আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্ট্যাচু অফ লিবার্টী-এক অপুর্ব সৃস্টি


91521285_1-Statue1.jpg' style='border: 1px solid #ccc;align:center;clear:both'>
স্ট্যাচু অফ লিবার্টিী যুক্তরাস্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের লিবার্টী আইল্যান্ডে দন্ডায়মান ৩০৫ ফুট উঁচু (মাটি থেকে মশাল) রোমান স্বাধীনতার দেবীর মুর্তি। ১৮৮৬ সালে ফ্রান্সের জনগন যুক্তরাস্ট্রের স্বাধীনতার শতবর্ষ পুর্তি উপলক্ষ্যে যুক্তরাস্ট্রের জনগনকে উপহার দেন। ১১০ বছর হয়ে গেছে ততদিনে!
ফরাসি ভাষায় এটার নাম
La Liberté éclairant le monde যার অর্থ স্বাধীনতা জগৎকে আলোকিত করছে।

এটার বিভিন্ন অংশ ১৮৮৩ সালে প্যারিসে বানানো শুরু হয়।
এটার ডিজাইন করেন ফরাসী ভাস্কর ফ্রেডারিক অগুসতে বার্তহোলডি, ছবি দেখুন:


মুর্তিটির স্ট্রাকচারাল ডিজাইন করেন আইফেল টাওয়ারের বিখ্যাত ইন্জিনিয়ার গুস্তাভ আইফেল:


এটার পেডেস্টাল বা ভিতের ডিজাইন করেন মরিস হান্ট:


মুর্তিটির হাতে একটা হাতল্ওয়ালা বই (tabula ansata) আছে যাতে যুক্তরাস্ট্রের স্বাধীনতার তারিখ লেখা আছে।

৪ঠা জুলাই ১৭৭৬।


মুর্তিটি যুক্তরাস্ট্রে আগত সকল অভিবাসীদের স্বাগত জানাবার একটা প্রতীকও বটে!
প্যারিসে এটা টুকরা টুকরা করে বানিয়ে জাহাজে করে নিউইয়র্কে পাঠানো হংয়। কথা ছিল এর ভিতটা (পেডেস্টাল) তৈরী করবে যুক্তরাস্ট্র, কিন্তু টাকার অভাবে বিশ্বের অন্যতম ধনী রাস্ট্রের ঘাম ছুটে গেছিল। পরে যুক্তরাস্ট্রের কয়েক হাজার লোক ১০ সেন্ট থেকে ১ ডলার পর্যন্ত চাঁদা দিয়ে ভিতটা তৈরী করে!

মাথাটা বানিয়ে প্যারিসের একটা পার্কে রাখা হয়। ১৮৮৩ সালে।




পুরোটাই তামার তৈরী, আর ভিতরে ইস্পাত।




মুর্তিটির মুখের আদল ভাস্কর বার্তহোলডির মায়ের চেহারার মত।


হাতের মশালে ২৪ ক্যারেট সোনার প্রলেপ দেয়া আছে।


২০১২ সালের হারিকেন স্যান্ডির কারনে এটার বেশ ক্ষতি হয় আর এটা ২০১৩ সালের শেষ ভাগ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়।

ঝড়ের সময় বেচারী স্ট্যাচু অফ লিবার্টীর অবস্থা!









এটা তামার তৈরী হওয়াতে প্রাকৃতিক কারনে এটার চেহারা কিছুটা কাল হয়ে যায়।

সেজন্য পরে এটার পুরো শরীর সবুজ রং করে দেয়া হয়।
যারা যাননি তাদের জন্য বলছি, এখানে ঢুকতে ম্যালা নিরাপত্তা ব্যাবস্থার মুখোমুখি হতে হয়,

মায় বেল্ট জুতো পর্যন্ত খুলতে হয়।

টিকিটের দাম ? বেশ টাকা লাগে, মনে হয় ২৮ ডলার!
অনলাইনে করাই ভাল কারন লাইনটা বেশ লম্বা হয়, তবে মজাই লাগে!

স্ট্যাচু অফ লিবার্টীর অবস্হান নিউইয়র্ক আর নিউজার্সীর কাছে তবে এটা সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রন করে ফেডারেল সরকার (কেন্দ্রীয় সরকার)।

আর নেচারালি এটার থেকে যা কামাই হয় পুরোটাই নেয় ফেডারেল সরকার!নিউইয়র্ক বা নিউজার্সি কোন পয়সা পায়না!
এবার এর আরো কিছু তথ্য:
এতে তামার ওজন: ৩১ টন।
পুরো ফ্রেমওয়ার্কের উজন: ১২৫ টন।


কনক্রীটের ভিতের ওজন: ৫৪ মিলিয়ন পাউন্ড।
তামার সীটের পুরুত্ব: ৩/৩২ ইন্চি।
বাতাসে মশালটা ৬ ইন্চি সরে যায়।
হাতের টেবলেটে লেখাটা রোমান অক্ষরে JULY IV MDCCLXXVI
পায়ের কাছে ভাঙ্গা শিকল আছে অবশ্য নীচ থেকে দেখা যায়না।

সুত্র: ইন্টারনেট
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।