জিন বদলে তৈরি এই বেগুন ইউরোপের দেশগুলোতে রপ্তানি হতে পারে বলে যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠানের আশঙ্কা প্রকাশের প্রেক্ষাপটে একথা জানান তিনি।
তিনি বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আমদানিকারক দেশের নীতিমালা অনুসরণ করি। তাই কোনোভাবেই ইউরোপ কেন- কোনো দেশে বিটি বেগুন যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। ”
পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠনের বিরোধিতার মধ্যে গত বছরের অক্টোবরে সরকার জিএমও বা জেনেটিক্যালি মডিফায়েড অর্গানিজম হিসেবে বিটি বেগুনের চারটি জাত চাষাবাদের অনুমতি দেয়।
ভারত ও ফিলিপাইনে এই বেগুন নিয়ে গবেষণা হলেও পরিবেশ ও মানবদেহের জন্য সুদূরপ্রসারী ঝুঁকি থাকার কথা উল্লেখ করে এই দুই দেশসহ অনেক দেশই সবজিটি চাষের অনুমতি দেয়নি।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যেসব সবজি রপ্তানি হচ্ছে ,তার মধ্যে বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ হওয়া বিটি বেগুন থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে সম্প্রতি ইপিবিকে একটি ইমেইল বার্তা পাঠায় লন্ডনের ‘জিএম ফ্রিজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হেলেনা পলের সই করা চিঠিতে বলা হয়, বিটি বেগুন ইউরোপে রপ্তানি হলে ওই মহাদেশে বাংলাদেশি সবজির বাজার বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এই ধরনের প্রচারকে অসুস্থ প্রতিযোগিতার অংশ বলে মনে করেন ইপিবির ভাইস-চেয়ারম্যান শুভাশীষ।
তিনি জানান, গত অর্থবছর প্রায় ১১ কোটি ৪ লাখ ডলারের সবজি রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এর আগের বছর তা ছিল ৬২০ কোটি টাকার।
চলতি বছর সবজি রপ্তানি হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন ইপিবি কর্মকর্তা।
বিটি বেগুন চাষে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বাংলাদেশের আদালতেও একটি রিট আবেদন হয়েছিল, তবে তাতে কোনো ফল আসেনি।
বাংলাদেশে প্রায় ৩০ প্রজাতির বেগুন রয়েছে। এর একটি প্রজাতির বেগুনে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে ব্যাসিলাস থারিনভেনসিস নামের একটি ব্যাকটেরিয়া ঢুকিয়ে দিয়ে বিটি বেগুন করা হয়।
বিটি বেগুন ক্ষতিকর কি না- জানতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আজিজ জিলানী চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এটি এখনো একটি বিতর্কিত বিষয়। এর পক্ষে-বিপক্ষে অনেক যুক্তি আছে।
“তবে বিটি বেগুনের চাষের কারণে পরিবেশ ও জনস্বাস্থের ওপর কোনো ঝুঁকি আছে কিনা তা জানতেই মূলত সীমিত চাষাবাস চলছে। ”
বানিজ্যিক উৎপাদনে আরো দুই বছর সময় লাগবে বলে জানান এই কৃষি গবেষক।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।