এই ক্ষুদ্র গল্পটির শেষ দুইটি লাইন অবশ্যই পড়তে হবে. সাইদীকে যে ছুট্ট খুপরিতে তালা দিয়ে রাখা হয়েছে তার পাহারাদার উত্কট গন্ধে বার বার নাক শিত্কাচ্ছে. দুর্গন্ধ এতই প্রবল হয়েছে যে দারওয়ান করিম মিয়া এসে বলল, - 'মতিন ভাই,হালায় কি এই নিজের খুপরীরে টাট্টি বানায়া ফালাইল!! গন্ধে আর টিকতে পারলাম না.' -' নারে করিম, হালায় সারাজীবন এত আকাম করছে, শইল্লের মধ্যে যতই নুরানী ভাব নিয়া আসুক, দুর্ঘন্ধ জাইরা ফালাইতে পারে নাই.' মতিন সত্যিটা লুকিয়ে ফেলল কারণ তার উদ্দেস্য সে করিম রে দিয়া সাইদীরে গোসল করাবে. একটু আগেই সাইদী নিজের হাগুতে নিজেই মাখামাখি কইরা ফালাইছে. সে একটা কাশি দিয়া বলল, -' করিম মিয়া, গত রাইতে কি যে খাইলাম, শইলডা জুত পাইতাছিনা. আমি গেইটের সামনে খারাই, তুমি একটু এই হারামীরে গোসল করায়া আনবা?' -'এইডা আপনে কি কন! এই হারামির শইল্লের গন্ধে আমি অক্ষনি বমি কইরা ফালামু', চোখ কপালে তুলে বলল করিম. -' হুমমম, তাইলে হেইদিন যে তুমি এই হারামীরে শিকের ফাক দিয়া ঢিল মারলা তখন বুঝি গন্ধ লাগে নাই? তুমারে কিন্তু কেউ এই কামের অনুমতি দেয় নাই. দেখি বড় সাহেবের লগে আলোচনা কইরা বেপারটা হেয় কেমনে নেয়.' একটু ভাব নিয়া বলল মতিন. -'আরে মতিন ভাই কি যে কন, আমি অখনি লয়া যাইতাসি হালারপোরে. তয় মাঝে একটু হাত পা নিশপিশ করে. এইডার পাছায় দুই একটা লাত্থি দিলে মনডা ভালা অয়. শালা ছাড়া থাকনের সময় কম জালাইছে? আর অখনতো অর জারজগুলা আরো বেশি জালাইতেসে.' প্রায় সবগুলা দাত বের করে করিম মতিনের সম্মতি আদায় করে. -' ঠিক আছে লইয়া যাও, তয় বেশি জোরে মাইর না. অর শৈল্লে আর আগের মত তাকদ নাই.' বলল মতিন. করিম মিয়া তালা খুলে সাইদীকে বের করে গোসলখানার দিকে নিয়া গেল. নাকক থেকে হাত সরাতেই আবার উত্কট গন্ধ. করিম আর রাগ সামাল দিতে পারলনা. এইদিক ঐদিক তাকিয়ে মারলো সাইদীর পাছায় এক লাত্থি. সাইদী গোৎ গোৎ করে উঠলো. -' অহন গোৎ গোৎ কর হালারপো, আগে দেখসি সারা মুল্লুক চিল্লায়া বেরাইসো, আর মাইনসে কইসে তুমার কোকিল কন্ঠ. অহন এইরম গোৎ গোৎ আওয়াজ তুলো কেন হালারপো.' সাইদী গোসলখানার দিকে আগাইতে থাকে. সামনে হঠাত ডিমের খুসা দেইখা সাইদীর মনডা উদাস হয়ে যায়. -'আহারে কাচা আন্ডা আমার কতই না প্রিয় আসিল. কাচা আন্ডা খায়াইতো আমি এতডা তাগড়া হইসিলাম. এতগুলা জারজ্ত আর এমনি এমনি পয়দা করি নাই! হুনছি আমার জারজ্গুলাও অনেক তাগড়া হইসে, এখন সারা মুল্লুক দাপরায়া বেড়ায়. মাবুদ, তুমি অগ একেকটারে এলসেশিয়ান বানায়া দাও.' -' হালারপো ডিমের খুসা দেইখা খারায়া পরসো! তুমার ডিম খাউনের বেবস্থা নিতাসি খারাও.' করিম গোসলখানায় গিয়া একটা চাকা মার্কা বল সাবান পাইলো. ঐটারে দলা পাকাইয়া মুটামুটি একটা shape দিয়া দিল. জিনিষটা উটপাখির ডিমের মত দাড়াইয়া গেসে দেইখা চরম খুশি হইলো. বলা বাহুল্য সে ডিমটা সাইদীর বৃহদান্ত্র পর্যন্ত পৌছাইয়া তবেই ক্ষান্ত হইলো, কিন্তু দিক বিভ্রাট করিতে এতটুকু ভুল করিলনা. সাইদী চরম ব্যথায় কাতর হইয়া আবার গোৎ গোৎ করিতে লাগিল কিন্তু আর বাড়াবাড়ি করিল না. সে বুঝতে পারসে এইসব তার অতীত পাপের ফল, আর করিম মিয়া আজ খেপসে তার চোখই সেই সাক্ষী দিতাসে. বন্দী হবার আগে সেত করিম মিয়ার বউরেও কামর দিতে ছাড়েনাই. মনে মনে আফসোস করলো সাইদী, আমার অতীতের সকল আকামতো সবাই ভুইলাই গেসিলো, আমার কোকিল কন্ঠ দিয়া সবাইরে ভুয়ালিয়া ফালায়সিলাম. কেন আবার মুল্লুকটারে কব্জা করতে গিয়া খেপায়া দিলাম. নয়লে কি আর আজ এই দশা! সাইদী গোসল করে আবার তার খুপরিতে ফিরতেসে কিন্তু এমন সময় দেখে এক নেড়ি কুত্তি. ভাদ্র মাস, সাইদীর অতীত খাসিলত জেগে উঠলো. সে সকল নসিহত ভুলে গিয়ে কুত্তির উপর ঝাপিয়ে পড়ল. রক্তচক্ষু করিম মিয়া পাশেই একটা আইকাওয়ালা বাশ খুঁজে পেয়ে তার সঠিক সদ্দবহার করলো. মতিন দূর থেকে চিত্কার করে বলে উঠলো, ও করিম! সাহেবের আদরের কুত্তাডারে তুই মাইরাই ফালায়লি? পাঠক, এই রাস্তার কুত্তাডার কোকিল কন্ঠি ডাক শুনে বড় সাহেব অর্থাত আমার জলিল চাচা আদর করে তারে ঘরে তুলসিলো এবং কোন এক কোকিল কন্ঠি ওলামায়ে কেরামের নামের সাথে মিল দিয়া নাম রাখছিল সাইদী. শুনসি সেও নাকি আটকা পরছে. আল্লাহ তারে বেশত নসিব করুক. আমিন. সাইদীকে যে ছুট্ট খুপরিতে তালা দিয়ে রাখা হয়েছে তার পাহারাদার উত্কট গন্ধে বার বার নাক শিত্কাচ্ছে. দুর্গন্ধ এতই প্রবল হয়েছে যে দারওয়ান করিম মিয়া এসে বলল, - 'মতিন ভাই,হালায় কি এই নিজের খুপরীরে টাট্টি বানায়া ফালাইল!! গন্ধে আর টিকতে পারলাম না.' -' নারে করিম, হালায় সারাজীবন এত আকাম করছে, শইল্লের মধ্যে যতই নুরানী ভাব নিয়া আসুক, দুর্ঘন্ধ জাইরা ফালাইতে পারে নাই.' মতিন সত্যিটা লুকিয়ে ফেলল কারণ তার উদ্দেস্য সে করিম রে দিয়া সাইদীরে গোসল করাবে. একটু আগেই সাইদী নিজের হাগুতে নিজেই মাখামাখি কইরা ফালাইছে. সে একটা কাশি দিয়া বলল, -' করিম মিয়া, গত রাইতে কি যে খাইলাম, শইলডা জুত পাইতাছিনা. আমি গেইটের সামনে খারাই, তুমি একটু এই হারামীরে গোসল করায়া আনবা?' -'এইডা আপনে কি কন! এই হারামির শইল্লের গন্ধে আমি অক্ষনি বমি কইরা ফালামু', চোখ কপালে তুলে বলল করিম. -' হুমমম, তাইলে হেইদিন যে তুমি এই হারামীরে শিকের ফাক দিয়া ঢিল মারলা তখন বুঝি গন্ধ লাগে নাই? তুমারে কিন্তু কেউ এই কামের অনুমতি দেয় নাই. দেখি বড় সাহেবের লগে আলোচনা কইরা বেপারটা হেয় কেমনে নেয়.' একটু ভাব নিয়া বলল মতিন. -'আরে মতিন ভাই কি যে কন, আমি অখনি লয়া যাইতাসি হালারপোরে. তয় মাঝে একটু হাত পা নিশপিশ করে. এইডার পাছায় দুই একটা লাত্থি দিলে মনডা ভালা অয়. শালা ছাড়া থাকনের সময় কম জালাইছে? আর অখনতো অর জারজগুলা আরো বেশি জালাইতেসে.' প্রায় সবগুলা দাত বের করে করিম মতিনের সম্মতি আদায় করে. -' ঠিক আছে লইয়া যাও, তয় বেশি জোরে মাইর না. অর শৈল্লে আর আগের মত তাকদ নাই.' বলল মতিন. করিম মিয়া তালা খুলে সাইদীকে বের করে গোসলখানার দিকে নিয়া গেল. নাকক থেকে হাত সরাতেই আবার উত্কট গন্ধ. করিম আর রাগ সামাল দিতে পারলনা. এইদিক ঐদিক তাকিয়ে মারলো সাইদীর পাছায় এক লাত্থি. সাইদী গোৎ গোৎ করে উঠলো. -' অহন গোৎ গোৎ কর হালারপো, আগে দেখসি সারা মুল্লুক চিল্লায়া বেরাইসো, আর মাইনসে কইসে তুমার কোকিল কন্ঠ. অহন এইরম গোৎ গোৎ আওয়াজ তুলো কেন হালারপো.' সাইদী গোসলখানার দিকে আগাইতে থাকে. সামনে হঠাত ডিমের খুসা দেইখা সাইদীর মনডা উদাস হয়ে যায়. -'আহারে কাচা আন্ডা আমার কতই না প্রিয় আসিল. কাচা আন্ডা খায়াইতো আমি এতডা তাগড়া হইসিলাম. এতগুলা জারজ্ত আর এমনি এমনি পয়দা করি নাই! হুনছি আমার জারজ্গুলাও অনেক তাগড়া হইসে, এখন সারা মুল্লুক দাপরায়া বেড়ায়. মাবুদ, তুমি অগ একেকটারে এলসেশিয়ান বানায়া দাও.' -' হালারপো ডিমের খুসা দেইখা খারায়া পরসো! তুমার ডিম খাউনের বেবস্থা নিতাসি খারাও.' করিম গোসলখানায় গিয়া একটা চাকা মার্কা বল সাবান পাইলো. ঐটারে দলা পাকাইয়া মুটামুটি একটা shape দিয়া দিল. জিনিষটা উটপাখির ডিমের মত দাড়াইয়া গেসে দেইখা চরম খুশি হইলো. বলা বাহুল্য সে ডিমটা সাইদীর বৃহদান্ত্র পর্যন্ত পৌছাইয়া তবেই ক্ষান্ত হইলো, কিন্তু দিক বিভ্রাট করিতে এতটুকু ভুল করিলনা. সাইদী চরম ব্যথায় কাতর হইয়া আবার গোৎ গোৎ করিতে লাগিল কিন্তু আর বাড়াবাড়ি করিল না. সে বুঝতে পারসে এইসব তার অতীত পাপের ফল, আর করিম মিয়া আজ খেপসে তার চোখই সেই সাক্ষী দিতাসে. বন্দী হবার আগে সেত করিম মিয়ার বউরেও কামর দিতে ছাড়েনাই. মনে মনে আফসোস করলো সাইদী, আমার অতীতের সকল আকামতো সবাই ভুইলাই গেসিলো, আমার কোকিল কন্ঠ দিয়া সবাইরে ভুয়ালিয়া ফালায়সিলাম. কেন আবার মুল্লুকটারে কব্জা করতে গিয়া খেপায়া দিলাম. নয়লে কি আর আজ এই দশা! সাইদী গোসল করে আবার তার খুপরিতে ফিরতেসে কিন্তু এমন সময় দেখে এক নেড়ি কুত্তি. ভাদ্র মাস, সাইদীর অতীত খাসিলত জেগে উঠলো. সে সকল নসিহত ভুলে গিয়ে কুত্তির উপর ঝাপিয়ে পড়ল. রক্তচক্ষু করিম মিয়া পাশেই একটা আইকাওয়ালা বাশ খুঁজে পেয়ে তার সঠিক সদ্দবহার করলো. মতিন দূর থেকে চিত্কার করে বলে উঠলো, ও করিম! সাহেবের আদরের কুত্তাডারে তুই মাইরাই ফালায়লি? পাঠক, এই রাস্তার কুত্তাডার কোকিল কন্ঠি ডাক শুনে বড় সাহেব অর্থাত আমার জলিল চাচা আদর করে তারে ঘরে তুলসিলো এবং কোন এক কোকিল কন্ঠি ওলামায়ে কেরামের নামের সাথে মিল দিয়া নাম রাখছিল সাইদী. শুনসি সেও নাকি আটকা পরছে. আল্লাহ তারে বেশত নসিব করুক. আমিন.
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।