বুধবার অধিবেশনের শুরু থেকে রওশনকে এড়িয়ে চলা এরশাদ বেশ কিছু সময় পর রওশনের দিকে ফেরেন ‘চুইংগাম’ নিতে। এরপর তাদের মধ্যে কথা হতে দেখা যায়, যদিও এর আগে রওশনকে বেশ কয়েকবার চেষ্টা চালিয়েও এরশাদের মনোযোগ আকর্ষণে ব্যর্থ হতে দেখা গেছে।
বহু নাটকীয়তার মধ্যে বিএনপিবিহীন দশম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়ার পর হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে গেলেও দলের কোনো অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা যায়নি এরশাদ ও রওশনকে।
এরশাদ বারিধারায় থাকেন, রওশন থাকেন গুলশানের বাড়িতে। তাদের মধ্যে দন্দ্বের খবর গণমাধ্যমে এলেও তা নাকচ করে আসছেন দলটির নেতারা।
গত ১২ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে দুজনকে একসঙ্গে দেখা গেলেও তেমন কথা বলতে দেখা যায়নি দুজনকে।
সংসদে পুরো সময় জুড়ে গম্ভীর অবস্থায় দেখা গেছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে। বেশ কয়েকবার তিনি তার বামপাশে বসা পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সঙ্গে কথা বললেও এড়িয়ে চলেন ডান পাশের আসনে বসা রওশনকে।
এরশাদ যখন আনিসুলের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন রওশনকে কয়েকবার তাতে অংশ নেয়ার চেষ্টা চালাতে দেখা গেলেও এরশাদের সাড়া দেখা যাচ্ছিল না। তখন রওশনকে দেখা যায় তার পেছনের আসনে থাকা বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ তাজুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদারের বক্তব্য শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর রওশনকে দেখা যায় ভ্যানিটি ব্যাগ খুলে এরশাদকে চুইংগামের মতো কিছু দিতে। এরপর দেখা যায় এরশাদ তা নিয়ে চিবোচ্ছেন।
এর কিছু সময় পর রওশনের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় এরশাদকে।
এরশাদের ঘনিষ্ঠ একজন জাতীয় পার্টির নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এরশাদ চুইংগামের ভক্ত।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।