লঙ্কান সাবেক অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারার মুকুটে যুক্ত হল আরেকটি পালক। টাইগারদের বিরুদ্ধে করা ৩৪তম টেস্ট সেঞ্চুরির মাধ্যমে তিনি হয়ে গেলেন শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ টেস্টে সেঞ্চুরির মালিক। একই সঙ্গে এ সেঞ্চুরির মাধ্যমে এখনো ক্রিকেট খেলে যাওয়া ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান হলেন লঙ্কান এ ব্যাটসম্যান। সর্বকালের সেরা সেঞ্চুরিয়ানদের মধ্যে তার অবস্থান দুই গ্রেট ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কার ও ব্রায়ান লারার সঙ্গে যুগ্মভাবে চতুর্থ।
৪৯ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসেন সর্বকালের অন্যতম সেরা উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা।
নড়বড়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন-আপ পূর্ণগঠনের জন্য সঙ্গী হিসেবে নেন দলের অন্যতম ব্যাটিংস্তম্ভ মাহেলা জয়াবর্ধনেকে। এ দুইজনে মিলে তৃতীয় উইকেটে ৫০.২ ওভারের জুটিতে দলীয় রানের সঙ্গে যোগ করেন ১৭৮ রান। এতে সাঙ্গাকারার অবদান ১০৩ রান আর সঙ্গী মাহেলার ৭২। ৬৩তম ওভারের পঞ্চম বলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে চার মেরে ১৪৬ বলে সাঙ্গাকারা পূরণ করেন ক্যারিয়ারের ৩৪ তম টেস্ট সেঞ্চুরি। এ সেঞ্চুরিতে ১২টি চার ও দুটি ছয় মারেন তিনি।
গত টেস্টে সেঞ্চুরি করে সাঙ্গাকারার সঙ্গে যৌথভাবে ৩৩টি সেঞ্চুরির মালিক বনে গিয়েছিলেন জয়াবর্ধনে। সেঞ্চুরি করার পর মাহেলা বলেছিলেন, 'পরের ম্যাচেই সাঙ্গা আমাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। ' সতীর্থ এ ব্যাটসম্যানদের কথা রাখতেই বদ্ধপরিকর ছিলেন যেন এ ব্যাটসম্যান। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে সেঞ্চুরি করে জয়াবর্ধনেকে আসলেই ছাড়িয়ে গেলেন কুমার সাঙ্গাকারা। সেঞ্চুরি করতে সঙ্গী হিসেবে নিলেন রেকর্ডেরও মালিক মাহেলাকে।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ানদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মাহেলা এবং ২০ সেঞ্চুরি নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ডি সিলভা। দিন শেষে সাঙ্গাকারা ১৯ চার ও ৩ ছয়ের সাহায্যে ১৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এ ম্যাচে ব্যক্তিগত রেকর্ডের পাশাপাশি আরেকটি রেকর্ডও নিজের করে নেন সাঙ্গাকারা। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্টে সেঞ্চুরিয়ানের পাশপাশি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টেস্টে সর্বোচ্চ ৬ সেঞ্চুরির একক মালিক তিনি। এ ম্যাচের আগে এ রেকর্ডের যৌথ অংশীদার ছিলেন বাংলাদেশের মোহাম্মদ আশরাফুল ও স্বদেশী মাহেলা জয়াবর্ধনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।