদের বয়স ১০ বছর বা তার বেশি, তাদের মধ্যে ৭৮ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষই কোনো না কোনো সময়ে ধূমপান করেছেন, এবং তখনও ধূমপান চালিয়ে যাচ্ছিলেন এমন রোগীর হার ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
আর নারীদের ক্ষেত্রে এই হার যথাক্রমে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ ও ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।
এই সহকারী অধ্যাপক জানান, এক সময় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের হার বেশি থাকলেও বাংলাদেশে জরায়ু ক্যান্সারের হার বেশি ছিল।
তবে সাম্প্রতিক এই সমীক্ষার ফলাফলে সেই চিত্র পাল্টে গেছে।
“সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা, যা আগে এতোটা ছিল না।
আর এ জন্য জীবন-যাপনের বদলে যাওয়া ধরনকেই দায়ী করছেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রতি বছরই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। দেরিতে বিয়ে, বিয়ের পর দীর্ঘ বিরতি দিয়ে সন্তান নেয়া এবং শিশু সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ানোর প্রবণতাও হয়তো এর পেছনে ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশে ক্যান্সার প্রতিরোধে ও নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আক্রান্তদের তথ্য সংগ্রহ ও নথিবদ্ধ করার ওপরও জোর দেন তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।