আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উচ্চাভিলাষী বাজেটে আসছে বড় পরিবর্তন

চলমান অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে চলতি বাজেটে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মূলত অভ্যন্তরীণ চাপ সামলাতে ও আর্থিক খাতের ভারসাম্য রক্ষায় এ পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। যদিও বাজেট ঘোষণার সময় অর্থমন্ত্রী বার বার উচ্চাভিলাষীর পক্ষে ছিলেন। রাজনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত অর্থনীতি সামাল দিতে অবশেষে সেই উচ্চাভিলাষী ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। সরকারের আর্থিক, মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছে আজ।

এ বৈঠকে মূলত চলতি অর্থবছরসহ মধ্যমেয়াদি (২০১৪-১৫ থেকে ২০১৬-১৭) সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামোর সূচকের প্রক্ষেপণের ওপর আলোচনা করা হবে। চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেটের প্রাক্কলিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব আয়, এডিপিসহ প্রায় সবগুলো সূচকে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে আজকের বৈঠকে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মোট বাজেটের আকার প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা কমানো হচ্ছে। এ হিসাবে চলতি অর্থবছরের বাজেটের সংশোধিত আকার ২ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে।

চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা। অর্থনীতির মূল্য সূচকগুলোর মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ দশমিক ৫, ঘাটতি বাজেট ৪ দশমিক ৫ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা করা হতে পারে। রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রাও কমিয়ে আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অর্থ ও পরিকল্পনা বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি খসড় প্রস্তুত করেছে। যা আজকের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হচ্ছে। ফলে সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটের আকার দাঁড়াতে পারে ৬৩ হাজার কোটি টাকায়। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রার ৫৭ হাজার ৫১৮ কোটি টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪৯ হাজার ৯ কোটি টাকা। এ পরিপ্রেক্ষিতে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রাও ১৬ হাজার কোটি টাকা কমানোর বিষয়ে একমত হয়েছে অর্থ বিভাগ ও এনবিআর। এদিকে আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাংকসহ বিভিন্ন ঋণদাতা গোষ্ঠী বলছে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অস্থিরতা বিনিয়োগের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

যার সরাসরি প্রভাব পড়বে ব্যবসায় আস্থা পুনরুদ্ধারে। বিশ্বব্যাংক বলেছে, এগুলোসহ পোশাক খাতে শ্রম নিরাপত্তা সমস্যাও উৎপাদন ও রপ্তানি খাতের ওপর বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এসব প্রতিকূলতা আগামীতে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির রাশ টেনে ধরবে। প্রথমদিকে এমন পূর্বাভাসকে উড়িয়ে দিলেও তাদের আশঙ্কাকে আমলে নিয়ে সরকার বাজেটে এসব পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।