কমলগঞ্জের প্রতাপী-জগন্নাথপুর সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায়, চরম দূর্ভোগের শিকার থেকে বাচঁতে গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটি মাটি কেটে সংস্কার করছেন ।
স্বেচ্ছাশ্রমদানকারি স্থানীয় গ্রামের তাজুদ মিয়া, আব্দুল মালিক, আব্দুল গণি, সবুজ চন্দ্র দেব, মোহাম্মদ মোজাহিদসহ অনেকই জানান, পতনউষার ইউনিয়নের প্রতাপী, জগন্নাথপুর, জগনশালা ও নোয়াগাঁও গ্রামের কয়েকহাজার লোকের চলাচলের একমাত্র এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় বর্ষা মওসুমে লোকজন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। অসুস্থ লোকজন ও গর্ভবতী মহিলাদের হাসপাতালে নিতে সব চেয়ে বেশী বিপাকে পড়েন তারা।
এছাড়া স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। চার গ্রামের লোক এ রাস্তা সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাজে দাবী জানালেও রহস্যজনক কারণে ৫ বছর ধরে এ রাস্তাটি সংস্কার করা হয়নি।
ফলে দুভোর্গ থেকে রক্ষা পেতে নিজেরাই বাধ্য হয়ে প্রায় দীর্ঘ ৪ কিঃমিঃ বেহাল এ রাস্তাটি স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করতে শতাধিক গ্রামবাসী কুদাল নিয়ে নেমে পড়েন মাটি কাটতে। এতে অংশ নেয় এলাকার বৃদ্ধ থেকে স্কুল পড়ুয়া ছাত্ররা মিলে প্রায় শতাধিক লোকজন।
গত মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার ৩দিনে রাস্তাটির কাজ সমাপ্ত করার ফলে আগামী বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। তবে দীর্ঘদিন ধরে এ সড়ক সংস্কার করা না হলেও সরজমিন পরিদর্শনে জগন্নাথপুর গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য ডাঃ মীর মোঃ শহীদ উল্যার বাড়ির ২৮০ বর্গফুট সড়কটি এডিপির অর্থায়নে প্রায় এক লাখ টাকা ব্যয়ে ইটসলিং এর কাজ চলতে দেখা গেছে।
আলাপকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য শহীদ উল্যা স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংস্কারের কথা স্বীকার করে বলেন, কাচা রাস্তা সংস্কারে সরকারী কোন অর্থ না থাকায় রাস্তাটির সংস্কার কাজ করা সম্ভব হচ্ছিলনা।
তবে নিজের বাড়ির সড়কটির ইট সলিং করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কোন মস্তব্য করতে রাজি হননি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।