আমি আগেই কইছিলাম দেশের একমাত্র প্রধান সমস্যা হচ্ছে হিন্দুরা। দেশ হিন্দু মুক্ত হলেই সকল কিছুর সহজ সমাধান। দেখেন না মালুমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষে হিন্দু বাড়িতে কি সুন্দর আগুন দেয়া হইতাছে।
নির্বাচনে দল জিতছে, হিন্দু বাড়িতে আগুন দাও। নির্বাচনে দল হারছে, হিন্দু বাড়িতে আগুন দাও।
নেতারে গ্রেপ্তার করছে দাও হিন্দু ঘরে আগুন। নেতায় মুক্তি পাইছে হিন্দু বাড়িতে আবারো আগুন। আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেয় নাই লাগা আগুন। কাদের ছাহেবরে ফাঁসি দিছে, দে আগুন। হাসিনা একতরফা নির্বাচন করছে, সহজ সমাধান মালুর ঘরে আগুন।
সঙ্গে মুফতে চালাইলাম লুটপাট। আর হিন্দু বাড়ির বৌ-ঝিরা তো এক কথায় বলা যায় আমাগো নিজেরই সম্পদ। একটা কাম করলে কেমন হয়, পুরা দেশের সব মালাউনরে এক কইরা গায়ে আগুন দিয়া মাইরা হালাইলাম। মালু মুক্ত সমাজ গড়লাম।
শালার সারমেয় সন্তানেরা, তোরা মুসলমান!!! তোরাতো কাফেরেরও অধম।
ইসলাম ধর্মে অন্যের ধর্মের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনের কড়া নির্দেশ রয়েছে। নবীজী (সাঃ)-এর একাধিক হাদিস রয়েছে ভিন্ন ধর্মালম্বীদের জানমাল রক্ষা ও সম্মান প্রদর্শন নিয়ে। আমার ধর্মকে এভাবে অপমান করার ক্ষমতা তোদের কে দিছেরে...?
আর এই যে দেশ জুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে নির্বিচারে লুটপাট আর অগ্নিসংযোগ চলছে এর জন্য পুরোপুরি দায়ী সরকার। কারন বরাবরই এই ধরণের ঘটনা ঘটে আসছে যে কোন নির্বাচনের পর। সরকার চাইলে আগে থেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে পারতো।
কিন্তু নেয় নাই। ঘটনা ঘটার পরে ৪ জন রোগাপাতলা পুলিশ বসাইয়া অস্থায়ী ক্যাম্পের নাটক করতাছে। আর নিঃস্ব মানুষগুলো খোলা আকাশের নীচে বইসা বুকফাটা আর্তনাদ করছে।
সরকার বাহাদুর করজোড়ে অনুরোধ করি, মানুষগুলোকে বাঁচান। মানুষের চোখের পানি কিন্তু আল্লায় সইবো না।
পরম করুণাময়ের কাছে হিন্দু-মুসলিম সবই সমান। বিপদ কিন্তু আপনাদেরই...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।