আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাইদীর বিরুদ্বের সাক্ষী,সরকারী অনুদানের জন্য সাইদীর সুপারিশ প্রাপ্ত মাহবুব কে? ৭১ এ তার বয়স কত ছিলো ?

কোনো বাধাই আমাদের রুখতে পারবেনা



আজকের একটি উল্লেখযোগ্য খবর হলো মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে বাদী ও সাক্ষীর পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে

আপনারা কি জানেন কেন এই টাকা দেওয়া হয়েছে ? কারণ তিনি আল্লামা সাইদীর বিরুদ্বে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। আর আজকেই তার প্রতিদান দেওয়া হয়েছে। শুধু এই টাকা না। আগে ও তাকে পাকা বাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলো সরকার।

মাহবুবুল আলম হাওলাদার আরো দাবি করেছে যে, সে একজন মুক্তিযোদ্ধা।

৭১ সালে রণাঙ্গনে সে সরাসরি যুদ্ধ করেছে। সে ছিল পিরোজপুরে মেজর জিয়াউদ্দিন নিযুক্ত যুদ্ধকালীন গোয়েন্দা। যুদ্ধের প্রয়োজনে ৭১ সালে সে নাকি ৫০ বারের অধিক (!) পিরোজপুর থেকে সুন্দরবনে গিয়েছে।

এতোবড় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার (?) বয়স ৭১ সালে কত ছিল ? আসুন দেখি, মাহবুবুল আলম হাওলাদার এর জন্মনিবন্ধন :


স্কুল সার্টিফিকেট কি বলে ?

মাহবুবুল আলম হাওলাদার এর স্কুল সার্টিফিকেটে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ আছে ২০/০৩/১৯৫৯| নিবন্ধন নম্বর ৫১৫৪৪| শিক্ষাবর্ষ ১৯৭৪-৭৫।

কিন্তু মাহবুবুল আলম হাওলাদার মামলার এজাহারে এবং ট্রাইব্যুনালে দেয়া স্বাক্ষ্যে দাবি করেছে তার বয়স ১৯৭১ সালে ছিল ২০/২১ বছর।


যা সম্পুর্ন মিথ্যাচার।

যে ছেলেটির জন্ম ১৯৫৯ সালে, যুদ্ধের সময় যার বয়স মাত্র ১১ থেকে সাড়ে ১১ বছর সে কিনা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছে !! সে নাকি যুদ্ধের প্রয়োজনে ৫০ বারের অধিক (!) পিরোজপুর থেকে সুন্দরবনে গিয়েছে !!

মাহবুবুল আলম সম্পর্কে আরো জানুন :

মামলার বাদী এবং প্রথম সাক্ষী মাহবুবুল আলম হাওলাদার চুরির মামলায় জেল খেটেছেন। এছাড়া স্ত্রীর যৌতুক মামলায় তার সাজা বহাল রয়েছে এবং বর্তমানে মামলাটি হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।

সাক্ষী মাহবুবুল আলম হাওলাদার নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আদালতে দাবি করলেও তার বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ আনা হয়েছে । জেরায় তিনি স্বীকার করেছেন বিএনপি আমলে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।

জিয়ানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল তাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এমনকি পিরোজপুরের বর্তমান আওয়ামী লীগ এমপি এম এ আউয়ালের কাছে মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে ভয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ করা হলে তিনি তার ভাতা বন্ধের মৌখিক নির্দেশ দেন বলেও আদালতকে জানান মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা।

সাক্ষী মাহবুবুল আলম স্বীকার করেছেন ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এবং ২০০৫ সালে পিরোজপুর জেলার ডিসির কাছে একজন অসহায় বেকার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আর্থিক সাহায্য চেয়ে যে আবেদন করেন তাতে তিনি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সুপারিশ গ্রহণ করেন।


তাহলে এটি সুস্পস্ট এই মামলার বাদী ভুয়া। শুধু মাত্র সরকারেররাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের জন্য বিচারের নামে অবিচার চলছে আল্লামা সাইদীর উপর
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.