এক দিনে সারাদেশে সংসদ নির্বাচন করার দেড় মাসের মধ্যে ছয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেইসঙ্গে সাধারণ নির্বাচনের মতো সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তও নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের তফসিল ঘোষণার আগে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠকের পর সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে সিইসি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সহিংসতার চিত্র তুলে ধরেন।
“অনেক সহিংসতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমাদের লোকজন, মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তাদের কাছ থেকে খবরাখবর নিয়ে গতবারের মতো এবারো সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ”
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের বর্জন ও প্রতিহতের ঘোষণার মধ্যে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনের দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় ২০ জনের মতো নিহত হন, যার মধ্যে নির্বাচন কর্মকর্তাও ছিলেন।
কাজী রকিব বলেন, “মাঠ পর্যায়ের যে তথ্য পেয়েছি এবং অতীতকালে (৫ জানুয়ারি) একটা নির্বাচন করে এসেছি। সেখানে আমাদের এক্সপেরিয়েন্স খুব ভালো না। ”
সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা হলেও উপজেলায় তা হবে বলে আশা করছেন তিনি।
সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও সহিংসতার কোনো আশঙ্কার কথা জানায়নি বলে জানান তিনি।
৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের সময় টহলে সেনা সদস্যরা।
সিইসি বলেন, “আগেরবার যতদিন ছিল, তার চেয়ে কম হবে না।
সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে, উপজেলায় উপজেলায় টহল দেবে। ”
এবার প্রথম দফায় ১৯ ফেব্রুয়ারি ৯৮টি উপজেলায় নির্বাচন হবে। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৫ মার্চ, ২৫ মার্চ, ৩১ মার্চ ও ৩ মে ধাপে ধাপে উপজেলার ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটের দুই দিন আগে থেকে পর দিন পর্যন্ত মোট চার দিন নিয়োজিত থাকবে।
গত উপজেলা নির্বাচনে প্রতি ভোটকেন্দ্রে ১৪ থেকে ১৬ জন নিরাপত্তারক্ষী রাখা হয়।
এবারও সমান সংখ্যক রাখার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের।
প্রথম ধাপ থেকে বাদ চার উপজেলা
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে ১০২টি উপজেলায় ভোটের তফসিল হলেও সীমানা পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত জটিলতায় ওই তালিকা থেকে চারটি বাদ যাচ্ছে।
সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ (ফাইল ছবি)
ঢাকা সিটি করপোরেশনে ভোটের বিষয়ে তিনি বলেন, “স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে সীমানা নির্ধারণ করার জন্য বলেছি। এ জটিলতা নিরসন হলেই সেখানে নির্বাচন করা হবে।
”
পদে থেকে নির্বাচন
উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের জন প্রতিনিধিরা পদে থেকেই নির্বাচন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
তবে সরকারি কোনো সুবিধা নিয়ে প্রচারণা চালানো যাবে না। এক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে, আচরণবিধি মেনেই কাজ করতে হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।