আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উচ্চাভিলাষী হলেও বাস্তবায়নযোগ্য : অর্থমন্ত্রী

ভালবাসি নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের সমালোচনার জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, তার প্রতিটি বাজেটই উচ্চাভিলাষী ছিল এবং তিনি তা বাস্তবায়ন করেও দেখিছেন। শুক্রবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, এ বাজেট উচ্চাভিলাষী হলেও ‘অত্যন্ত বাস্তবায়নযোগ্য’। প্রথা অনুযায়ী বজেটের পরদিন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকতাদের নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে আসেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকার শিনোনাম তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “এটা উচ্চাভিলাষী বটেই। আপানারা জানেন আমার সব বাজেটই উচ্চাভিলাষী ছিল।

তবে তা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছি। এ নিয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার কোনো প্রযোজন নেই। আমার সব বাজেটই জনতুষ্টির বাজেট। ” বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকারের শেষ বছরের জন্য ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করে অর্থমন্ত্রী, যাতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের এই বাজেটে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৬৭ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা।

এর মধ্যে এক লাখ ৩৬ হাজার ৯০ কোটি টাকা আসবে আয়কর, আমদানি শুল্ক এবং মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) থেকে। বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৫৫ হাজার ৩২ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪.৬ শতাংশ। এই ঘাটতি মেটানো হবে বিদেশি ঋণ, সঞ্চয়পত্র বিক্রি এবং অভ্যন্তরীণ ব্যাংক ঋণ থেকে। মুহিতের দেয়া এই বাজেট তিনটি সরকারের মধ্যে দিয়ে বাস্তবায়ন হবে- একটি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা এবং কয়েকজন অর্থনীতিবিদের এমন বক্তব্যের জবাবে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমি কয়েকটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই। তিন সরকার নয়, দুই সরকার এই বাজেট বাস্তবায়ন করবে।

” এ বিষয়ে পরে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ও আগামী সরকারের মাঝখানে নির্চাচনকালীন অন্তবর্তী সরকার থাকলেও তাতে বর্তমান সরকারের একটি ‘শক্ত অবস্থান’ থাকবে। নির্বাচনের বছরে বাজেটের রাজস্ব আয়ের লক্ষমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয়ের জবাবে তিনি বলেন, “অর্থায়নের ব্যবস্থা নেই-এমন মন্তব্য ভ্রান্তিমূলক। বিদেশি সাহায্য অন্যবারের তুলনায় বেশি ধরা হয়েছে কারণ এ বছর সাহায্য আসার পরিমাণ লক্ষ্যণীয়। আগামী বছর আরো বাড়বে বলে আমি বিশ্বাস করি। ” গত ৫ বছরে সরকার যে রাজস্ব আদায় করে দেখিয়েছে, গত ৩০ বছরেও তা হয়নি বলেও তা মন্তব্য করেন তিনি।

মোবাইল ফোনের সিমকার্ড আমদানিতে শুল্ক বেশি হওয়ায় বাজারে একটি কোম্পানির মনোপলি সৃষ্টি হয়েছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য এই মনোপেলি ভাঙ্গা, যাতে অন্যরাও সমান সুযোগ পায়। ” পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন মোবাইল ফোন অপারেটরদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কর্পোরেট করের পার্থক্য কমিয়ে আনার জন্যই এর পরিমাণ ৩৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানিগুলোকে বর্তমানে ৪৫ শতাংশ কর্পোরেট কর দিতে হয়।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।